মা-খালাদের সাথে ফুটবল দেখার কিছু ইউনিক মজা আছে।
যেমন, ওনারা খালি একজনের সাথে আরেকজনের মিল খুঁজে পান। ফাইনালের দিন, জার্মানির কোচ'কে নিয়ে শুরু হল খালাদের অ্যানালাইসিস। একজন বলল জোয়াকিম লো সাহেব দেখতে শাহরুখ খানের মত। আরেকজন বলল - না, মোটেও না। ভদ্রলোকের সাথে অর্জুন রামপালের মিল আছে।
খেলার উত্তেজনা যখন তুঙ্গে, তখন সেজ খালা হঠাৎ চিৎকার দিয়ে উঠল - "পাইসি রে, পাইসি, ব্যাটার চেহারা আসলে চাঙ্কি পাণ্ডের মত। ঠিক না? ঠিক না? বল, বল, ঠিক না?"
আমরা সবাই সায় দিলাম। একদম ঠিক, ব্যাটার চেহারা চাঙ্কি পাণ্ডের মত। (আশা করি, আমার এই লেখা কোনদিন লো সাহেব পড়বেন না, এবং পড়লেও ওনার সাথে কখন চাঙ্কি পাণ্ডের দেখা হবে না।)
সেকেন্ড ট্রেন্ড হল, ওনারা সম্পর্ক বড়ই পছন্দ করেন। আগুয়েরো যেহেতু ম্যারাডোনার জামাই, তাই তার প্রতি সবার অসম্ভব মায়া।
"আহা রে, এই ছেলেটারই বিশ্বকাপ জেতা উচিত। ম্যারাডোনার মেয়েটার কততো ভালো লাগবে। বর-বাবা দু'জনেই ওয়ার্ল্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন। আল্লাহ্ তুমি জামাইবাবা'কে চ্যাম্পিয়ন বানায়া দাও। আমিন।"
এই মায়া আবার চেহারার সাথে রিলেটেড। মেসির চেহারা যেহেতু মায়ামায়া, তাই ওর কান্না দেখলে সবার বুক ফেটে যায়। নেইমার যেহেতু শিশু-শিশু, তাই ও যখন ব্যাথা পায় তখন আমার খালারাও ব্যাথা পান।
কিন্তু ...
শোয়াইনস্টেগারের যখন গাল বেয়ে রক্ত পড়ে, খালাদের সে কি নিষ্ঠুর জাজমেন্ট - "আরে ধুর, জার্মানির সব ফেইক। এইটা রক্ত নাকি টমেটো সস সেইটা আগে চেক করা উচিত। মনে নাই, সেই ৯০ সালে কাইন্ঠামি করে পেনাল্টি আদায় করে আর্জেন্টিনা'কে হারাল। আহারে, বেচারা ম্যারাডোনা। ওর ওই কান্নাকান্না চেহারাটা এখনও চোখে ভাসে রে।"
কি অসাধারণ কিউট আমাদের মা-খালাদের ফুটবল প্রেম! শুধু ওনাদের সাথে খেলা দেখার জন্যই তো প্রতিবছর ওয়ার্ল্ড কাপ হওয়া উচিত। ঠিক না?
যেমন, ওনারা খালি একজনের সাথে আরেকজনের মিল খুঁজে পান। ফাইনালের দিন, জার্মানির কোচ'কে নিয়ে শুরু হল খালাদের অ্যানালাইসিস। একজন বলল জোয়াকিম লো সাহেব দেখতে শাহরুখ খানের মত। আরেকজন বলল - না, মোটেও না। ভদ্রলোকের সাথে অর্জুন রামপালের মিল আছে।
খেলার উত্তেজনা যখন তুঙ্গে, তখন সেজ খালা হঠাৎ চিৎকার দিয়ে উঠল - "পাইসি রে, পাইসি, ব্যাটার চেহারা আসলে চাঙ্কি পাণ্ডের মত। ঠিক না? ঠিক না? বল, বল, ঠিক না?"
আমরা সবাই সায় দিলাম। একদম ঠিক, ব্যাটার চেহারা চাঙ্কি পাণ্ডের মত। (আশা করি, আমার এই লেখা কোনদিন লো সাহেব পড়বেন না, এবং পড়লেও ওনার সাথে কখন চাঙ্কি পাণ্ডের দেখা হবে না।)
সেকেন্ড ট্রেন্ড হল, ওনারা সম্পর্ক বড়ই পছন্দ করেন। আগুয়েরো যেহেতু ম্যারাডোনার জামাই, তাই তার প্রতি সবার অসম্ভব মায়া।
"আহা রে, এই ছেলেটারই বিশ্বকাপ জেতা উচিত। ম্যারাডোনার মেয়েটার কততো ভালো লাগবে। বর-বাবা দু'জনেই ওয়ার্ল্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন। আল্লাহ্ তুমি জামাইবাবা'কে চ্যাম্পিয়ন বানায়া দাও। আমিন।"
এই মায়া আবার চেহারার সাথে রিলেটেড। মেসির চেহারা যেহেতু মায়ামায়া, তাই ওর কান্না দেখলে সবার বুক ফেটে যায়। নেইমার যেহেতু শিশু-শিশু, তাই ও যখন ব্যাথা পায় তখন আমার খালারাও ব্যাথা পান।
কিন্তু ...
শোয়াইনস্টেগারের যখন গাল বেয়ে রক্ত পড়ে, খালাদের সে কি নিষ্ঠুর জাজমেন্ট - "আরে ধুর, জার্মানির সব ফেইক। এইটা রক্ত নাকি টমেটো সস সেইটা আগে চেক করা উচিত। মনে নাই, সেই ৯০ সালে কাইন্ঠামি করে পেনাল্টি আদায় করে আর্জেন্টিনা'কে হারাল। আহারে, বেচারা ম্যারাডোনা। ওর ওই কান্নাকান্না চেহারাটা এখনও চোখে ভাসে রে।"
কি অসাধারণ কিউট আমাদের মা-খালাদের ফুটবল প্রেম! শুধু ওনাদের সাথে খেলা দেখার জন্যই তো প্রতিবছর ওয়ার্ল্ড কাপ হওয়া উচিত। ঠিক না?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন