জয়িতা-জীয়নের ভবিষ্যতের জন্য কি একটা জিনিস চাইতে পারি আপনাদের দু'জনের কাছে? শুধু আমার জয়িতা-জীয়ন না, বাংলাদেশের সব বাবা-মা'র জয়িতা-জীয়নের ভবিষ্যতের জন্য। আমি জানি আপনারা দু'জন'ই অনেক ধার্মিক মানুষ; আপনারা রোজা রাখেন, যাকাত দেন, খুব অসুস্থ না হলে নামাজ ক্বাযা করেন না। হজ্জ, ওমরাহ'ও করেছেন বেশ কয়েকবার। ধর্মকে জীবনের প্রতিটা ধাপে আপনারা মেনে চলেন, অক্ষরে-অক্ষরে।
ঈদের প্রকৃত সৌন্দর্যটাও তাহলে একটু উপভোগ করুন না প্লিজ। কোলাকুলিটা করেই ফেলুন না এবার সব ভুলে। ঈদ মানে তো সাম্য, সৌহার্দ, বন্ধুত্ব, ভ্রাত্তিত্ব; জাত-বর্ণ-বিভেদ ভুলে শত্রুকেও বুকে টেনে নেয়া। ঈদের দিন কোলাকুলির উসিলায় আমরা যখন কাছে আসি, হাজার মতভেদের দুরত্বও ঘুঁচে যায়। বিশ্বাস করুন, আপনাদের দূরত্বও কমে যাবে, শত্রুতা বদলে যাবে বন্ধুতায়। আপনারা শুধু কোলাকুলির ব্যবস্থাটা করেন, বাকিটার জন্য আল্লাহ-তা'আলার উপর আস্থা রাখেন। যারা আল্লাহ'তে বিশ্বাস রাখেন, তারা আল্লাহ'র চমত্কারিত্তেও আস্থা রাখেন। আমি সে দলেরই একজন।
যেকোন একজন ইনিসিয়েটিভটা নিয়ে ফেলুন প্লিজ। ফরমালিটির গুষ্টি কিলিয়ে, আজ রাতেই একটা ফোন করে ফেলুন: "আপা, আমি বলছি। (নাম বলার প্রয়োজনই নাই, আপনাদের কন্ঠ চেনে না, এমন মানুষ এই দেশে নাই) কালকে সকালে বাসায় থাকবেন তো? আমি বেড়াতে আসব, ঈদের সেমাই খেতে। আপনার বাবুর্চিকে চিনি কম দিয়ে সেমাই রাঁধতে বলে রেখেন, এই বয়সে আপনার-আমার দু'জনেরই তো মিষ্টিতে প্রবলেম।"
বাজি ধরতে পারেন আমার সাথে; কেউ খারাপ বলবে না আপনাদের, কেউ সমালোচনা করবে না। আপনাদের কম-মিষ্টি সেমাই'এর সুইটনেসে পুরা দেশের মুখ মিষ্টি হয়ে যাবে। কত্তো সমস্যার যে এক ঝটকায় সমাধান হয়ে যাবে, আপনরা হয়ত ভাবতেও পারছেন না।
[পুরা লেখার কোথাও আপনাদের নাম উল্লেখ করিনি; তবু কারোর এতটুকুও সমস্যা হচ্ছে না আপনাদের চিনতে। ভেবে দেখুন তাহলে কি আকুল হয়ে আমরা আপনাদের কোলাকুলির জন্য অপেক্ষা করছি।]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন