শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৩

ব্যাখ্যাহীন গল্প

এই স্টেটাসটি হয়ত আমি লিখে শেষ করতে পারব। কিন্তু কেউ যদি এই স্টেটাসের সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যা আমার কাছে জানতে চান, আমি সেটা দিতে পারব না। 

কিছুদিন আগের কথা। বাসায় শুধু আমর বউ পূনম আর আমার দেড় বছরের ছেলে জীয়ন। জীয়ন সারাক্ষনই ঘরের মধ্যে দৌড়াদৌড়ি করে, সেদিনও করছিল। হঠাত করেই এক দৌড়ে সে আমাদের বেডরুমে ঢুকে যায়। এবং পূনম দৌড়ে আসতে আসতেই জীয়ন এক ধাক্কায় ভিতর থেকে দরজা লাগিয়ে দেয়। দরজার লকটা বেশ কিছুদিন ধরেই ঝামেলা করছিল; মাঝে মাঝেই অটো-লক হয়ে যাচ্ছিল। এবং ... তখনও তাই হলো। ভয়ংকর ব্যাপারটা হলো, বেডরুমের একটা চাবি তখন বেডরুমের ভিতরে, আরেকটা আমার কাছে। আমি অফিসে, তখন খবর দিলেও আসতে মিনিমাম ১ ঘন্টা লাগবে!

বেডরুমের ভিতরে ছেলে একা, মা বাইরে। ছেলে এতই ছোট যে তার হাত দরজার নব পর্যন্ত পৌছবে না, প্লাস ওকে নব ঘুরিয়ে দরজা খোলা ব্যাপারটা বোঝানোও তো পসিবল না। বুঝতেই পারছেন আমার বউ'এর তখনকার অবস্থা। ছোট একটা মানুষ, রুমের মধ্যে টিভি, শোকেস - ভারী ভারী সব জিনিস, যে কোনটা ধরে টান দিলেই তো ভর্তা হয়ে যাবে।

আমাদের বাসার অন্যান্য সব ঘরের দরজার চাবি (শুধুমাত্র বেডরুমেরটা বাদে) আরেকটা জায়গায় রাখা থাকে, সেসব চাবি বের করা হলো। বাকিটা বউ'এর কথাতেই বলি ...

"আমি জানি যে এসব চাবি দিয়ে বেডরুমের দরজা খোলা যাবে না। তারপরও মনে হচ্ছিল একবার ট্রাই করে দেখি। প্রথম ৬/৭টা চাবি লাগলো না। শেষ চাবিটা হাতে নিয়ে চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ আল্লাহকে ডাকলাম। তারপর চাবিটা ঢুকলাম। আর ... চাবিটা দিয়ে দরজা খুলে গেল! আমি এক দৌড়ে ভিতরে ঢুকলাম, দেখি জীয়ন বিছানার পাশে বসে বসে একা একা খেলছে। এত স্বস্তি মনে হয় আমি জীবনে কোনদিন ফিল করি নাই। দরজাটা আজকে আল্লাহ খুলে দিসে রাজীব, নাহলে এই চাবি দিয়ে বেডরুমের দরজা খোলার কথা না।"

যে জিনিষটার কোনো সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যা আমি দিতে পারব না, এবার সেটা বলি।

ওই চাবির গোছার প্রত্যেকটা চাবি দিয়ে আমি আর পূনম মিলে মিনিমাম ৫০০ বার আমাদের বেডরুমের দরজা খোলার চেষ্টা করেছি।

একবারও খোলেনি!!!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন