রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৪

ক্যান্সার ডায়েরি - পৃষ্ঠা ৩

ক্যান্সার ডায়েরি - পৃষ্ঠা ৩
-------------------------

আজকে আপনাদের শোনাব আমরা কতখানি "ক্রিয়েটিভ ফ্যামিলি", তার সামান্য একটা নমুনা। 

আম্মার গলার পাইপের ব্যাপারটা তো এখন মোটামুটি আপনাদের জানা যে, আম্মা এখন নাক-মুখের বদলে গলার পাইপ দিয়ে শ্বাস নেন। এই যে "রোল-চেইঞ্জ" - তা নিয়ে আম্মার নেতৃত্বে শুরু হলো ব্রেইনস্টর্মিং। 

"এই যে নাক-মুখের কাজটা গলা'কে হ্যান্ডওভার করা হলো, এমন করে যদি খাওয়ার কাজটা মুখের বদলে কানকে দেয়া হয়, তাহলে কি হবে? আমাদের কি তখন দিনে দুইবার কান-ব্রাশ করতে হবে? একটা মানুষ কানের মধ্যে স্ট্র লাগিয়ে মিরিন্ডা খাচ্ছে - সিনটা কেমন হবে? ..."

"স্বাদ নেয়ার জন্যে কি তাহলে জিব্বাটা কানের মধ্যে সেট করতে হবে? এহহ, ক্যামন লাগবে কান থেকে লকলক করে একটা জিব্বা বের হয়ে আসছে এইটা দেখতে? ..." 

"চোখের বদলে আমাদের যদি দাঁত দিয়ে দেখতে হয়, তাহলে কিরাম হবে? দাঁতের চশমাকে কি চশমা বলা হবে, নাকি "দাঁতমা"? চোখের পাতি ফেলার বদলে তখন কি আমরা ঘনঘন গাপ্পি মাছের মত ঠোঁট খুলবো আর বন্ধ করব? তখন কি চৌধুরী জাফরুল্লা শরাফত বলবেন - দাঁতের পলকে বল চলে গেল সীমানার ওয়াইরেএএএএ ..."

এন্ড  ... হিয়ার কামস দা কিলার ...

"হোয়াট এবাউট হাগু? এই মহান কাজটা কাকে দেয়া যায়? নাক? মুখ? ইয়াক থুঃ! নাকি স্পাইডারম্যান'এর মত কব্জি থেকে, পুচুত-পুচুত করে? (লিকুইডে তো প্রবলেম নাই, কিন্তু কষা হলে?) নাকি হাঁটু থেকে? বাম পায়ের বুড়া আঙ্গুল? ইয়াক থুঃ! ইয়াক থুঃ ! ইয়াক থুঃ ! ..."

চলতেই থাকলো ক্রিয়েটিভ ঝড়, একের পর এক আইডিয়া .. তুক্ষর  তুক্ষর! যার ৯০%ই এখানে বলা সম্ভব না।

আম্মা খালি মুচকি মুচকি হাসে। 

কিপ থিঙ্কিং। বেশি পচা বুদ্ধি আসলে সেটা নিজের মধ্যেই রাখেন। আম্মাকে কিন্তু সব কমেন্ট পড়ে শোনানো হয়। তাই, সবকিসু সবখানে শেয়ার না করাই ভালো ;)  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন