আম্মা আমাদের ফেলে চলে গেলেন। ২১ জানুয়ারী সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আম্মা হঠাতই চলে গেলেন।
আমরা সবাই পুরোপুরি শিওর ছিলাম যে আম্মা সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। মৃত্যুর ঠিক আগ মুহূর্ত পর্যন্তও আম্মা তার অসুখটাকে ভয় পান নাই।
আম্মা কিন্তু ক্যান্সারের কারণে মানা যাননি। আম্মার ক্যান্সারটা ভেরি মাচ কিয়রেবল ছিল। আম্মা ৫ মিনিটের শ্বাসকষ্টে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন।
প্রতিদিন আমি আর হাসিব পালাক্রমে আম্মার পাশে থাকতাম। আম্মা যখন ঘুমাতেন, তখন করার কিছু থাকত না। তাই আম্মার সাথে যা যা ঘটতো, তা লিখে রাখার চেষ্টা করতাম।
সেই রাতেও কিছু লিখেছলাম, পরবর্তিতে শেয়ার দিতাম। তার একটা আপনাদের পড়তে দিলাম। আম্মা কেন চলে গেলেন, এটা পড়লেই বুঝতে পারবেন।
"ক্যান্সার ডায়েরি - পৃষ্ঠা ৪
-------------------------
২১ জানুয়ারি দিবাগত রাত ৩টা তিপ্পান্ন মিনিটে মা'জননী একখান মাস্টারপিস প্রসব করলেন।
টানা এক ঘন্টার ক্রমাগত কাশিতে শরীরের সকল শক্তি শেষ করে ফ্যাঁশফ্যাঁশ করে আমার কানে তিনি যা বলার চেষ্টা করলেন তার ভাবার্থ হলো - "তার জন্যে আমাদের নাকি অনেক কষ্ট হচ্ছে!"
পুরাই এইচএইচপিকেজি।
পেটের ভিতরে থেকে ১০ মাস আর বাইরে থেকে ৩৭ বছর বিরতিহীন জ্বালানোর পরও যদি আম্মার মুখ থেকে এই কথা শুনতে হয় যে "আমরা" তার জন্যে "কষ্ট" করছি - আবেগে কাইন্দালাইতে ইচ্ছা করেনা?
মা জননী গো, জি বাংলার সিরিয়াল দেখলে এর থেকে ভালো স্ক্রিপ্ট বের হবেনা গো।
সো, এইসব পুতুপুতু ডায়লগ ছাড়ো। আর তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠো।"
--------------------------------------------------------------------
আমাদের দুই ভাইয়ের যেন আর কষ্ট না হয়, আম্মা তাই চলে গেলেন।
প্রচন্ড জেদী একজন মানুষ ছিলেন আমাদের আম্মা। জীবনে কোনদিন অন্যের প্ল্যান অনুযায়ী কিছু করেননি তিনি। যখন যা ইচ্ছা হয়েছে, তাই করেছেন তিনি।
রাতজেগে পাশে বসে তার সেবা করার যে প্ল্যান আমরা দুই ভাই মিলে করেছিলাম, সেই প্ল্যানটা হয়ত তার পছন্দ হয়নি।
তাই তিনি চুপ করে চলে গেলেন।
সবাই তার জন্যে দোআ করবেন।
আমরা সবাই পুরোপুরি শিওর ছিলাম যে আম্মা সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। মৃত্যুর ঠিক আগ মুহূর্ত পর্যন্তও আম্মা তার অসুখটাকে ভয় পান নাই।
আম্মা কিন্তু ক্যান্সারের কারণে মানা যাননি। আম্মার ক্যান্সারটা ভেরি মাচ কিয়রেবল ছিল। আম্মা ৫ মিনিটের শ্বাসকষ্টে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন।
প্রতিদিন আমি আর হাসিব পালাক্রমে আম্মার পাশে থাকতাম। আম্মা যখন ঘুমাতেন, তখন করার কিছু থাকত না। তাই আম্মার সাথে যা যা ঘটতো, তা লিখে রাখার চেষ্টা করতাম।
সেই রাতেও কিছু লিখেছলাম, পরবর্তিতে শেয়ার দিতাম। তার একটা আপনাদের পড়তে দিলাম। আম্মা কেন চলে গেলেন, এটা পড়লেই বুঝতে পারবেন।
"ক্যান্সার ডায়েরি - পৃষ্ঠা ৪
-------------------------
২১ জানুয়ারি দিবাগত রাত ৩টা তিপ্পান্ন মিনিটে মা'জননী একখান মাস্টারপিস প্রসব করলেন।
টানা এক ঘন্টার ক্রমাগত কাশিতে শরীরের সকল শক্তি শেষ করে ফ্যাঁশফ্যাঁশ করে আমার কানে তিনি যা বলার চেষ্টা করলেন তার ভাবার্থ হলো - "তার জন্যে আমাদের নাকি অনেক কষ্ট হচ্ছে!"
পুরাই এইচএইচপিকেজি।
পেটের ভিতরে থেকে ১০ মাস আর বাইরে থেকে ৩৭ বছর বিরতিহীন জ্বালানোর পরও যদি আম্মার মুখ থেকে এই কথা শুনতে হয় যে "আমরা" তার জন্যে "কষ্ট" করছি - আবেগে কাইন্দালাইতে ইচ্ছা করেনা?
মা জননী গো, জি বাংলার সিরিয়াল দেখলে এর থেকে ভালো স্ক্রিপ্ট বের হবেনা গো।
সো, এইসব পুতুপুতু ডায়লগ ছাড়ো। আর তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠো।"
--------------------------------------------------------------------
আমাদের দুই ভাইয়ের যেন আর কষ্ট না হয়, আম্মা তাই চলে গেলেন।
প্রচন্ড জেদী একজন মানুষ ছিলেন আমাদের আম্মা। জীবনে কোনদিন অন্যের প্ল্যান অনুযায়ী কিছু করেননি তিনি। যখন যা ইচ্ছা হয়েছে, তাই করেছেন তিনি।
রাতজেগে পাশে বসে তার সেবা করার যে প্ল্যান আমরা দুই ভাই মিলে করেছিলাম, সেই প্ল্যানটা হয়ত তার পছন্দ হয়নি।
তাই তিনি চুপ করে চলে গেলেন।
সবাই তার জন্যে দোআ করবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন