কালকে খুব পছন্দের এক সেলেব্রিটিকে ন্যাশনাল মিডিয়াতে "গু"-চর্চা করতে দেখার পর থেকে খুব কনফিউজড লাগছে।
সাকিব ক্যামেরার সামনে অশোভন ভঙ্গি করলো। তার শাস্তি হলো। আমরাও এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালাম। অবশ্যই সাকিবের মত আইকনের এমন করা উচিত হয় নাই। সাকিব'ও ভুল বুঝতে পেরেছে, অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমাও চেয়েছে।
কিছুদিন আগে এক স্কুলে কি এক অনুষ্ঠানে গিয়ে এক এমপি (নাকি মন্ত্রী?) সিগারেট খেয়েছেন। সেই ছবি নিয়ে ছি ছি রব উঠেছে। আমরাও সোচ্চার হয়েছি যে তার এই কাজটি খারাপ হয়েছে। তিনি তার ভুল বুঝতে পেরে সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন এবং এমন ভুল আর হবে না বলে প্রমিস করেছেন।
গতকাল রাতে ৭১ টিভিতে একটা টকশো দেখছিলাম। কাছের এবং পছন্দের মানুষরা এসেছে কথা বলতে, তাই আগ্রহ নিয়েই দেখছিলাম। টপিক হলো - সাংস্কৃতিক আগ্রাসন, চ্যানেল বানিজ্য, আমাদের অনুষ্ঠানের কোয়ালিটি ইত্যাদি। বেশ স্বতস্ফুর্ত আলোচনা হচ্ছে, আমি মনোযোগ দিয়ে শুনছি।
এ সময়ের একজন প্রতিভাবান নাটক নির্মাতাও আছেন প্যানেলে, যার বানানো নাটকের আমি বিশাল ফ্যান। তাকে একটা প্রশ্ন করা হলো - "আপনি যে নাটকগুলো বানান, সেগুলোর প্যাকেজিং নিয়ে কি আপনি খুশি?" উনি জবাব দেয়া শুরু করলেন এভাবে, "দেখেন, আমরা বেসিকালি গু নাটক বানাই। আমাদের বেশির ভাগ নাটকই হয় গু'এর মত. ..." (এক্স্যাক্ট শব্দগুলো হয়ত মনে নাই, কিন্তু গু শব্দটা বড়ই বোল্ডলি উচ্চারণ করছিলেন তিনি)
বাকি অতিথিরা দেখলাম হালকা মুচকি হাসি দিয়ে ব্যাপারটাকে হালকা করার চেষ্টা করলেন। কিন্তু, আমি ওই গু'তেই আটকে গেলাম। একটা ন্যাশনাল মিডিয়াতে এতগুলো জ্ঞানী-গুনি মানুষের মধ্যে বসে এই শব্দটা কি ব্যবহার না করলেই চলত না? ওনার কাজের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, উনি বোধহয় কোনটা ক্যাজুয়াল স্মার্টনেস আর কোনটা রুচিহীন নোংরামি - সেই পার্থক্যটা ধরতে পারেন নি।
ভাই রে, গ্রেট পাওয়ার কামস উইথ গ্রেট রেসপনসিবিলিটি। সাকিবের তুলনায় এই নাট্যনির্মাতা হয়ত খুবই ক্ষুদ্র তারকা, তাই হয়ত তার দ্বায়ভার কিছুটা কম। কিন্তু আমি শিওর, অন্তত তরুণ মহলে ওই বিড়িখেকো এমপির চেয়ে এই নাট্যনির্মাতার গ্রহণযোগ্যতা বেশি। ইউথের উপর তার ইনফ্লুয়েন্সও ডেফিনিটলি বেশি।
তর্কে যাচ্ছিনা। সাকিবের বা এমপি সাহেবের আচরণ যেমন কুরুচিসম্পন্ন এবং লজ্জাজনক, আমার কাছে এই নাত্যনির্মাতার শব্দচয়নও নিতান্তই সস্তা নোংরামি।
প্রথমেই কনফিউজড বলেছিলাম কেন জানেন? কেন জানি মনে হচ্ছে, এই ইস্যুতে বেশির ভাগ মানুষকেই আমি আমার বিপক্ষে পাব। এই সেলেব্রিটি কখনই ক্ষমা চাইবে না। উল্টা তার পক্ষের লোকজন আমাকে উপদেশ দিবে, "কুল ডাউন ম্যান, কথায় কথায় শিট যদি বলতে পারি, গু বললে দোষ কোথায়? আপনে মিয়া হুদাই ত্যানা প্যাচান। ইন ফ্যাক্ট ইট্স ফেব্রুয়ারি মান্থ, উই অল শুড ইউজ বাংলা ওয়ার্ডস। " আরো খারাপ কথাও বলবে। ওস্তাদ যদি টিভি মিডিয়াতেই গু বলতে পারে, মুরিদরা তো সোশাল মিডিয়াতে যা খুশি বলতেই পারে।
যাই হোক, আমি দুঃখিত। ত্যানা প্যাচানোর জন্য না। এই স্টেটাস'এ বাধ্য হয়ে "গু" শব্দটা ব্যবহার করেছি বলে।
সাকিব ক্যামেরার সামনে অশোভন ভঙ্গি করলো। তার শাস্তি হলো। আমরাও এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালাম। অবশ্যই সাকিবের মত আইকনের এমন করা উচিত হয় নাই। সাকিব'ও ভুল বুঝতে পেরেছে, অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমাও চেয়েছে।
কিছুদিন আগে এক স্কুলে কি এক অনুষ্ঠানে গিয়ে এক এমপি (নাকি মন্ত্রী?) সিগারেট খেয়েছেন। সেই ছবি নিয়ে ছি ছি রব উঠেছে। আমরাও সোচ্চার হয়েছি যে তার এই কাজটি খারাপ হয়েছে। তিনি তার ভুল বুঝতে পেরে সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন এবং এমন ভুল আর হবে না বলে প্রমিস করেছেন।
গতকাল রাতে ৭১ টিভিতে একটা টকশো দেখছিলাম। কাছের এবং পছন্দের মানুষরা এসেছে কথা বলতে, তাই আগ্রহ নিয়েই দেখছিলাম। টপিক হলো - সাংস্কৃতিক আগ্রাসন, চ্যানেল বানিজ্য, আমাদের অনুষ্ঠানের কোয়ালিটি ইত্যাদি। বেশ স্বতস্ফুর্ত আলোচনা হচ্ছে, আমি মনোযোগ দিয়ে শুনছি।
এ সময়ের একজন প্রতিভাবান নাটক নির্মাতাও আছেন প্যানেলে, যার বানানো নাটকের আমি বিশাল ফ্যান। তাকে একটা প্রশ্ন করা হলো - "আপনি যে নাটকগুলো বানান, সেগুলোর প্যাকেজিং নিয়ে কি আপনি খুশি?" উনি জবাব দেয়া শুরু করলেন এভাবে, "দেখেন, আমরা বেসিকালি গু নাটক বানাই। আমাদের বেশির ভাগ নাটকই হয় গু'এর মত. ..." (এক্স্যাক্ট শব্দগুলো হয়ত মনে নাই, কিন্তু গু শব্দটা বড়ই বোল্ডলি উচ্চারণ করছিলেন তিনি)
বাকি অতিথিরা দেখলাম হালকা মুচকি হাসি দিয়ে ব্যাপারটাকে হালকা করার চেষ্টা করলেন। কিন্তু, আমি ওই গু'তেই আটকে গেলাম। একটা ন্যাশনাল মিডিয়াতে এতগুলো জ্ঞানী-গুনি মানুষের মধ্যে বসে এই শব্দটা কি ব্যবহার না করলেই চলত না? ওনার কাজের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, উনি বোধহয় কোনটা ক্যাজুয়াল স্মার্টনেস আর কোনটা রুচিহীন নোংরামি - সেই পার্থক্যটা ধরতে পারেন নি।
ভাই রে, গ্রেট পাওয়ার কামস উইথ গ্রেট রেসপনসিবিলিটি। সাকিবের তুলনায় এই নাট্যনির্মাতা হয়ত খুবই ক্ষুদ্র তারকা, তাই হয়ত তার দ্বায়ভার কিছুটা কম। কিন্তু আমি শিওর, অন্তত তরুণ মহলে ওই বিড়িখেকো এমপির চেয়ে এই নাট্যনির্মাতার গ্রহণযোগ্যতা বেশি। ইউথের উপর তার ইনফ্লুয়েন্সও ডেফিনিটলি বেশি।
তর্কে যাচ্ছিনা। সাকিবের বা এমপি সাহেবের আচরণ যেমন কুরুচিসম্পন্ন এবং লজ্জাজনক, আমার কাছে এই নাত্যনির্মাতার শব্দচয়নও নিতান্তই সস্তা নোংরামি।
প্রথমেই কনফিউজড বলেছিলাম কেন জানেন? কেন জানি মনে হচ্ছে, এই ইস্যুতে বেশির ভাগ মানুষকেই আমি আমার বিপক্ষে পাব। এই সেলেব্রিটি কখনই ক্ষমা চাইবে না। উল্টা তার পক্ষের লোকজন আমাকে উপদেশ দিবে, "কুল ডাউন ম্যান, কথায় কথায় শিট যদি বলতে পারি, গু বললে দোষ কোথায়? আপনে মিয়া হুদাই ত্যানা প্যাচান। ইন ফ্যাক্ট ইট্স ফেব্রুয়ারি মান্থ, উই অল শুড ইউজ বাংলা ওয়ার্ডস। " আরো খারাপ কথাও বলবে। ওস্তাদ যদি টিভি মিডিয়াতেই গু বলতে পারে, মুরিদরা তো সোশাল মিডিয়াতে যা খুশি বলতেই পারে।
যাই হোক, আমি দুঃখিত। ত্যানা প্যাচানোর জন্য না। এই স্টেটাস'এ বাধ্য হয়ে "গু" শব্দটা ব্যবহার করেছি বলে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন