এমন হয় রে ভাই। এমন হতেই পারে। আপনাদের একটা উদাহরণ দিয়ে বুঝাই।
ধরেন, আপনি একজন মোটামুটি লেভেলের ছাত্র। এইবার ফার্স্ট টার্ম পরীক্ষার জন্য আপনার প্রস্তুতি ভালো। প্রথম পরীক্ষা দিতে গেলেন। কিসুই কমন পড়ল না, রাম-ছ্যাকা যাকে বলে। আপনি প্রথম ধাক্কা খেলেন। মন খারাপ করলেন। কিন্তু মনোবল হারালেন না। ........ এইটা ছিল বাংলাদেশ-শ্রীলংকার প্রথম টেস্ট।
মন-টন ঠিকঠাক করে পরের পরীক্ষা দিতে গেলেন। মাশাল্লাহ পরীক্ষা ভালই হলো। কনফিডেন্স আবার ফিরে আসল। আপনি ভাবা শুরু করলেন, জাশ্শালা, এইবার আব্বারে দেখায়ে দিব আরো ভালো রেসাল্ট করে। ..... এইটা ছিল বাংলাদেশ-শ্রীলংকার দ্বিতীয় টেস্ট।
মহা মুডে তৃতীয় পরীক্ষা দিতে গেলেন। হাফ ইউনিট পরীক্ষা, ভ্যাজাল কম, কোশ্চেন কমন, নরম-শরম স্যার ডিউটিতে - কনফার্ম এই পরীক্ষায় আপনি ফাটিয়ে ফেলবেন। কিন্তু কি জানি কি হলো, মাঝ পরীক্ষায় আপনার পেটে চিপ দিল, শুরু হলো বাত্তুম। উপুর্যুপুরি, বারবার। অর্ধেক খাতা খালি রেখে অশ্রুসজল চোখে হল ত্যাগ করলেন। ..... এইটা ছিল বাংলাদেশ-শ্রীলংকার প্রথম টি-টুয়েন্টি।
ইমোটিল খেয়ে ছিপি এঁটে পরের পরীক্ষা দিতে গেলেন, এটাও ছোট পরীক্ষা। কোশ্চেনও কমন পড়ল। ভালই চলছিল সব। কিন্তু পরিনতি সেইম, ডায়রিয়া ইজ দা নেইম অফ দা গেইম। অর্ধেক খাতা খালি রেখে ভগ্নমনোরথ হয়ে বাড়ি ফিরে আসলেন। ..... এইটা ছিল বাংলাদেশ-শ্রীলংকার দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টি।
আপনি গান শোনা শুরু করলেন - "ভাঙ্গা মন নিয়ে তুমি আর কেঁদো না ... "
কান্না থামিয়ে আবার রেডি হলেন। শেষ ৩টা পরীক্ষা। এই সাবজেক্টগুলা আপনার ফেভারিট। প্রতিবছর এগুলাতে আপনি ভালো করেন। সুতরাং, ভাবলেন শেষ চেষ্টাটা করে দেখি।
গেলেন পরীক্ষার হলে। কোশ্চেন দেখে আনন্দে চোখে পানি। পানির মত সোজা। খেয়ে-না-খেয়ে লিখতে শুরু করলেন। যখন সবে ভাবতে শুরু করেছেন যে এইবার এক্কেরে জিন্দাপুইত্তালাইবেন, ঠিক তখনি শোনেন পেট থেকে গুরগুর আওয়াজ। ওহ শিট, ডায়পার তো পরা হয়নি। উফ, আবারও বাত্তুম। উপুর্যুপুরি, বারবার। অর্ধেক খাতা খালি রেখে আবারও হল ত্যাগ করলেন। .....এইটা ছিল বাংলাদেশ-শ্রীলংকার প্রথম ওয়ানডে।
তারপর কি আর মনোবল কিছু অবশিষ্ট থাকে, বলেন? চিন্তা এখন একটাই, মরার পরীক্ষা শেষ হয় না ক্যান?
যাই হোক। ভাঙ্গা মন নিয়ে, ইয়া নফসি ইয়া নফসি করতে করতে শেষ দুইটা পরীক্ষাও দিলেন। বেগ তখন কন্ট্রোলে, কিন্তু শরীর-মন দুর্বল। দুর্বলতার কাছে হার মানলো আবেগ। শেষ দু'টি পরীক্ষার ফলাফলও সেইম। ডায়রিয়া ইজ দা নেইম অফ দা গেইম। .....এই দুইটা ছিল বাংলাদেশ-শ্রীলংকার দ্বিতীয় আর তৃতীয় ওয়ানডে।
শেষ কথা:
-----------
পরীক্ষা শেষ। কিন্তু .....
এইটা ছিল ফার্স্ট টার্ম পরীক্ষা। সামনে আসছে সেকেন্ড টার্ম আর ফাইনাল।
ইমোটিল এখন থেকেই খাওয়া শুরু করেন। মন শক্ত করেন। ভালমত প্রস্তুতি নেন।
ইনশাআল্লাহ, পরেরবারও ডায়রিয়া হবে। তবে আপনার না। অন্যদের।
ধরেন, আপনি একজন মোটামুটি লেভেলের ছাত্র। এইবার ফার্স্ট টার্ম পরীক্ষার জন্য আপনার প্রস্তুতি ভালো। প্রথম পরীক্ষা দিতে গেলেন। কিসুই কমন পড়ল না, রাম-ছ্যাকা যাকে বলে। আপনি প্রথম ধাক্কা খেলেন। মন খারাপ করলেন। কিন্তু মনোবল হারালেন না। ........ এইটা ছিল বাংলাদেশ-শ্রীলংকার প্রথম টেস্ট।
মন-টন ঠিকঠাক করে পরের পরীক্ষা দিতে গেলেন। মাশাল্লাহ পরীক্ষা ভালই হলো। কনফিডেন্স আবার ফিরে আসল। আপনি ভাবা শুরু করলেন, জাশ্শালা, এইবার আব্বারে দেখায়ে দিব আরো ভালো রেসাল্ট করে। ..... এইটা ছিল বাংলাদেশ-শ্রীলংকার দ্বিতীয় টেস্ট।
মহা মুডে তৃতীয় পরীক্ষা দিতে গেলেন। হাফ ইউনিট পরীক্ষা, ভ্যাজাল কম, কোশ্চেন কমন, নরম-শরম স্যার ডিউটিতে - কনফার্ম এই পরীক্ষায় আপনি ফাটিয়ে ফেলবেন। কিন্তু কি জানি কি হলো, মাঝ পরীক্ষায় আপনার পেটে চিপ দিল, শুরু হলো বাত্তুম। উপুর্যুপুরি, বারবার। অর্ধেক খাতা খালি রেখে অশ্রুসজল চোখে হল ত্যাগ করলেন। ..... এইটা ছিল বাংলাদেশ-শ্রীলংকার প্রথম টি-টুয়েন্টি।
ইমোটিল খেয়ে ছিপি এঁটে পরের পরীক্ষা দিতে গেলেন, এটাও ছোট পরীক্ষা। কোশ্চেনও কমন পড়ল। ভালই চলছিল সব। কিন্তু পরিনতি সেইম, ডায়রিয়া ইজ দা নেইম অফ দা গেইম। অর্ধেক খাতা খালি রেখে ভগ্নমনোরথ হয়ে বাড়ি ফিরে আসলেন। ..... এইটা ছিল বাংলাদেশ-শ্রীলংকার দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টি।
আপনি গান শোনা শুরু করলেন - "ভাঙ্গা মন নিয়ে তুমি আর কেঁদো না ... "
কান্না থামিয়ে আবার রেডি হলেন। শেষ ৩টা পরীক্ষা। এই সাবজেক্টগুলা আপনার ফেভারিট। প্রতিবছর এগুলাতে আপনি ভালো করেন। সুতরাং, ভাবলেন শেষ চেষ্টাটা করে দেখি।
গেলেন পরীক্ষার হলে। কোশ্চেন দেখে আনন্দে চোখে পানি। পানির মত সোজা। খেয়ে-না-খেয়ে লিখতে শুরু করলেন। যখন সবে ভাবতে শুরু করেছেন যে এইবার এক্কেরে জিন্দাপুইত্তালাইবেন, ঠিক তখনি শোনেন পেট থেকে গুরগুর আওয়াজ। ওহ শিট, ডায়পার তো পরা হয়নি। উফ, আবারও বাত্তুম। উপুর্যুপুরি, বারবার। অর্ধেক খাতা খালি রেখে আবারও হল ত্যাগ করলেন। .....এইটা ছিল বাংলাদেশ-শ্রীলংকার প্রথম ওয়ানডে।
তারপর কি আর মনোবল কিছু অবশিষ্ট থাকে, বলেন? চিন্তা এখন একটাই, মরার পরীক্ষা শেষ হয় না ক্যান?
যাই হোক। ভাঙ্গা মন নিয়ে, ইয়া নফসি ইয়া নফসি করতে করতে শেষ দুইটা পরীক্ষাও দিলেন। বেগ তখন কন্ট্রোলে, কিন্তু শরীর-মন দুর্বল। দুর্বলতার কাছে হার মানলো আবেগ। শেষ দু'টি পরীক্ষার ফলাফলও সেইম। ডায়রিয়া ইজ দা নেইম অফ দা গেইম। .....এই দুইটা ছিল বাংলাদেশ-শ্রীলংকার দ্বিতীয় আর তৃতীয় ওয়ানডে।
শেষ কথা:
-----------
পরীক্ষা শেষ। কিন্তু .....
এইটা ছিল ফার্স্ট টার্ম পরীক্ষা। সামনে আসছে সেকেন্ড টার্ম আর ফাইনাল।
ইমোটিল এখন থেকেই খাওয়া শুরু করেন। মন শক্ত করেন। ভালমত প্রস্তুতি নেন।
ইনশাআল্লাহ, পরেরবারও ডায়রিয়া হবে। তবে আপনার না। অন্যদের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন