ক্যান্সার ডায়েরি - পৃষ্ঠা ৫
-------------------------
আমি সাধারণত আমার স্টেটাসে কেউ আজাইরা কমেন্ট করলে রিয়াক্ট করিনা।
অনেক রাত পর্যন্ত আম্মার সাথে জেগে থাকলে মাথার মধ্যে উদ্ভট উদ্ভট সব চিন্তা ঘোরে। এই মুহুর্তে মাথা কিছুটা আউলানো আছে বলেই একটা কমেন্ট নিয়ে কিছু লিখব।
আম্মার ক্যান্সার নিয়ে প্রথম যে লেখাটা লিখি, তা দেখে অনেকে অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলেছেন। কেউ সাহস দিয়েছেন, কেউ ধৈর্য ধরে বিপদ মোকাবেলা করার কথা বলেছেন, কেউ আবার আমাদের সাহস দেখে বাহবা দিয়েছেন। আমি বেশির ভাগ কথাই আম্মাকে পড়ে শুনিয়েছি এবং আম্মাও খুব খুশি হয়েছেন; বুকে আরো বেশি শক্তি পেয়েছেন।
সবাইকে আরো একবার ধন্যবাদ।
এত ভালো ভালো কথার ভীর থেকে একটা কমেন্ট নিয়ে কথা বলতাম না; কিন্তু খুব খোঁচাচছিল কথাটা, তাই নিজেকে আটকালাম না।
একজন লিখেছেন - "নিজের হলে বুঝতেন......এনিওয়ে দোয়া করি আপনার আম্মু সুস্থ হয়ে উঠুন।"
ভীষণ অবাক হয়েছি কমেন্টটা পড়ে। কি বোঝাতে চাইলেন ভাই আপনি?
আমার মা আমার চোখের সামনে কষ্ট পাচ্ছেন, এবং সেই কষ্ট দেখাটাও যে কতখানি কষ্টের - সেটা আমরা বুঝছি। নিজের হলে এর থেকে কম কষ্টই হত।
আম্মার এই কষ্টটা যদি আমার নিজের শরীরে নিয়ে নেয়ার কোনো উপায় থাকত - এক মুহূর্তও দেরী করতাম না। আমি বিশ্বাস করি, এটা শুধুই আমার মা'র জন্য আমার চাওয়া না - যেকোনো "মানুষ" সন্তানই তার বাবা-মা'র কষ্ট লাঘবের জন্য এমন কিছু করতে প্রস্তুত।
ভাই, কমেন্ট করতেই হবে, তেমন তো কোনো নিয়ম নাই। ক্যান করেন এমন সব কমেন্ট যেটার জন্য নিজেকেই পরে বিব্রত হতে হয়? (যদিও আমি শিওর না, আপনাদের মত মানুষরা লজ্জা পায় কিনা বা বিব্রত হয় কিনা) আপনার নামটা আপনার ভালোর জন্যই উল্লেখ করলাম করলাম না। যান ভাই, আর কেউ দেখে ফেলার আগেই কমেন্টটা ডিলিট করে আসেন।
ধুর .... মনটাই খারাপ হয়ে গেল লেখাটা লিখে। ঠিক করেছিলাম, আম্মার এ সময়টাতে কোনো নেগেটিভ লেখা লেখা লিখব না, কোনো নেগেটিভ চিন্তাকে মনে আশ্রয় দিব না। ধুর ... লেখা শেষ করি।
-------------------------
আমি সাধারণত আমার স্টেটাসে কেউ আজাইরা কমেন্ট করলে রিয়াক্ট করিনা।
অনেক রাত পর্যন্ত আম্মার সাথে জেগে থাকলে মাথার মধ্যে উদ্ভট উদ্ভট সব চিন্তা ঘোরে। এই মুহুর্তে মাথা কিছুটা আউলানো আছে বলেই একটা কমেন্ট নিয়ে কিছু লিখব।
আম্মার ক্যান্সার নিয়ে প্রথম যে লেখাটা লিখি, তা দেখে অনেকে অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলেছেন। কেউ সাহস দিয়েছেন, কেউ ধৈর্য ধরে বিপদ মোকাবেলা করার কথা বলেছেন, কেউ আবার আমাদের সাহস দেখে বাহবা দিয়েছেন। আমি বেশির ভাগ কথাই আম্মাকে পড়ে শুনিয়েছি এবং আম্মাও খুব খুশি হয়েছেন; বুকে আরো বেশি শক্তি পেয়েছেন।
সবাইকে আরো একবার ধন্যবাদ।
এত ভালো ভালো কথার ভীর থেকে একটা কমেন্ট নিয়ে কথা বলতাম না; কিন্তু খুব খোঁচাচছিল কথাটা, তাই নিজেকে আটকালাম না।
একজন লিখেছেন - "নিজের হলে বুঝতেন......এনিওয়ে দোয়া করি আপনার আম্মু সুস্থ হয়ে উঠুন।"
ভীষণ অবাক হয়েছি কমেন্টটা পড়ে। কি বোঝাতে চাইলেন ভাই আপনি?
আমার মা আমার চোখের সামনে কষ্ট পাচ্ছেন, এবং সেই কষ্ট দেখাটাও যে কতখানি কষ্টের - সেটা আমরা বুঝছি। নিজের হলে এর থেকে কম কষ্টই হত।
আম্মার এই কষ্টটা যদি আমার নিজের শরীরে নিয়ে নেয়ার কোনো উপায় থাকত - এক মুহূর্তও দেরী করতাম না। আমি বিশ্বাস করি, এটা শুধুই আমার মা'র জন্য আমার চাওয়া না - যেকোনো "মানুষ" সন্তানই তার বাবা-মা'র কষ্ট লাঘবের জন্য এমন কিছু করতে প্রস্তুত।
ভাই, কমেন্ট করতেই হবে, তেমন তো কোনো নিয়ম নাই। ক্যান করেন এমন সব কমেন্ট যেটার জন্য নিজেকেই পরে বিব্রত হতে হয়? (যদিও আমি শিওর না, আপনাদের মত মানুষরা লজ্জা পায় কিনা বা বিব্রত হয় কিনা) আপনার নামটা আপনার ভালোর জন্যই উল্লেখ করলাম করলাম না। যান ভাই, আর কেউ দেখে ফেলার আগেই কমেন্টটা ডিলিট করে আসেন।
ধুর .... মনটাই খারাপ হয়ে গেল লেখাটা লিখে। ঠিক করেছিলাম, আম্মার এ সময়টাতে কোনো নেগেটিভ লেখা লেখা লিখব না, কোনো নেগেটিভ চিন্তাকে মনে আশ্রয় দিব না। ধুর ... লেখা শেষ করি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন