বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৪

হ্যাপি বার্থডে টু ইউ আম্মা

আম্মার তুষার-সাদা শাড়ি আলোর আভা ছড়াচ্ছে। আম্মাকে লাগছে পরীর মত।  

বাসার উঠানটা সাজানো হয়েছে নানারঙের রঙিন কাগজ দিয়ে। বড় আমগাছটা ঝিকমিক করছে রুপালি আলোর টুনিবাতিতে। নানুর বিখ্যাত দোলনাটা ঝুলছে আমগাছের মোটা ডালটা থেকে। সেই দোলনায় আম্মা পা ঝুলিয়ে বসে আছে।  

সব আত্মীয়স্বজনরা দলে দলে আসছে। সবার হাতে আম্মার জন্য উপহার; হারমোনিয়াম, পানদান, রূপার ছর্তা, সিল্কের শাড়ি, রবীন্দ্রসংগীতের সিডি - আম্মার সব পছন্দের জিনিসপত্র। একেকজনকে দেখছে, আর আম্মা শিশুর মত খুশি হয়ে উঠছে। কতদিন পর একেকজনের সাথে দেখা, খুশি তো লাগবেই। 

নানু চাইনিজ রেঁধেছে। স্পেশাল আকর্ষণ আম্মার সবচেয়ে পছন্দ "সুইট এন্ড সাওয়ার প্রণ"; আম্মা রান্নাঘরে ঢোকার জন্যে প্রচুর ঘ্যানঘ্যান করেছিল। কিন্তু নানু রাম-ঝাড়ি মেরে আম্মাকে রান্নাঘরের ত্রি-সীমানাতেও ঢুকতে দেইনি। সব রান্না আজ নানু নিজের হাতে করেছে। 

নানাভাই মহাব্যস্ত। সাদা পাঞ্জাবি-পাজামায় নানাভাইকে লাগছে পুরা উত্তম কুমারের মত। নতুন কেনা আতরের শিশির প্রায় অর্ধেকটা শেষ করে ফেলেছে একদিনেই। নানু কিন্তু ঠিকই হালকা খোঁচা মেরে দিল "কাহিনী কি গো দারোগা সাহেব? সুচিত্রা সেন'ও আসতেসে নাকি ডিনার খেতে? ভাবগতিক তো সুবিধার লাগতেসে না!" 

নানাভাই মুচকি হেসে অতিথি আপ্যায়নে ব্যস্ত হয়ে পরে।  

একটু পর আম্মা কেক কাটবে। সবাই হাততালি দিবে, হ্যাপি বার্থডে টু ইউ গান গাইবে। 

নানাভাই-নানু'র সাথে আম্মার আজ দ্বিতীয়বারের মত প্রথম জন্মদিন। 

-------------------------------

শুভ জন্মদিন আম্মা। আমরাও এপার থেকে তোমার জন্মদিনে হাততালি দিচ্ছি, হ্যাপি বার্থডে টু ইউ গান গাইছি। আর তোমার জন্যে অনেক অনেক দোআ করছি। 

তুমি ভালো থেকো আম্মা। আর... আমাদের নিয়ে কোনো চিন্তা কোরো না। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন