শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৩

নো যাবজ্জীবন, নো উস্তাভাজি।

গোলাম মাওলা রনি'র আলোচিত "উস্তাভাজি" বিষয়ক লেখাটি নিয়ে কিছু বলতে চাই।

কাদের মোল্লা আর কসাই কাদের এক লোক নাকি ভিন্ন লোক, এ নিয়ে ত্যানা অনেক প্যাচানো হয়েছে। আমি একদমই ভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে একটা ব্যাপারে আমার মতামত ব্যক্ত করতে চাই। 

কাহিনী হলো - রনি সাহেবের লেখাটা পড়ে আমি ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট বা মৃত্যুদন্ডের বিশাল সাপোর্টার হয়ে গেছি। 



জেলখানার জীবন নিয়ে যেমন ভয়ংকর ধারণা আমার ছিল (প্রিজন ব্রেক, কন-এয়ার ইত্যাদি মুভির কল্যানে), এই লেখা পড়ে সব পাল্টে গেছে। এখন তো জেলখানা আর টিএসসি'র মধ্যে খুব একটা পার্থক্য দেখছি না।  আড্ডাবাজি হয়, রবীন্দ্রসংগীতের আসর বসে, গরুর মাংসের লাল ঝোল দিয়ে ধুয়াওঠা ভাত খাওয়া হয় - বাহ্, সিমস লাইক এ বেটার প্লেস দ্যান টিএসসি। জানতে পারলাম সেখানে নাকি ফ্রিজ'ও আছে। আরেকটু ইনভেস্টিগেট করলে শিওর মোবাইল ফোন, আইপ্যাড, এলসিডি টিভি, পিইসথ্রি ইত্যাদির খোঁজও পাওয়া যাবে। সেলেব্রিটি বন্দিরা মাঝে মাঝে সপরিবারে হাতির ঝিল বা ব্যাংককে হলিডে কাটাতে চলে যান কিনা সেটা নিয়েও একটু খোঁজ করে দেখা যেতে পারে :) 

৯০% মুক্তিযোদ্ধার পরিবারও আমি শিওর এত আরামের জীবন কাটায় না রে ভাই। বাজি লাগবেন? 

আমাদের মত গরিব দেশে, যেখানে বেশির ভাগ মানুষই ঠিকমত খেতে পায় না, সেখানে এসব জানোয়ারদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়ে মৌজমাস্তি করতে দেয়ার কোনো কারণ আমি সত্যিই খুঁজে পাইনা। 

রাজাকার হোক, নষ্ট পলিটিশিয়ান হোক বা নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মারা পিকেটার --- অপরাধ প্রমানিত হলে সোজা ঝুলিয়ে দেয়া উচিত। 

নো যাবজ্জীবন, নো উস্তাভাজি। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন