সেটাও একটা শীতের রাত ছিল। ঘন কুয়াশায় অল্প দূরের কোনকিছুও ঠিকমত দেখা যাচ্ছিল না। কুয়াশার মধ্যে ল্যাম্পপোস্টের আলোতে সারি সারি গাছগুলোকে অন্য জগতের কিছু মনে হচ্ছিল। খালি পা ভিজে যাচ্ছিল ঠান্ডা শিশিরে।
সেদিনের আগে কোনদিন আমি সূর্যাস্তের পর কবরস্থানে যাইনি।
সেই রাতে আমি সুন্দর একটা মাটির ঘরে ঘুম পাড়িয়ে রেখে এসেছিলাম আমার সবচাইতে প্রিয় মানুষটাকে।
প্রায় একটা বছর কেটে গেল নানুকে ছাড়া। আবার শীত এসেছে; সন্ধার পর কবরস্থান আবার ঢেকে যায় কুয়াশায়। আমার ভীষণ ভালো লাগে সেই সময়টা। ধোয়া-ধোয়া আঁধার আমাকে আবার নানুর কাছাকাছি নিয়ে যায়। আমি আবার নানুকে ছুঁতে পারি, নানুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে পারি। আমি প্রানভরে নানুর পান-চুন-জর্দার গন্ধ নিতে পারি, নিভিয়া ক্রিম মাখা নানুর ঠান্ডা হাত আমার দুই হাতের তালুর মধ্যে চেপে ধরে বসে থাকতে পারি।
নানুর কবরের উপরের ঘাসের বেডটা এখন অনেক সুন্দর হয়েছে। শিশিরগুলো আবছা আলোতেও চিক্চিক করে।
যেখানে নানুর পা, সেখানকার শিশিরে হাত বুলালে। ... হাত ভিজে যায়।
.... সাথে আমার দুই চোখও ভিজে যায়।
সেদিনের আগে কোনদিন আমি সূর্যাস্তের পর কবরস্থানে যাইনি।
সেই রাতে আমি সুন্দর একটা মাটির ঘরে ঘুম পাড়িয়ে রেখে এসেছিলাম আমার সবচাইতে প্রিয় মানুষটাকে।
প্রায় একটা বছর কেটে গেল নানুকে ছাড়া। আবার শীত এসেছে; সন্ধার পর কবরস্থান আবার ঢেকে যায় কুয়াশায়। আমার ভীষণ ভালো লাগে সেই সময়টা। ধোয়া-ধোয়া আঁধার আমাকে আবার নানুর কাছাকাছি নিয়ে যায়। আমি আবার নানুকে ছুঁতে পারি, নানুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে পারি। আমি প্রানভরে নানুর পান-চুন-জর্দার গন্ধ নিতে পারি, নিভিয়া ক্রিম মাখা নানুর ঠান্ডা হাত আমার দুই হাতের তালুর মধ্যে চেপে ধরে বসে থাকতে পারি।
নানুর কবরের উপরের ঘাসের বেডটা এখন অনেক সুন্দর হয়েছে। শিশিরগুলো আবছা আলোতেও চিক্চিক করে।
যেখানে নানুর পা, সেখানকার শিশিরে হাত বুলালে। ... হাত ভিজে যায়।
.... সাথে আমার দুই চোখও ভিজে যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন