আমার মা তার বংশের সবচাইতে বড় মেয়ে। বাই ডিফল্ট আমার বাবা হলেন সবচেয়ে বড় দুলাভাই।
আম্মারা ৬ বোন। সেই সুবাদে আমার বাবার আপন শালির সংখ্যা ৫; আর আম্মার বিশাল কাজিন-বাহিনী ক্যালকুলেট করলে শালির সংখ্যা "অগুন্তি"।
ছোটবেলা থেকে আর কিছু না বুঝলেও এইটা বুঝতাম যে আশেপাশে শালিদের কিচিরমিচির আমার পিতৃদেব বেশ উপভোগ করেন। তাদের খোঁচাখুচি, মস্করা ইত্যাদি আমার দৃশ্যতঃ গম্ভীর শিক্ষক বাবার মুখে একটা পরিতৃপ্তির হাসি নিয়ে আস্ত।
তখনই ডিসিশন নিয়ে নেই, বিবাহ যখন করিবো, অবশ্যই শালির সংখ্যা গুনিয়াই করিবো। এবং তাহাদের বাধ্য করিব, যেন তাহারা আমাকে অবশ্যই "দুলাভাই" বলিয়া সম্বোধন করে।
আমার বিবাহ হলো। যৌতুক হিসেবে পেলাম তিন-তিনটি হাট্টা-গোট্টা শালা। শালিসংখ্যা - শুন্য।
বৌএর কাজিন-বাহিনী'তে কিছু প্রসপেক্ট থাকলেও নিষ্ঠুরের মত তারা সে আশার গুড়েও বালি ঢেলে দিল। সুরে-সুরে "ভাইয়া", "রাজীব ভাইয়া" ইত্যাদি সম্বোধনে আমাকে জর্জরিত করে ফেললো। ধর্মে থাকলে রাখিও পরিয়ে ফেলতে পারত। আমি তাদের এমনি এক "ভাইয়া" হয়ে গেলাম, পারলে আমার বউকেই (মানে তাদের বোনকেই) তারা "ভাবী" বলে ডাকে। ইনফ্যাক্ট আমার এক শালি আমার পুত্র হওয়ার পর ঘোষণা দিয়েছে - "জীয়ন কিন্তু আমাকে খালা ডাকতে পারবে না, আমার ফুপু ডাকতে হবে। আদর করে ফুপস।"
মনের কষ্ট মনেই রয়ে গেল। চোখের পানি চোখেই যে শুকালো।
উদ্ধার করতে আবির্ভূত হলেন আমার ডাক্তার ফুপুশাশুড়ি, তিনি তার দুই কন্যাকে শিখালেন আমাকে "দুলাভাই" বলে ডাকতে। আহা, কি মধুর সেই ডাক। একেকবার তারা "দুলাভাই" বলে ডাকে, আমি মনে মনে বলি - "ড্যাড, ইউ হ্যাভ শালী! আই হ্যাভ টু। ইউ আর দুলাভাই, মি দুলাভাই টু। হুহ!"
পার্থক্য শুধু এক জায়গাতেই। আমার বাবা'র শালিগুলি ছিল কলেজ-ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া। আর আমার একটার বয়স ৫, আরেকটার ৩। ইয়ে, মানে ... জ্বি, দু'জনই আমার মেয়ে জয়ীর চাইতেও ছোট।
যাই হোক, লেটেস্ট আপডেট দেই।
আজকে খেয়াল করলাম আরো ৮/১০ জন ইদানিং আমাকে বেশ পেয়ার-মহব্বতের সাথে দেখা হলেই হাসিমুখে "দুলাভাই" ডাকা শুরু করেছে। আবেগে কাইন্দানালাইলেও ব্যাপারটা আমি বেশ এনজয় করছি।
এই ৮/১০ জন হলো আমার শ্বশুরবাড়ির দারওয়ান, কেয়ারটেকার, শ্বশুরের এবং অন্যান্য ফ্ল্যাটের ড্রাইভারবৃন্দ।
আমি কিন্তু ব্যাপারটাকে পসিটিভ ভাবেই দেখছি।
ছোট করেই নাহয় হোক, তবু শুরুটা তো হোক ...
আম্মারা ৬ বোন। সেই সুবাদে আমার বাবার আপন শালির সংখ্যা ৫; আর আম্মার বিশাল কাজিন-বাহিনী ক্যালকুলেট করলে শালির সংখ্যা "অগুন্তি"।
ছোটবেলা থেকে আর কিছু না বুঝলেও এইটা বুঝতাম যে আশেপাশে শালিদের কিচিরমিচির আমার পিতৃদেব বেশ উপভোগ করেন। তাদের খোঁচাখুচি, মস্করা ইত্যাদি আমার দৃশ্যতঃ গম্ভীর শিক্ষক বাবার মুখে একটা পরিতৃপ্তির হাসি নিয়ে আস্ত।
তখনই ডিসিশন নিয়ে নেই, বিবাহ যখন করিবো, অবশ্যই শালির সংখ্যা গুনিয়াই করিবো। এবং তাহাদের বাধ্য করিব, যেন তাহারা আমাকে অবশ্যই "দুলাভাই" বলিয়া সম্বোধন করে।
আমার বিবাহ হলো। যৌতুক হিসেবে পেলাম তিন-তিনটি হাট্টা-গোট্টা শালা। শালিসংখ্যা - শুন্য।
বৌএর কাজিন-বাহিনী'তে কিছু প্রসপেক্ট থাকলেও নিষ্ঠুরের মত তারা সে আশার গুড়েও বালি ঢেলে দিল। সুরে-সুরে "ভাইয়া", "রাজীব ভাইয়া" ইত্যাদি সম্বোধনে আমাকে জর্জরিত করে ফেললো। ধর্মে থাকলে রাখিও পরিয়ে ফেলতে পারত। আমি তাদের এমনি এক "ভাইয়া" হয়ে গেলাম, পারলে আমার বউকেই (মানে তাদের বোনকেই) তারা "ভাবী" বলে ডাকে। ইনফ্যাক্ট আমার এক শালি আমার পুত্র হওয়ার পর ঘোষণা দিয়েছে - "জীয়ন কিন্তু আমাকে খালা ডাকতে পারবে না, আমার ফুপু ডাকতে হবে। আদর করে ফুপস।"
মনের কষ্ট মনেই রয়ে গেল। চোখের পানি চোখেই যে শুকালো।
উদ্ধার করতে আবির্ভূত হলেন আমার ডাক্তার ফুপুশাশুড়ি, তিনি তার দুই কন্যাকে শিখালেন আমাকে "দুলাভাই" বলে ডাকতে। আহা, কি মধুর সেই ডাক। একেকবার তারা "দুলাভাই" বলে ডাকে, আমি মনে মনে বলি - "ড্যাড, ইউ হ্যাভ শালী! আই হ্যাভ টু। ইউ আর দুলাভাই, মি দুলাভাই টু। হুহ!"
পার্থক্য শুধু এক জায়গাতেই। আমার বাবা'র শালিগুলি ছিল কলেজ-ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া। আর আমার একটার বয়স ৫, আরেকটার ৩। ইয়ে, মানে ... জ্বি, দু'জনই আমার মেয়ে জয়ীর চাইতেও ছোট।
যাই হোক, লেটেস্ট আপডেট দেই।
আজকে খেয়াল করলাম আরো ৮/১০ জন ইদানিং আমাকে বেশ পেয়ার-মহব্বতের সাথে দেখা হলেই হাসিমুখে "দুলাভাই" ডাকা শুরু করেছে। আবেগে কাইন্দানালাইলেও ব্যাপারটা আমি বেশ এনজয় করছি।
এই ৮/১০ জন হলো আমার শ্বশুরবাড়ির দারওয়ান, কেয়ারটেকার, শ্বশুরের এবং অন্যান্য ফ্ল্যাটের ড্রাইভারবৃন্দ।
আমি কিন্তু ব্যাপারটাকে পসিটিভ ভাবেই দেখছি।
ছোট করেই নাহয় হোক, তবু শুরুটা তো হোক ...
পোদ মারার বাংলা চটি কাহিনী
উত্তরমুছুন