ক্যান্সার ডায়েরি - পৃষ্ঠা ১
--------------
লাস্ট ৭ দিনে অনেক কিছু হলো।
আম্মা'র ক্যান্সার ধরা পড়ল। গলায়। ল্যারেঞ্জিয়াল ক্যান্সার। মডারেটলি ডিফারেনশিয়েটেড।
১৫ তারিখ রাতে বায়োপসির জন্যে আম্মাকে একটা সার্জারির ভিতর দিয়ে যেতে হলো। ক্যান্সার'টার জন্যে আম্মার শ্বাসনালী প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। তাই ট্রাকেসট্রমী নামক একটা প্রসেসের মাধ্যমে আম্মার শ্বাসনালী থেকে একটা নল বাইরে বের করে দেয়া হলো।
৬৫ বছর নাক আর মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেয়ার পর আম্মা এখন গলার নল দিয়ে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন।
এই নলটার জন্যে তার পক্ষে কথা বলাটা বেশ কঠিন পরিশ্রম এবং কষ্টের ব্যাপার হয়ে গেছে। ওনাকে তাই হাতের ইশারা এবং কাগজে লিখে আমাদের সাথে কথোপকথন চালাতে হচ্ছে।
আজ তার এমআরআই করানো হবে। তারপর ডাক্তাররা ডিসাইড করবেন পরবর্তী চিকিত্সা কেমন হবে।
.................................
বাই দা ওয়ে, আমরা কিন্তু বেশ মজাতেই আছি। সারাদিন সারারাত আমরা সবাই আম্মার সাথে থাকি, ইশারায় বা লিখে লিখে আড্ডা মারি। অফিস যাই না, মিটিং করিনা - আম্মার পাশেপাশে থাকি। শুধু এই ট্রাকেসট্রমী টিউব নিয়েই প্রতিদিন ডজন-ডজন মজার কাহিনী হচ্ছে। ধীরে ধীরে সেসবও লিখব।
কেন লিখব? কারণ আছে। এখন পর্যন্ত যতজনই আম্মার খবরটা শুনেছেন, তাদের রিয়াকশন ছিল ভয়াবহ। "ক্যান্সার" শব্দটাকে আমরা বোধহয় আজাইরাই একটু বেশি পাত্তা দেই। আমার বাসায় ক্যান্সারের আসা-যাওয়া আজকে থেকে না। আমার নানু ক্যান্সার নিয়ে বেঁচে ছিলেন দশ বছরের বেশি, আমার খালা ক্যান্সারকে দুই পয়সা দামও দেন নাই। খালা দিব্বি ফেইসবুকিং চালিয়ে যাচ্ছেন, তার ক্যান্সার কঅঅবে মরে ভূত!
সময়মত ঠিক চিকিত্সা হলে ক্যান্সার ঠিক হয়ে যায়। আম্মারটাও হবে। সো, হুদাই মন খারাপ করে থাকার মত মানুষ আম্মাও না, আমরাও না। আমার পরের স্টেটাসগুলির জন্যে রেডি থাকেন। কথা দিলাম, অনেক মজা পাবেন।
আর এই মজার বিনিময়ে আম্মার জন্যে একটু দোআ করবেন, তাহলে আম্মা আরেকটু দ্রুত সুস্থ হবেন :)
আমার হিসাবটা খুব ক্লিয়ার রে ভাই। লাইফে "আনডু" কমান্ড কাজ না করলেও "রিফ্রেশ" কমান্ডটা খুব ভালো কাজ করে। আমরা তাই "আনডু"র জন্যে হা-পিত্যেশ না করে, সমানে "রিফ্রেশ" টিপে যাচ্ছি :)
সো? লেট্স জিন্দাপুইত্তালাইমুউউউ দা ক্যান্সার ... ব্রিং ইট অন!
--------------
লাস্ট ৭ দিনে অনেক কিছু হলো।
আম্মা'র ক্যান্সার ধরা পড়ল। গলায়। ল্যারেঞ্জিয়াল ক্যান্সার। মডারেটলি ডিফারেনশিয়েটেড।
১৫ তারিখ রাতে বায়োপসির জন্যে আম্মাকে একটা সার্জারির ভিতর দিয়ে যেতে হলো। ক্যান্সার'টার জন্যে আম্মার শ্বাসনালী প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। তাই ট্রাকেসট্রমী নামক একটা প্রসেসের মাধ্যমে আম্মার শ্বাসনালী থেকে একটা নল বাইরে বের করে দেয়া হলো।
৬৫ বছর নাক আর মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেয়ার পর আম্মা এখন গলার নল দিয়ে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন।
এই নলটার জন্যে তার পক্ষে কথা বলাটা বেশ কঠিন পরিশ্রম এবং কষ্টের ব্যাপার হয়ে গেছে। ওনাকে তাই হাতের ইশারা এবং কাগজে লিখে আমাদের সাথে কথোপকথন চালাতে হচ্ছে।
আজ তার এমআরআই করানো হবে। তারপর ডাক্তাররা ডিসাইড করবেন পরবর্তী চিকিত্সা কেমন হবে।
.................................
বাই দা ওয়ে, আমরা কিন্তু বেশ মজাতেই আছি। সারাদিন সারারাত আমরা সবাই আম্মার সাথে থাকি, ইশারায় বা লিখে লিখে আড্ডা মারি। অফিস যাই না, মিটিং করিনা - আম্মার পাশেপাশে থাকি। শুধু এই ট্রাকেসট্রমী টিউব নিয়েই প্রতিদিন ডজন-ডজন মজার কাহিনী হচ্ছে। ধীরে ধীরে সেসবও লিখব।
কেন লিখব? কারণ আছে। এখন পর্যন্ত যতজনই আম্মার খবরটা শুনেছেন, তাদের রিয়াকশন ছিল ভয়াবহ। "ক্যান্সার" শব্দটাকে আমরা বোধহয় আজাইরাই একটু বেশি পাত্তা দেই। আমার বাসায় ক্যান্সারের আসা-যাওয়া আজকে থেকে না। আমার নানু ক্যান্সার নিয়ে বেঁচে ছিলেন দশ বছরের বেশি, আমার খালা ক্যান্সারকে দুই পয়সা দামও দেন নাই। খালা দিব্বি ফেইসবুকিং চালিয়ে যাচ্ছেন, তার ক্যান্সার কঅঅবে মরে ভূত!
সময়মত ঠিক চিকিত্সা হলে ক্যান্সার ঠিক হয়ে যায়। আম্মারটাও হবে। সো, হুদাই মন খারাপ করে থাকার মত মানুষ আম্মাও না, আমরাও না। আমার পরের স্টেটাসগুলির জন্যে রেডি থাকেন। কথা দিলাম, অনেক মজা পাবেন।
আর এই মজার বিনিময়ে আম্মার জন্যে একটু দোআ করবেন, তাহলে আম্মা আরেকটু দ্রুত সুস্থ হবেন :)
আমার হিসাবটা খুব ক্লিয়ার রে ভাই। লাইফে "আনডু" কমান্ড কাজ না করলেও "রিফ্রেশ" কমান্ডটা খুব ভালো কাজ করে। আমরা তাই "আনডু"র জন্যে হা-পিত্যেশ না করে, সমানে "রিফ্রেশ" টিপে যাচ্ছি :)
সো? লেট্স জিন্দাপুইত্তালাইমুউউউ দা ক্যান্সার ... ব্রিং ইট অন!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন