ক্লাস সেভেন, টেনিস বল ত্যাগ করে কাঠের বলে ক্রিকেট খেলার শুরুর দিনগুলির কথা।
সর্বসাকুল্যে তখন আমাদের একজোড়া প্যাড; দুই ব্যাটসম্যান এক পায়ে প্যাড পরে ব্যাটিঙে নামি। একজোড়া কিপিং গ্লোভস - ডান হাতেরটার বুড়া আঙ্গুল বের হয়ে থাকে, বাম হাতের কেনি আঙ্গুল। কাঠের বলে খেলার মত ব্যাট তখন একটা, ৪০০ টাকা দিয়ে কেনা একটা গদার মত ওজনদার সিএ ব্যাট, যেটাকে আসলে ব্যাট না বলে তক্তা বললেই বেশি যুক্তিসঙ্গত হয়। ওটাতে যখন বল লাগে তখন ঠকঠক শব্দ হয় আর হাত ঝিনঝিন করে ওঠে। রানারের হাতে টেনিস বলে খেলা যায় - তেমন পলকা ব্যাট; এক রান হলে ক্রিজের মাঝখানে এসে ব্যাট বদলা-বদলি করতে হয়। বলের সূতা-মুতা ছিড়ে ভিতরের রাবারের ছোট বলটা বের না হওয়া পর্যন্ত সেটা দিয়েই পেইস-স্পিন এটাক চলতে থাকে।
টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ঘাস ছাড়া ধূলা-মাটির পিচে এই নিয়েই আমরা মহানন্দে ক্রিকেট খেলি আর নির্মান স্কুলে খেলার প্রিপারেশন নেই।
অন্য সেকশনে পড়ত বিশাল প্রতিপত্তিশালী (অনেকটা ইন্ডিয়ার মত ক্ষমতাবান) এক শিল্পপতির সুযোগ্য সন্তান - নাম বললে সবাই চিনবেন; ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কথা ভেবে নামটা বলছি না। যাই হোক, ছেলেটা খারাপ খেলত না; বলে ভালো পেইস ছিল, হালকা সুইং-টুইং'ও করাতে পারত। সবচাইতে ইম্পর্রট্যান্ট বিষয়টা হলো, ওর একটা ৪,০০০ টাকা দামের ইসান ব্যাট ছিল, যেটাতে হালকা টোকা লাগলে বল গুল্লির মত বাউন্ডারির ঐপারে চলে যেত। আর ছিল একটা প্রফেশনাল কফিন-ভর্তি দামী দামী ক্রিকেট গিয়ার।
আমরা হাভাইত্তার মত ওই ব্যাটের দিকে তাকিয়ে থাকতাম; মাঝে মধ্যে ব্যাটটা হাতিয়ে দেখতে দিত; মুড ভালো থাকলে কখনো-সখনো ওটা দিয়ে খেলতেও দিত।
কিন্তু বাগড়া'টা বাঁধলো কিছুদিন পর। নবাবপুত্র একদিন একটা আল্লাদী প্রপোজাল দিয়ে বসলো - "আমি এখন থেকে ব্যাটিং ওপেন করব, বোলিংও ওপেন করবো। যদি কারো কোনো প্রবলেম থাকে; কালকে থেকে আমার ব্যাট, গিয়ার কোনকিছুই তোমাদের দিবনা।" (পুরাই বিসিসিআই'এর মত না?)
যতদুর মনে পরে, এই প্রপোজাল নিয়ে পরবর্তিতে উচ্চবাচ্চ করার অপরাধে আমাদের হাভাইত্তাবাহিনী নাবাব্পুত্রের আপন-পশ্চাদ্দেশেই তার ৪০০০ টাকা দামের ইসান ব্যাটটাকে পিটিয়ে ভেঙ্গেছিল।
বেচারা নবাব্পুত্র, আমাদের একটু বেশিই আন্ডারএস্টিমেট করে ফেলেছিল। বেচারা বুঝতে পারেনি "আমরা গরিব হতে পারি, কিন্তু আমাদের আত্মসম্মানবোধ বড়ই প্রকট।"
বর্তমান ক্রিকেট পটভূমিতে বিগ-থ্রি-স্টুজেসের কার্যকলাপ কেন যেন গল্পটা আবার মনে করিয়ে দিল।
[বন্ধুরা, যারাই ঘটনাটা মনে করতে পারছিস, দয়া করে ওভারস্মার্ট সেজে নবাবপুত্রর নামটা লিখে দিস না বাপ; ট্যাগ তো ভুলেও করবি না। নবাবপুত্রের কানে এই কথা পৌঁছলে আমার লাশ খুজতে গোটা বাংলাদেশ চষে বেড়াতে হবে।]
সর্বসাকুল্যে তখন আমাদের একজোড়া প্যাড; দুই ব্যাটসম্যান এক পায়ে প্যাড পরে ব্যাটিঙে নামি। একজোড়া কিপিং গ্লোভস - ডান হাতেরটার বুড়া আঙ্গুল বের হয়ে থাকে, বাম হাতের কেনি আঙ্গুল। কাঠের বলে খেলার মত ব্যাট তখন একটা, ৪০০ টাকা দিয়ে কেনা একটা গদার মত ওজনদার সিএ ব্যাট, যেটাকে আসলে ব্যাট না বলে তক্তা বললেই বেশি যুক্তিসঙ্গত হয়। ওটাতে যখন বল লাগে তখন ঠকঠক শব্দ হয় আর হাত ঝিনঝিন করে ওঠে। রানারের হাতে টেনিস বলে খেলা যায় - তেমন পলকা ব্যাট; এক রান হলে ক্রিজের মাঝখানে এসে ব্যাট বদলা-বদলি করতে হয়। বলের সূতা-মুতা ছিড়ে ভিতরের রাবারের ছোট বলটা বের না হওয়া পর্যন্ত সেটা দিয়েই পেইস-স্পিন এটাক চলতে থাকে।
টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ঘাস ছাড়া ধূলা-মাটির পিচে এই নিয়েই আমরা মহানন্দে ক্রিকেট খেলি আর নির্মান স্কুলে খেলার প্রিপারেশন নেই।
অন্য সেকশনে পড়ত বিশাল প্রতিপত্তিশালী (অনেকটা ইন্ডিয়ার মত ক্ষমতাবান) এক শিল্পপতির সুযোগ্য সন্তান - নাম বললে সবাই চিনবেন; ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কথা ভেবে নামটা বলছি না। যাই হোক, ছেলেটা খারাপ খেলত না; বলে ভালো পেইস ছিল, হালকা সুইং-টুইং'ও করাতে পারত। সবচাইতে ইম্পর্রট্যান্ট বিষয়টা হলো, ওর একটা ৪,০০০ টাকা দামের ইসান ব্যাট ছিল, যেটাতে হালকা টোকা লাগলে বল গুল্লির মত বাউন্ডারির ঐপারে চলে যেত। আর ছিল একটা প্রফেশনাল কফিন-ভর্তি দামী দামী ক্রিকেট গিয়ার।
আমরা হাভাইত্তার মত ওই ব্যাটের দিকে তাকিয়ে থাকতাম; মাঝে মধ্যে ব্যাটটা হাতিয়ে দেখতে দিত; মুড ভালো থাকলে কখনো-সখনো ওটা দিয়ে খেলতেও দিত।
কিন্তু বাগড়া'টা বাঁধলো কিছুদিন পর। নবাবপুত্র একদিন একটা আল্লাদী প্রপোজাল দিয়ে বসলো - "আমি এখন থেকে ব্যাটিং ওপেন করব, বোলিংও ওপেন করবো। যদি কারো কোনো প্রবলেম থাকে; কালকে থেকে আমার ব্যাট, গিয়ার কোনকিছুই তোমাদের দিবনা।" (পুরাই বিসিসিআই'এর মত না?)
যতদুর মনে পরে, এই প্রপোজাল নিয়ে পরবর্তিতে উচ্চবাচ্চ করার অপরাধে আমাদের হাভাইত্তাবাহিনী নাবাব্পুত্রের আপন-পশ্চাদ্দেশেই তার ৪০০০ টাকা দামের ইসান ব্যাটটাকে পিটিয়ে ভেঙ্গেছিল।
বেচারা নবাব্পুত্র, আমাদের একটু বেশিই আন্ডারএস্টিমেট করে ফেলেছিল। বেচারা বুঝতে পারেনি "আমরা গরিব হতে পারি, কিন্তু আমাদের আত্মসম্মানবোধ বড়ই প্রকট।"
বর্তমান ক্রিকেট পটভূমিতে বিগ-থ্রি-স্টুজেসের কার্যকলাপ কেন যেন গল্পটা আবার মনে করিয়ে দিল।
[বন্ধুরা, যারাই ঘটনাটা মনে করতে পারছিস, দয়া করে ওভারস্মার্ট সেজে নবাবপুত্রর নামটা লিখে দিস না বাপ; ট্যাগ তো ভুলেও করবি না। নবাবপুত্রের কানে এই কথা পৌঁছলে আমার লাশ খুজতে গোটা বাংলাদেশ চষে বেড়াতে হবে।]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন