সাধারণ কিছু মানুষের গল্প বলি।
একটা ছেলেকে চিনি। আমার-আপনার মতই সাধারণ একটা মানুষ। চাকরি করে, ফ্যামিলি-বন্ধু-বান্ধব মেইনটেইন করে, কিন্তু পাশাপাশি একটা অসাধারণ কাজও করে। চেনা-অচেনা কারোর যদি রক্তের প্রয়োজন হয়, ছেলেটা সব কাজ ফেলে রক্ত জোগাড়ে লেগে পরে। কত কত মানুষ যে তাদের চরম বিপদে এই ছেলের সাহায্য পেয়েছে, সেই হিসাব হয়ত এই ছেলের কাছেও নাই।
আরেকটা ছেলকে চিনি যে কিনা নিজ উদ্যোগে মাথার ঘাম পা'এ ফেলে পুরা ঢাকা শহর চষে ফেলে টাকা জোগাড় করেছে, কিছু গরীব বাচ্চাকে ঈদে নতুন জামা-কাপড় দেবে বলে। এবং দিয়েছেও, অনেকগুলো বাচ্চাকে, অনেকগুলো নতুন জামা।
আরেকজনকে চিনি, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কিছু করার স্বপ্ন নিয়ে কাজ শুরু করেছিল সে। আজকে পুরা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে তার বাহিনী, কয়েক হাজার সুবিধাবঞ্চিত শিশু আজ পড়াশোনা করতে পারছে তার এই সুন্দর স্বপ্নটার কারণেই।
সাভারে যখন রানা প্লাজা ধ্বসে পড়ল, কিংবা রামুতে যখন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উপর জঘন্য আক্রমন হলো, কিছু তরুন-তরুনীকে দেখেছি নাওয়া-খাওয়া ভুলে ছুটে যেতে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে। কি সাহস, কি শক্তি তাদের! না দেখতে বিশ্বাস করা যায়না।
ফেলে দেয়া প্লাস্টিকের বোতল আর সামান্য পরিমান ব্লিচিং পাউডার দিয়ে একদল অসম্ভব মেধাবী তরুণ লাইট বানাচ্ছে, যা দিয়ে হয়ত একদিন সারা বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠির জীবনে শিক্ষার আলো নিয়ে আসা সম্ভব।
এতটুকু পড়ে যারা ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন যে, এদেশে কোনো খারাপ মানুষ নাই, তাদের বলছি। রূপকথার গল্পে যেমন রাক্ষস-খোক্কস-ডাইনি বুড়ি থাকে, এখানেও আছে। "অনলাইন রেপ"এর নাম শুনেছেন? আমাদের মাঝেই কিছু মানুষ নামের কলঙ্ক আছে যারা আপনার বা আমার বোনের ব্যক্তিগত কোনো ছবি তাদের অজান্তেই কোনো অ্যাডাল্ট সাইটে আপলোড করে দেয়। ফলশ্রুতিতে, একসময় সামাজিক ভাবে হেয় হতে হতে অনেক মেয়ে এমনকি আত্মহত্যার পথ পর্যন্ত বেছে নিয়েছে। মনগড়া গল্প না এটা, এমন ঘটনা আমরা অনেকেই ঘটতে দেখেছি।
কিন্তু গল্পের ভিলেন বধ করতে যেমন নায়ক থাকে, স্বস্তির কথা হলো, এসব ভিলেনদের মারতে নায়করাও কিন্তু পিছিয়ে নাই। একদল অসাধারণ ছেলে-মেয়ে'কে চিনি, যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে এই ঘৃণ্য অপকর্মগুলো ঠেকানোর জন্য।
এদের কারো কোনো পলিটিকাল এজেন্ডা নাই। ক্ষমতা বা টাকা-পয়সার লোভ নাই এদের কারোর। এরা একে অন্যকে পিছন থেকে টেনে ধরার অশ্লীল প্রতিযোগিতায় মত্ত না। এরা একসাথে কাজ করতে জানে, কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে। এদের কাজের ক্ষেত্র ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু বিশ্বাস-মন্ত্র সবার একটাই - আমরা যদি না জাগি মা, ক্যামনে সকাল হবে?
এরা কেউ সুপারহিরো না, কেউ উড়তে পারে না, দেয়াল ফুঁড়ে ওপারের জিনিস দেখতে পারে না। কিন্তু ওরা আশ্চর্য সুন্দর সব স্বপ্ন দেখতে পারে, সবাই মিলে সেই স্বপ্ন গুলো যদি সত্যি করতে পারি, ছোট-বড় অনেক কষ্ট হয়ত একদিন সত্যি সত্যি'ই হাওয়ায় উড়ে যাবে।
কাকতালীয় ভাবেই আমার সাথে পরিচয় হয় আজব এক তরুনের; নাম আরিফ আর হোসাইন। অসাধারণ তার চিন্তাধারা, আশ্চর্য সহজ আর সুন্দর তার লেখা। তার পরিচয় জানে না এমন মানুষ ফেইসবুক'এ অন্তত খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আমরা হঠাতই অনুধাবন করি, আমাদের দু'জনের স্বপ্নটা আসলে একই। এই স্বপ্ন নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে পরিচয় হয় কিছু দুর্দান্ত তরুনের সাথে, যাদের স্বপ্নগুলোও একই সুতায় বাঁধা; যাদের কথা দিয়েই এই লেখাটির শুরু। আমরা একমত হই, ওরা ছাড়াও আমাদের অজানা আরো অনেকেই আছেন যারা নিজ নিজ জায়গা থেকে ভালো কিছু করার চেষ্টা করছেন। আমরা তাদেরকেও একসাথে করতে চাই, সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করতে চাই। আমরা কিন্তু আপনাকেও চাই। কারনটা খুব সিম্পল আর সেটা হলো - আপনি একজন ভালো মানুষ এবং আপনি এই দেশটাকে ভালবাসেন। ভুল বলেছি? বলুন? আর তাছাড়া আপনি হয়ত কখনো বুঝতেও পারেন নি, আপনি কতখানি ক্ষমতার অধিকারী বা অধিকারিনী। মিছিল একটা অদ্ভূত সুন্দর জায়গা, একটা সাধারণ মানুষ যখন মিছিলে যায়, স্লোগানে গলা মেলায়, তখনি সে নিজেকে নতুন করে চিনতে পারে। মিছিলটা রেডি হচ্ছে, আপনারাও রেডি হতে থাকুন।
এবার একটু সিরিয়াস ভাবেই বলি। ইতিহাস তো বলে, দেয়ালে পীঠ থেকে গেলে নাকি সবাই একসাথে ফুঁসে ওঠে। দেয়ালে পীঠ ঠেকতে কি আর বাকি আছে আমাদের? ছেলে-ভোলানো বড় বড় কথা বলা আর শোনা বাদ দিয়ে সময় এসেছে কিছু একটা করার; সবাই মিলে একসাথে। ছোট করেই নাহয় হোক, শুরুটা তো করি।
দেখি না কি হয়? দেশটা তো আমাদেরই, তাই না?
আমরাই বাংলাদেশ।
একটা ছেলেকে চিনি। আমার-আপনার মতই সাধারণ একটা মানুষ। চাকরি করে, ফ্যামিলি-বন্ধু-বান্ধব মেইনটেইন করে, কিন্তু পাশাপাশি একটা অসাধারণ কাজও করে। চেনা-অচেনা কারোর যদি রক্তের প্রয়োজন হয়, ছেলেটা সব কাজ ফেলে রক্ত জোগাড়ে লেগে পরে। কত কত মানুষ যে তাদের চরম বিপদে এই ছেলের সাহায্য পেয়েছে, সেই হিসাব হয়ত এই ছেলের কাছেও নাই।
আরেকটা ছেলকে চিনি যে কিনা নিজ উদ্যোগে মাথার ঘাম পা'এ ফেলে পুরা ঢাকা শহর চষে ফেলে টাকা জোগাড় করেছে, কিছু গরীব বাচ্চাকে ঈদে নতুন জামা-কাপড় দেবে বলে। এবং দিয়েছেও, অনেকগুলো বাচ্চাকে, অনেকগুলো নতুন জামা।
আরেকজনকে চিনি, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কিছু করার স্বপ্ন নিয়ে কাজ শুরু করেছিল সে। আজকে পুরা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে তার বাহিনী, কয়েক হাজার সুবিধাবঞ্চিত শিশু আজ পড়াশোনা করতে পারছে তার এই সুন্দর স্বপ্নটার কারণেই।
সাভারে যখন রানা প্লাজা ধ্বসে পড়ল, কিংবা রামুতে যখন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উপর জঘন্য আক্রমন হলো, কিছু তরুন-তরুনীকে দেখেছি নাওয়া-খাওয়া ভুলে ছুটে যেতে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে। কি সাহস, কি শক্তি তাদের! না দেখতে বিশ্বাস করা যায়না।
ফেলে দেয়া প্লাস্টিকের বোতল আর সামান্য পরিমান ব্লিচিং পাউডার দিয়ে একদল অসম্ভব মেধাবী তরুণ লাইট বানাচ্ছে, যা দিয়ে হয়ত একদিন সারা বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠির জীবনে শিক্ষার আলো নিয়ে আসা সম্ভব।
এতটুকু পড়ে যারা ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন যে, এদেশে কোনো খারাপ মানুষ নাই, তাদের বলছি। রূপকথার গল্পে যেমন রাক্ষস-খোক্কস-ডাইনি বুড়ি থাকে, এখানেও আছে। "অনলাইন রেপ"এর নাম শুনেছেন? আমাদের মাঝেই কিছু মানুষ নামের কলঙ্ক আছে যারা আপনার বা আমার বোনের ব্যক্তিগত কোনো ছবি তাদের অজান্তেই কোনো অ্যাডাল্ট সাইটে আপলোড করে দেয়। ফলশ্রুতিতে, একসময় সামাজিক ভাবে হেয় হতে হতে অনেক মেয়ে এমনকি আত্মহত্যার পথ পর্যন্ত বেছে নিয়েছে। মনগড়া গল্প না এটা, এমন ঘটনা আমরা অনেকেই ঘটতে দেখেছি।
কিন্তু গল্পের ভিলেন বধ করতে যেমন নায়ক থাকে, স্বস্তির কথা হলো, এসব ভিলেনদের মারতে নায়করাও কিন্তু পিছিয়ে নাই। একদল অসাধারণ ছেলে-মেয়ে'কে চিনি, যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে এই ঘৃণ্য অপকর্মগুলো ঠেকানোর জন্য।
এদের কারো কোনো পলিটিকাল এজেন্ডা নাই। ক্ষমতা বা টাকা-পয়সার লোভ নাই এদের কারোর। এরা একে অন্যকে পিছন থেকে টেনে ধরার অশ্লীল প্রতিযোগিতায় মত্ত না। এরা একসাথে কাজ করতে জানে, কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে। এদের কাজের ক্ষেত্র ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু বিশ্বাস-মন্ত্র সবার একটাই - আমরা যদি না জাগি মা, ক্যামনে সকাল হবে?
এরা কেউ সুপারহিরো না, কেউ উড়তে পারে না, দেয়াল ফুঁড়ে ওপারের জিনিস দেখতে পারে না। কিন্তু ওরা আশ্চর্য সুন্দর সব স্বপ্ন দেখতে পারে, সবাই মিলে সেই স্বপ্ন গুলো যদি সত্যি করতে পারি, ছোট-বড় অনেক কষ্ট হয়ত একদিন সত্যি সত্যি'ই হাওয়ায় উড়ে যাবে।
কাকতালীয় ভাবেই আমার সাথে পরিচয় হয় আজব এক তরুনের; নাম আরিফ আর হোসাইন। অসাধারণ তার চিন্তাধারা, আশ্চর্য সহজ আর সুন্দর তার লেখা। তার পরিচয় জানে না এমন মানুষ ফেইসবুক'এ অন্তত খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আমরা হঠাতই অনুধাবন করি, আমাদের দু'জনের স্বপ্নটা আসলে একই। এই স্বপ্ন নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে পরিচয় হয় কিছু দুর্দান্ত তরুনের সাথে, যাদের স্বপ্নগুলোও একই সুতায় বাঁধা; যাদের কথা দিয়েই এই লেখাটির শুরু। আমরা একমত হই, ওরা ছাড়াও আমাদের অজানা আরো অনেকেই আছেন যারা নিজ নিজ জায়গা থেকে ভালো কিছু করার চেষ্টা করছেন। আমরা তাদেরকেও একসাথে করতে চাই, সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করতে চাই। আমরা কিন্তু আপনাকেও চাই। কারনটা খুব সিম্পল আর সেটা হলো - আপনি একজন ভালো মানুষ এবং আপনি এই দেশটাকে ভালবাসেন। ভুল বলেছি? বলুন? আর তাছাড়া আপনি হয়ত কখনো বুঝতেও পারেন নি, আপনি কতখানি ক্ষমতার অধিকারী বা অধিকারিনী। মিছিল একটা অদ্ভূত সুন্দর জায়গা, একটা সাধারণ মানুষ যখন মিছিলে যায়, স্লোগানে গলা মেলায়, তখনি সে নিজেকে নতুন করে চিনতে পারে। মিছিলটা রেডি হচ্ছে, আপনারাও রেডি হতে থাকুন।
এবার একটু সিরিয়াস ভাবেই বলি। ইতিহাস তো বলে, দেয়ালে পীঠ থেকে গেলে নাকি সবাই একসাথে ফুঁসে ওঠে। দেয়ালে পীঠ ঠেকতে কি আর বাকি আছে আমাদের? ছেলে-ভোলানো বড় বড় কথা বলা আর শোনা বাদ দিয়ে সময় এসেছে কিছু একটা করার; সবাই মিলে একসাথে। ছোট করেই নাহয় হোক, শুরুটা তো করি।
দেখি না কি হয়? দেশটা তো আমাদেরই, তাই না?
আমরাই বাংলাদেশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন