রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৩

১২ বছর

"রাজীব, তুই শিওর তো?"
"মানে কি? এই টাইমে এইটা কেমন কোয়েশ্চেন?"
"তুই বুঝতে পারছিস না। আমার মনে হচ্ছে আমি ভুল করতে যাচ্ছি। আমি মোটামুটি শিওর যে তোরে বিয়ে করে আমি বিগটাইম ধরা খাবো।"
"আজব রে ভাই, এই কথা তোর আজকে মাথায় আসলো? আজকে তোর হলুদ রে ভাই। পরশু তোর-আমার বিয়া!"
"হারামজাদা, তুই বিয়া মানে বুঝোস?"
"আমি ক্যামনে বুঝবো? আমার বিয়ার বয়স হইসে নাকি?"
"তাইলে বিয়ে করতেসোস ক্যান?"
"আরে, আজব তো! তোর তো বিয়ের বয়স হইসে। আমি না করলে তো অন্য কেউ তোরে বিয়ে করে ফেলবে। তখন তো কানতে কানতে মরবি।"
"ফর হেভেনস সেক রাজীব, প্লিজ সিরিয়াস হ। এখনো টাইম আছে। চল বাদ দেই। বিয়ে করে পস্তানোর চেয়ে বিয়ের আগে সীন ক্রিয়েট করে সব ক্যানসেল করা ভালো।"
"জোশ তো! বাসায় যা, গিয়া তোর বাপ-মা'রে বল, তোর ভুল হইসে। তুই আমারে বিয়া করবি না। আবার যেন তোর জন্য বুইড়া পাত্র দেখা শুরু করে।"
"অসহ্য। তুই আসলেই ইম্পসিবল। আমি লিখে দিতে পারি, তোর সাথে কোনো মেয়ে এক সপ্তাহও টিকতে পারবে না। "

.........................

এই মিটিংটা হয় পূনমের গায়ে হলুদের দিন সকালে; হাতিরপুল বাজারের উল্টাদিকে হার্টথ্রব নামক একটা ফাস্টফুডের দোকানে। 

ঐদিন বিকালে পূনমের হলুদ অনুষ্ঠিত হয়।  
তার দুইদিন পর মহাসমারহে আমাদের বিয়ে হয়।  

বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার সময়ও গাড়িতে ঢেশকি তুলে কাঁদতে কাঁদতে পূনম বলছিল, "৭ দিনের বেশি তোর সাথে টিকতে পারলে ফকির খাওয়াবো।"

.................................................

শুভ যুগপূর্তি পূনম। ফকির কিন্তু এখনো খাওয়াস নাই, অথচ ১২ বছর ঠিকই কাটিয়ে দিলি আমার সাথে!

তোর জাজমেন্ট যে কতটা ফাউল, এখন বুজ্ছোস?



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন