আমার মোবাইল ফোনের কন্টাক্ট লিস্ট দেখি "পেইনে" মাখামাখি!
এর সূত্রপাত বেশ আগে। এক পাবলিক আগে রেগুলার ফোন দিত। আয়েশাকে খুঁজতে। এই আয়েশা কোন আয়েশা, তা জানি না, কিন্তু আব্বা-আম্মা যে আকিকা দিয়ে আমার নাম আয়েশা রাখে নাই, এটা আমি শিওর জানি। ব্যাটাকে হাজারবার বুঝিয়েও কাজ হত তা। ফোনটা ধরলেই মধু-মধু কণ্ঠে বলতো - "হেলুউঁউঁ, আয়েশাআআ?"
তখনও নাম্বার ব্লক করার কায়দা শিখি নাই। তাই বাধ্য হয়ে তার নাম সেইভ করেছিলাম "পেইন" হিসেবে।
এ থেকেই শুরু কন্টাক্ট লিস্টে পেইনের অন্তর্ভুক্তি।
নিজের অজান্তেই তারপর থেকে একের পর এক মানুষ তাদের নিজনিজ চরিত্রগুনে আমার লিস্টকে সমৃদ্ধ করে যাচ্ছেন।
এক স্কুলগোয়িং ছেলে কিভাবে যেন আমার ফোন নাম্বার পেয়েছে। সে যখন তখন ফোন দেয়া শুরু করল। "ভাইয়া, প্লিজ অ্যাড মি ইন ফেইসবুক। আই অ্যাম এ ভেরি গুড লাইকার।" তাকে খুব ভদ্রভাবে ফোন করতে বারণ করা সত্ত্বেও সে মাঝেমাঝেই ফোন করে বিরক্ত করতে লাগল। - আমি মানুষটা খুব একটা সুবিধার না। তাই, তার নাম সেইভ করা হল "ফেইসবুকিও পেইন" নামে।
আমার সাথে আমার স্কুলের ছোটভাই'দের সাথে সখ্যতা বেশ। ওদের সবাইই খুব ভালো, কিন্তু একটা আছে, বেশ বেয়াদব। ফোনটা ধরেই এমন ভাবে কথা শুরু করে যেন আমি তার ন্যাংটা কালের ইয়ার-দোস্ত। অথচ ছেলে আমার থেকে মিনিমাম ১০ বছরের জুনিয়র। তার নাম সেইভ করলাম "স্কুলের পেইন" নামে।
আরও আছে। একটা অতিশয় ন্যাকা সুন্দরি ক্লায়েন্ট ছিল আমার। কারণে-অকারণে ফোন দিয়ে বাংলিশে বাতচিত করত। তিনি হলেন "নকশা পেইন"।
কোন এক কুক্ষণে এক "ভদ্রলোক" আমার ক্লায়েন্ট হয়েছিল। বড়ই স্মার্ট, গুডলুকিং জেন্টলম্যান। কিছুদিন যেতেই তার চরিত্র প্রকটভাবে প্রস্ফুটিত হল। ব্যাটা যেকোন জায়গা থেকে পয়সা খায়, অথচ বেতন পায় সিক্স ডিজিটে। কথিত আছে, উনি নাকি অফিসে বিরিয়ানি খেলেও ভুয়া বিল করে ডাবল টাকা উথাতেন। নির্দ্বিধায়, নিঃসংকোচে, খুশিমনে তার নাম দিলাম "চোর পেইন"।
কষ্টের সাথেই জানাচ্ছি। পরিচিত আরও বেশ কিছু মানুষ নিয়ে ইদানীং সিমিলার কাহিনী শুনতে পাচ্ছি। মনে হচ্ছে সামনে "চোর পেইন ১", "চোর পেইন ২" এমন করে সিরিজ শুরু করতে হবে।
সবশেষে আছে "দা পেইন"। এই পেইনের জন্য কোন বিশেষণই যথেষ্ট না। "দা পেইন" এমন একজন মানুষ, যাকে আপনি না পারবেন গিলতে, না পারবেন ফেলতে। না পারবেন ডিপ্লোম্যাটিক্যালি হ্যান্ডল করতে, না পারবেন চটকান মেরে বিদায় করতে। পাগলের সুখ মনে মনে, আমার সুখ "দা পেইন" নামকরণে।
কেন জানি মনে হচ্ছে, এমন "দা পেইন", অনেকের জীবনেই বর্তমান।
আমার কন্টাক্ট লিস্টের একটা স্ক্রিনশট কমেন্টে দিয়ে দিলাম।
এর সূত্রপাত বেশ আগে। এক পাবলিক আগে রেগুলার ফোন দিত। আয়েশাকে খুঁজতে। এই আয়েশা কোন আয়েশা, তা জানি না, কিন্তু আব্বা-আম্মা যে আকিকা দিয়ে আমার নাম আয়েশা রাখে নাই, এটা আমি শিওর জানি। ব্যাটাকে হাজারবার বুঝিয়েও কাজ হত তা। ফোনটা ধরলেই মধু-মধু কণ্ঠে বলতো - "হেলুউঁউঁ, আয়েশাআআ?"
তখনও নাম্বার ব্লক করার কায়দা শিখি নাই। তাই বাধ্য হয়ে তার নাম সেইভ করেছিলাম "পেইন" হিসেবে।
এ থেকেই শুরু কন্টাক্ট লিস্টে পেইনের অন্তর্ভুক্তি।
নিজের অজান্তেই তারপর থেকে একের পর এক মানুষ তাদের নিজনিজ চরিত্রগুনে আমার লিস্টকে সমৃদ্ধ করে যাচ্ছেন।
এক স্কুলগোয়িং ছেলে কিভাবে যেন আমার ফোন নাম্বার পেয়েছে। সে যখন তখন ফোন দেয়া শুরু করল। "ভাইয়া, প্লিজ অ্যাড মি ইন ফেইসবুক। আই অ্যাম এ ভেরি গুড লাইকার।" তাকে খুব ভদ্রভাবে ফোন করতে বারণ করা সত্ত্বেও সে মাঝেমাঝেই ফোন করে বিরক্ত করতে লাগল। - আমি মানুষটা খুব একটা সুবিধার না। তাই, তার নাম সেইভ করা হল "ফেইসবুকিও পেইন" নামে।
আমার সাথে আমার স্কুলের ছোটভাই'দের সাথে সখ্যতা বেশ। ওদের সবাইই খুব ভালো, কিন্তু একটা আছে, বেশ বেয়াদব। ফোনটা ধরেই এমন ভাবে কথা শুরু করে যেন আমি তার ন্যাংটা কালের ইয়ার-দোস্ত। অথচ ছেলে আমার থেকে মিনিমাম ১০ বছরের জুনিয়র। তার নাম সেইভ করলাম "স্কুলের পেইন" নামে।
আরও আছে। একটা অতিশয় ন্যাকা সুন্দরি ক্লায়েন্ট ছিল আমার। কারণে-অকারণে ফোন দিয়ে বাংলিশে বাতচিত করত। তিনি হলেন "নকশা পেইন"।
কোন এক কুক্ষণে এক "ভদ্রলোক" আমার ক্লায়েন্ট হয়েছিল। বড়ই স্মার্ট, গুডলুকিং জেন্টলম্যান। কিছুদিন যেতেই তার চরিত্র প্রকটভাবে প্রস্ফুটিত হল। ব্যাটা যেকোন জায়গা থেকে পয়সা খায়, অথচ বেতন পায় সিক্স ডিজিটে। কথিত আছে, উনি নাকি অফিসে বিরিয়ানি খেলেও ভুয়া বিল করে ডাবল টাকা উথাতেন। নির্দ্বিধায়, নিঃসংকোচে, খুশিমনে তার নাম দিলাম "চোর পেইন"।
কষ্টের সাথেই জানাচ্ছি। পরিচিত আরও বেশ কিছু মানুষ নিয়ে ইদানীং সিমিলার কাহিনী শুনতে পাচ্ছি। মনে হচ্ছে সামনে "চোর পেইন ১", "চোর পেইন ২" এমন করে সিরিজ শুরু করতে হবে।
সবশেষে আছে "দা পেইন"। এই পেইনের জন্য কোন বিশেষণই যথেষ্ট না। "দা পেইন" এমন একজন মানুষ, যাকে আপনি না পারবেন গিলতে, না পারবেন ফেলতে। না পারবেন ডিপ্লোম্যাটিক্যালি হ্যান্ডল করতে, না পারবেন চটকান মেরে বিদায় করতে। পাগলের সুখ মনে মনে, আমার সুখ "দা পেইন" নামকরণে।
কেন জানি মনে হচ্ছে, এমন "দা পেইন", অনেকের জীবনেই বর্তমান।
আমার কন্টাক্ট লিস্টের একটা স্ক্রিনশট কমেন্টে দিয়ে দিলাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন