ইদানিং বারিধারায়, একটা রাম-ছাগল, রাতের বেলা ভয়ংকর আওয়াজ করতে করতে গাড়ি চালায়। রাম-ছাগলটাকে কি কেউ চেনেন?
কাল রাত ১১টার দিকে বারিধারায় বন্ধুর বাসায় আড্ডা দিচ্ছি। কিছুক্ষণ পরপরই চমকে উঠছিলাম রাস্তা থেকে আসা একটা গাড়ির স্কীড করার প্রচন্ড শব্দে। বুঝলাম বুদ্ধি-শুদ্ধি লোপ পাওয়া বড়লোক বাপের একটা রাম-ছাগল সন্তান রাত দুপুরে গাড়ির শো-ডাউন করতে বের হয়েছে। ১২টার দিকে যখন বাসায় ফেরার জন্য বের হলাম, তখনও বালকটা ভো-ভো করে বারিধারা চক্কর কাটছিল। একবার ভাবলাম কিছুক্ষণ ওয়েইট করি, সামনে দিয়ে গেলে গাড়ি থামিয়ে দুইটা রাম-থাবর লাগাই। বেশি রাত হয়ে যাচ্ছিল দেখে ওয়েইট করাও হলো না, থাবরটাও দেয়া হলো না।
ফেইসবুক খুব সুন্দর একটা "ভূত-থেকে-ভুতে" মিডিয়াম। ছড়াতে ছড়াতে এই লেখাটা হয়ত ওই রাম-ছাগল বা তার পরিচিত কারো চোখে পরেও যেতে পারে। তার কাছে আমার কিছু কথা পৌছাবার আছে:
১। রমজান মাসে রাত ১২টা মানে অনেক রাত। ধর্মপ্রাণ মানুষ সারাদিনের রোজা আর রাতের তারাবি শেষ করে বিছানায় যায় একটু তাড়াতাড়ি, কারণ সেহরী করতে ভোর রাতে উঠতে হয়। এই ঘুমটা তাদের জন্য খুব জরুরি।
২। যেকোনো বাসাতেই অসুস্থ, বৃদ্ধ আর শিশু থাকতে পারে।
৩। যে বিকট আওয়াজ তুমি তোমার গাড়ির পশ্চাদ্দেশ দিয়ে ছাড়ছো, তাতে যে কারোরই রাতের ঘুম হারাম হতে বাধ্য। দুর্বল্চিত্ত্ব মানুষের হার্ট এটাক হওয়াটাও অস্বাভাবিক না।
৪। দয়া করে এই ছাগলামি'টা বন্ধ করো, রাম-থাবর যেদিন চোপায় পড়বে, গাড়ি থেকে না - অন্য কোথাও থেকে ভো-ভো আওয়াজ বের হবে।
শেষ কথা:
আব্বুর নিশ্চয়ই অনেক টাকা আছে, তাকে গিয়ে বল গাড়িটা ঠিক করে বা বদলে দিতে। ৩০ মাইল স্পীডের ধোয়া ছাড়তে থাকা ভো-ভো গাড়ির ড্রাইভার'কে স্মার্ট বলে না রে - রামছাগল বলে।
(রামছাগল খুঁজতে কেউ যদি এই স্টেটাসটি শেয়ার করতে চান, অনুমতির প্রয়োজন নাই)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন