শুক্রবার, ৯ আগস্ট, ২০১৩

"লাইটটা", "হোইক্কা" আর "জোইজ্জা"


"লাইটটা", "হোইক্কা" আর "জোইজ্জা"

গল্পটা ঈদের দিন শুনলাম, ফুপুশ্বাশুরির কাছ থেকে। মজা পেলাম, তাই ভাবলাম শেয়ার করি। গল্পের আগে একটু প্রেফেইস দিতে হবে। আমার শ্বশুরবাড়ির দিকে ভালবাসা প্রকাশের একটা মাধ্যম হলো মানুষকে বিকৃত নামে ডাকা। বুঝিয়ে বলছি। আমার তিন শালা - অমি, রুমী, জামী। কিন্তু তাদেরকে ডাকা হয় ওইম্মা, রুইম্মা, জাইম্মা বলে। পুরুষ-নারী-শিশু-বৃদ্ধ কেউ এই নিয়ম থেকে নিস্তার পাবে না। রুল ইজ রুল। প্রত্যেকেরই একটা করে "আদরের" নাম আছে, এবং এই বিকৃত নামটাই সময়ের সাথে হয়ে ওঠে বেশি পপুলার; আসল নামেটা ধীরে ধীরে মানুষ ভুলে যেতে থাকে। বলাই বাহুল্য, আমার বউ'এরও এমন একটা "আদরের নাম" আছে; যদিও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কথা ভেবে সেটা এখানে উল্লেখ না করাটাই সমীচীন বলে বোধ করছি। 

যাই হোক, এবার গল্পে আসি। শ্বশুর-সাহেবের গ্রামে এক বাড়িতে থাকে তিন ভাই। তাদের নাম "লাইটটা", "হোইক্কা" আর "জোইজ্জা"; এই নামেই সবাই তাদের চেনে এবং কারো মাথায় কখনই প্রশ্ন জাগে নাই যে তাদের অকিকাকৃত নামগুলো আসলে কি।  কি হতে পারে তাদের নাম, বলুন তো? এনি গেইস?

...........


পরবর্তিতে কোনভাবে জানা গেল, এই তিন ভাইয়ের বাবার শখ ছিল তার ছেলেদের যেন সবাই খুব সম্মানের চোখে দেখে। তাই তাদের নাম রেখেছিলেন "লাট", "হক" এবং "জজ"। যেদিন তারা বড় হবে সবাই তাদের "লাট সাহেব", "হক সাহেব" আর "জজ সাহেব" বলে ডাকবে। গর্বে বাবার বুক ভরে উঠবে।

কিন্তু বিধি বাম। হি শুড নট হ্যাভ আন্ডারএসটিমেটেড দা লোকাল সেন্টিমেন্ট। 

"লাইটটার বাপ", "হোইক্কার বাপ", "জোইজ্জার বাপ" ---- ভদ্রলোকের অবস্থা কিন্তু পুরাই লোল। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন