সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০১৪

যারা গাড়িতে ঘুরাঘুরি করেন, দয়া করে দরজাগুলি লক করে রেখেন।

লোকটা কি পাগল নাকি ক্রিমিনাল, শিওর না; যেটাই হোক, ঘটনাটা জানা থাকলে হয়তো আপনারাও সাবধান থাকতে পারবেন।

গতকাল ইফতারের আগে আগে আমি গাড়ি নিয়ে মহাখালী থেকে নিকুঞ্জ যাচ্ছি। ড্রাইভার নাই, আমি গাড়িতে একা।

মহাখালী মোড়ে (মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে যে রাস্তাটা গুলশান ১'এর দিকে যায়), সিগনালে আমার গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। সামনের বামপাশের দরজার পাশে একটা ২০/২২ বছরের ছেলে এসে দাঁড়াল। ভিক্ষুক না, কাল গোলগলা টিশার্ট আর কাল ময়লা প্যান্ট পরা হ্যাংলা-পাতলা একটা ছেলে।

আমি হাতের ইশারায় জানতে চাইলাম, কি চায় সে। একটা অপ্রকিতস্থ চাহনি দিয়ে ছেলেটা আমার দিকে তাকিয়ে থাকল। কেমন যেন ড্রাগ অ্যাডিকটেড টাইপ দৃষ্টি। আমি হাতের ইশারায় ওকে চলে জেতে বললাম। কিন্তু সে গাড়ির পাশেই দাঁড়িয়ে থাকল।

সিগনাল ছুটতে যখন গাড়ি চলতে শুরু করল, ছেলেটা হঠাৎ গাড়ির দরজার হ্যান্ডল ধরে টানতে শুরু করল। দরজা লক করা ছিল, তাই সে দরজা খুলতে পারল না। আমি গাড়ি হাল্কা টানা শুরু করলে সেও দরজা ধরে গাড়ির সাথে সাথে দৌড়াতে লাগল।

কাঁচ নামিয়ে ঝারি দিয়েও কোন লাভ হল না। কোন কিছু না বলে ছেলেটা আমার দিকে তাকিয়ে থাকল। ইফতারের ঠিক আগের সময়, ভিড়ের মধ্যে তখন কারোর দিকে কারো তাকানোর টাইম নাই। গাড়ি থেকে নেমে যে ছেলেটাকে ফাঁপর দিব, সেই সাহস হল না।

গাড়ি থামালাম। সামনের গাড়িগুলি'কে কিছুটা এগিয়ে যেতে দিলাম। যখন দেখলাম সামনের রাস্তা খালি হয়েছে, তখন গাড়ি জোরে টান দিলাম। ছেলেটার দরজা ছেড়ে দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না।

ছেলেটা পাগলও হতে পারে, আবার তার খারাপ মতলবও থাকতে পারে। দরজা যদি লক করা না থাকত, আর ওই ভিড়ের মধ্যে দরজা খুলে, গাড়িতে উঠে যদি ব্যাটা একটা ছুরি বা পিস্তল বের করত, আমার কিন্তু কিছুই করার থাকত না।

যারা গাড়িতে ঘুরাঘুরি করেন, দয়া করে দরজাগুলি লক করে রেখেন।

সময়টা আসলেই ভালো না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন