সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৩

নতুন বছরে গোপালগঞ্জে গোলাপী রঙের গোলাপ ফুটুক।

চাইতেই পারতাম, আমার বউ যেন নতুন বছরে আমার প্রাক্তন বান্ধবীদের সাথে রাগ-ঝগড়া-খিটিমিটি মিটিয়ে ফেলে তাদের চা-ডালপুরি খাওয়ার দাওয়াত দেয়।  

চাইতেই পারতাম, নতুন বছরে আমার ভুলোমনা-দুষ্টু ক্লায়েন্টরা যেন মেঘ না চাইতেই জল দেয়ার মতো করে প্রায় ভুলে যেতে বসা পেমেন্টগুলা ইন্টারেস্ট-সমেত দিয়ে দেয়।  

চাইতেই পারতাম, হাজার বার্গার, কোক, আইসক্রিম, কাচ্চি খাওয়ার পরও যেন নতুন বছরে আমার ওজন ২০/২৫ কেজি কমে যায়।  

একদা এক মুরুব্বী বলেছিলেন "যাতে শুধু নিজের লাভ হয়, তা চাইবি না। যাতে সব মানুষের উপকার হয়, তা চাইবি। ঈশ্বর ত্যাগ পছন্দ করেন।"

নেন মুরুব্বী, আপনার কথা শুনলাম। অনেক বড় ত্যাগ করলাম। বউ'এর সাথে বান্ধবীদের ডালপুরি মিটিং চাইলাম না। চাইলাম না ওজন কমা। চাইলাম না ইন্টারেস্ট (শুধু আসলটা দিলেই হবে)। 

বরং, অন্তরের অন্তস্থল থেকে চাইলাম, আমাদের দুই নেত্রী যেন নতুন বছরে রাগ-ঝগড়া-খিটিমিটি মিটিয়ে ফেলে যেকোনো  উসিলায় একসাথে বসেন, সামনা-সামনি হাসিমুখে কথা বলেন, চা-ডালপুরি খান।  

নতুন বছরে গোপালগঞ্জে গোলাপী রঙের গোলাপ ফুটুক। 

হ্যাপি নিউ ইয়ার।

[এবার একটু আগেভাগেই উইশ করে ফেললাম। বলা তো যায় না, হঠাত যদি সামনে বালুর ট্রাক নষ্ট হয়ে যায়, তখন তো স্টেটাসটাও আটকে যাবে।]

শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৩

টি-২০ বিশ্বকাপ

২০১৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হবে - এই খবর জানার পর থেকে ব্রাজিলের সরকার থেকে শুরু করে প্রতিটা মানুষের ধ্যানে-জ্ঞানে একটা জিনিষই কাজ করেছে - যেভাবেই হোক, বিশ্বকাপের আয়োজনটাকে সেইরকম সাকসেসফুল করতে হবে।  এটা তারা সবাই জানে যে এমন একটা ইভেন্ট একটা দেশকে তার সব ভালো-ভালো দিকগুলি পুরা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে সাহায্য করে।  ভালো মত আয়োজন করতে পারলে এমন একটা ইভেন্ট একটা দেশের অর্থনৈতিক সিনারিও'ই পাল্টে দিতে পারে। 

আর মাত্র ৩ মাস পর বাংলাদেশে টি-২০ বিশ্বকাপ। স্বাধীনতার পর এত বড় কোনো আন্তর্জাতিক ইভেন্টের একক হোস্ট বাংলাদেশ আগে কখনো হয়নি। আইসিসিই বলুন আর অংশগ্রহণকারী দেশগুলির ক্রিকেট বোর্ডগুলির কথাই বলুন - সবার নজর কিন্তু এখন আমাদের দেশের দিকে থাকাটাই স্বাভাবিক। 

আর কি সুন্দর ভাবেই না আমরা আমাদের চরিত্রটা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরছি, তাই না? এই অবস্থার ফলাফল হিসেবে ক্রিকেটের এত বড় একটা আসর যদি আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে অন্য দেশে চলে যায় - কত্ত ভালো হবে, তাই না? 

জানি, এজন্য কেউ দোষ দিবেন সরকারী দলকে, কেউ দিবেন বিরোধী দলকে; আবার অনেক জ্ঞানী-গুনিজনরা দোষ চাপাবেন ভারত-শাসিত-আইসিসির উপর।  

লাভ কি ভাই দোষ চাপিয়ে। কার দোষে ন্যাংটা হলেন, সেটা ভেবে কি লাভ? দুনিয়া যে আপনার নাঙ্গা পাছু'টা দেখে ফেললো, সেটা কি ভালো হলো? 

কাল আমাদের আনুগত্য প্রকাশের দিন।

আমার ঢাকার বাইরে থাকা বন্ধুদের মুখে শুনলাম, কাল নাকি তাদের "এসপারে" অথবা "ওসপারে" হাজিরা দিতে হবে। কাল যারা ঢাকায় আসার আহবানে সাড়া না দিয়ে নিজ নিজ কাজের বা পড়াশোনার জায়গায় হাজিরা দিবে, তারা চিরতরে আওয়ামীলীগের পতাকাতলে আশ্রয় পাবে। আর যারা কাল ঢাকায় এসে হাজিরা দিতে পারবে তারা আজীবন বিএনপি'র ছত্রছায়ায় চলে আসবে।

নো ঘরে বসে মা-বউ-এর আঁচলে মুখ লুকিয়ে থাকা। নো মাঝামাঝি অবস্থান। হয় এসপার, নয় ওসপার।

ন্যাংটা না হয়ে যাবি কোই এইবার? 

কাল প্রভুদের ক্ষমতা প্রদর্শনের দিন।

কাল আমাদের আনুগত্য প্রকাশের দিন।  

ইনশাল্লাহ, কাল আমরা আম-জনতা, হয় এইদলের গুন্ডা নাহয় নাহয় ঐদলের পান্ডার সামনে দাঁড়িয়ে, পাছুর কাপড় তুলে, উপুত হয়ে বলবো - "জাহাপনা, তুসি গ্রেট হো, তোফা কবুল করো।"  

আলো ফুটবেই

আমি যাচ্ছি মিছিলে 
তুমি কিসের অপেক্ষায়? 
সব দেখেও না দেখে
তুমি নিশ্চুপ কেন হায়!

আমি শুনছি নতুন গান 
তুমি কিসের বাহানায় 
সব বুঝেও না বোঝার 
এ কেমন অভিনয়? 

যতই তুমি চোখ ফিরিয়ে থাকো  
যতই তুমি মুখ লুকিয়ে রাখো 

জেনে রেখো তুমি 
আঁধার কাটবেই 
সকাল হাসবেই 

দেখে নিও তুমি 
সূর্য উঠবেই 
আলো ফুটবেই 

বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৩

তায়া কি পায়া ভাং গ্যায়া?

সকাল বেলা কমোডে বসে আছি আর ঘরের টিভি থেকে ভেসে আসা হিন্দি গান শুনছি; ধুম মাচালে। হঠাত বৌএর আর্ত চিত্কার, "হায় হায়, সর্বনাশ, মিল্টনের স্টেটাস দেখসো???!!!!"

আমি সিরিয়াস ভাব দিয়ে আওয়াজ দিলাম, "কিউ? ক্যায়া হুয়া?"

ইশ-ইশ-চুক-চুক শব্দ করতে করতে বউ গম্ভীর ভাবে বলল, "মিল্টন লিখসে, হি ইজ উইথ তায়া ইন এপোলো হসপিটাল, ওর ankle sprain হইসে।" (এখানে উল্লেক্ষ্য যে তায়া হলো আমার বন্ধু মিল্টনের বউ)

কি হলো বুঝলাম না।  আমার মুখ দিয়ে অটোমেটিক বের হয়ে গেল ---  "ক্যায়া? তায়া কি পায়া ভাং গ্যায়া?"

--------------------

বাথরুমের ভিতর থেকেই বৌএর রক্তচক্ষুর গরম আমি ঠিকই টের পাইলাম। 

---------------------

তায়া, তুমি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠো ভায়া। আজকে তোমার পায়া ভাঙ্গার কারণে তোমার বেহায়া জামাই আড্ডায় আসতে পারছে না বলে আমার সত্যিই বড় মায়া হচ্ছে। (ইশ-ইশ-চুক-চুক শব্দ)

মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৩

তবে কি এক জীবনে এই আমাকে এত্ত ভালোবাসতি?

যদি না সেই বিকালে মনের ভুলে  
আমার কাছে আসতি,
যদি না আমার আজব 
আজব কথায় হাসতি, 
যদি না বোকার মত 
বিয়ের জালে ফাঁসতি, 
তবে কি এক জীবনে
এই আমাকে এত্ত ভালোবাসতি? 

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৩

১২ বছর

"রাজীব, তুই শিওর তো?"
"মানে কি? এই টাইমে এইটা কেমন কোয়েশ্চেন?"
"তুই বুঝতে পারছিস না। আমার মনে হচ্ছে আমি ভুল করতে যাচ্ছি। আমি মোটামুটি শিওর যে তোরে বিয়ে করে আমি বিগটাইম ধরা খাবো।"
"আজব রে ভাই, এই কথা তোর আজকে মাথায় আসলো? আজকে তোর হলুদ রে ভাই। পরশু তোর-আমার বিয়া!"
"হারামজাদা, তুই বিয়া মানে বুঝোস?"
"আমি ক্যামনে বুঝবো? আমার বিয়ার বয়স হইসে নাকি?"
"তাইলে বিয়ে করতেসোস ক্যান?"
"আরে, আজব তো! তোর তো বিয়ের বয়স হইসে। আমি না করলে তো অন্য কেউ তোরে বিয়ে করে ফেলবে। তখন তো কানতে কানতে মরবি।"
"ফর হেভেনস সেক রাজীব, প্লিজ সিরিয়াস হ। এখনো টাইম আছে। চল বাদ দেই। বিয়ে করে পস্তানোর চেয়ে বিয়ের আগে সীন ক্রিয়েট করে সব ক্যানসেল করা ভালো।"
"জোশ তো! বাসায় যা, গিয়া তোর বাপ-মা'রে বল, তোর ভুল হইসে। তুই আমারে বিয়া করবি না। আবার যেন তোর জন্য বুইড়া পাত্র দেখা শুরু করে।"
"অসহ্য। তুই আসলেই ইম্পসিবল। আমি লিখে দিতে পারি, তোর সাথে কোনো মেয়ে এক সপ্তাহও টিকতে পারবে না। "

.........................

এই মিটিংটা হয় পূনমের গায়ে হলুদের দিন সকালে; হাতিরপুল বাজারের উল্টাদিকে হার্টথ্রব নামক একটা ফাস্টফুডের দোকানে। 

ঐদিন বিকালে পূনমের হলুদ অনুষ্ঠিত হয়।  
তার দুইদিন পর মহাসমারহে আমাদের বিয়ে হয়।  

বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার সময়ও গাড়িতে ঢেশকি তুলে কাঁদতে কাঁদতে পূনম বলছিল, "৭ দিনের বেশি তোর সাথে টিকতে পারলে ফকির খাওয়াবো।"

.................................................

শুভ যুগপূর্তি পূনম। ফকির কিন্তু এখনো খাওয়াস নাই, অথচ ১২ বছর ঠিকই কাটিয়ে দিলি আমার সাথে!

তোর জাজমেন্ট যে কতটা ফাউল, এখন বুজ্ছোস?



বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৩

পরকিয়ার কারণ

ব্রেকিং নিউজ - পরকিয়ার কারণ হিসেবে লা-লিগা এবং প্রিমিয়ার লিগ'কে পেছনে ফেলল মধ্যরাতের টকশো: 
-----------------------------------------------------------------------------------------------


রাত দেড়টা, মধ্য-বাড্ডা: 

ফয়সাল সাহেবের চোখ টিভি স্ক্রিনের পর্দায় সুপার গ্লু দিয়ে আটকানো। কোলের উপর রাখা বালিশে মহাউত্সাহে থাবড়া মারছেন আর ক্ষণে ক্ষণে বিড়বিড় করছেন - "সাব্বাশ ব্যাটা, জটিল কইসোস" বা "চান্দু, এইবার কি বলবা? গেসে এইবার থোতা মুখ ভোতা হয়ে..."

তিনি টক-শো দেখছেন। 

ফয়সাল সাহেবের স্ত্রী ফারিয়া মাঝে মাঝে বিরক্ত মুখে হাসব্যান্ড'এর দিকে তাকাচ্ছেন। এবং ফেইসবুক গুতাগুতি করেছেন। 

রাত দেড়টা, মোহাম্মদপুর। তাজমহল রোড: 

আরাফাত সাহেবের মেজাজ চরম খারাপ। ম্যান-ইউ ভার্সাস চেলসির খেলা দেখতে পারছেন না স্ত্রী সোনিয়ার কারণে। তিনি গোলাম মাওলা রনি এবং আন্দালিব পার্থর টক শো দেখছেন। এবং কিছুক্ষণ পরপর মুখ চোক্ষা করে "অঅঅঅ, কি কিউট না লোকটা !!!" টাইপ মন্তব্য করছেন। তার নিরবিচ্ছিন্ন মনোযোগে বিন্ধুমাত্র চিড় ধরাতে পারছে না আরাফাত সাহেবের খেলা দেখতে না পারার অব্যক্ত বেদনা :(  

অসহায় আরাফাত আর কি করবেন? ফেইসবুক গুতাগুতি করতে শুরু করলেন। 

ফলাফল: 

এভাবে প্রতি রাতে অসংখ্য ফারিয়া'র সাথে অসংখ্য আরাফাতের অনলাইনে যোগাযোগ হচ্ছে। দুই পক্ষের হতাশা আর না পাওয়ার কষ্ট যেহেতু এক, তাই তাদের মধ্যে দ্রুত জন্ম নিচ্ছে বন্ধুত্ব। বন্ধুত্ব থেকে প্রণয়, তথাপি পরকিয়ার সূত্রপাত হতেও সময় বেশি লাগছে না।  

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিএনপি বা আওয়ামীলীগের পোস্ট-মর্টেম সম্বলিত এসব টক-শো'র কারনে পরকিয়া প্রেম যে হারে বাড়ছে, তা পূর্বের রেকর্ড "লা-লিগা বা প্রিমিয়ার লীগ'এর কারণে পরকিয়া প্রেম"এর চেয়ে শতগুন বেশি। 


বিশেষজ্ঞদের মতামত: 

বিশেষজ্ঞরা অবশ্য ব্যাপারটাকে পজিটিভলি দেখছেন। তাদের দৃষ্টিতে, দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে টক-শো'গুলির এই নিঃস্বার্থ ভূমিকার জন্যে তাদের রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত করা উচিত। 

মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৩

মেরা আপনা খুন থা।"

বাঘের ধাওয়া খেয়ে কুকুরের দল লেজ গুটিয়ে পালালো। 

কুকুর-রাজ জরুরি সভা তলব করলো: "উস বাঘ মুল্লুক'কো এক জবরদস্ত শিক্ষা দেনা হোগা। কুছ প্ল্যান বাতাও।"
কুকুরদের ক্রিয়েটিভ হেড মাথা চুলকে বললো: "হুজুর, বাঘ মুল্লুক মে হামারা বেস্ট কুত্তে'কো ভেজ দেতে হ্যায়। টাইম আনে পার হামারা কুত্তা বাঘ'কো মার দে গা। "
কুকুর-রাজ: "ওয়াহ! কেয়া প্ল্যান হ্যায়। মারহাবা। লেকিন, হামারা বেস্ট কুত্তা কউন হ্যায়?"
ক্রিয়েটিভ হেড: "হুজুর, আপ তো জানতে হ্যায়, হামারা বেস্ট কুত্তা আপকা বেটা হি হ্যায়। হি ইজ দা বেস্ট। হি ইজ আওয়ার সুপার-ডগ।"
কুকুর-রাজ: "নেহিইইইই, ইয়ে কেয়া বোলতা হ্যায়। উও তো মেরা বেটা হ্যায়। উসকো ম্যায় নেহি ভেজুঙ্গা। আগার উসে কুছ হো গেয়া তো মেরা কেয়া হোগা?" 
ক্রিয়েটিভ হেড: "নেহি হোগা হুজুর। বাঘ মুল্লুক মে হামারা কুছ কুত্তালোগ ভি হ্যায়। উও হামারা প্রিন্স'কো দেখভাল করেঙ্গে।"

কুকুর-রাজ রাজি হয়।  কুকুর-রাজপুত্র নেড়ি-কুকুরের ছদ্মবেশে বাঘ-মুল্লুকে প্রবেশ করে এবং ঘাপটি মেরে অপেক্ষা করতে থাকে, কবে সে বাঘদের মওকা মত পাবে।

কিন্তু বিধি বাম।  কুকুরের স্বভাব কি বদলানো এত সোজা? পাকনামি করতে গিয়ে একদিন ঠিকই ধরা পরে যায় বাঘবাহিনীর হাতে। বিচার হয়, ঝুলিয়ে দেয়া হয় ফাঁসিতে। বাঘ-সমাজ মনে করে, যাক... একটা ছিচ্কে কুকুর তো সাজা পেল ... 

কিন্তু... ঘটনা তো এখানেই শেষ না।  কুকুর-মুল্লুকে তো তখন মাতম উঠেছে। হায় হায় রব, হাম তো লুট গ্যায়ে, বরবাদ হো গ্যায়ে...

বাঘ'রা তো কিছু বুঝতে পারছে না! সবার মনে একই প্রশ্ন, সামান্য একটা নেড়ি-কুকুরের জন্য কুকুর-মুল্লুক এমন আবেগে কাইন্দালাইতেসে ক্যান? 
.
.
.
.
এই প্রশ্নের জবাব কুকুর-রাজ ক্যামনে দিবে বলেন?
বেচারা তো আর চিক্কুর পাইরা কইতে পারে না - "মোল্লা কোয়ী মামুলি কুত্তা নেহি থা রে, উও মেরা বেটা থা।  মেরা আপনা খুন থা।"  

সাময়িক বিচ্ছেদ

আরিফ সাহেবের সাথে একটা সাময়িক বিচ্ছেদ অবস্বম্ভাবী হয়ে উঠেছে।

কিছুদিন আগ পর্যন্ত কোথাও গেলে মানুষ জিজ্ঞেস করতো, "ভাবী আসেনাই ভাইয়া?", "আপু কেমন আছে?" ইত্যাদি ইত্যাদি।

এখন যেখানেই যাই, শুনি "আরিফ ভাই আসবে না ভাইয়া?", "আরিফ ভাই কেমন আছে?" ... 

লক্ষণ তো ভালো ঠেকছে না।  সময় খারাপ।

তফাৎ মেইনটেইন করা অতিব জরুরি। 

সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩

জয়তু বিডিসাইক্লিস্ট, জয়তু বাংলাদেশ !

প্রধানমন্ত্রীর অফিস। সকাল ৯:৩০... 

প্রধানমন্ত্রীর হেড অফ সিকিউরিটির কপাল বেয়ে চিকন ঘাম বেয়ে পড়ছে। এ কি আজব টেনশন রে বাবা! .... 

প্রধানমন্ত্রী: চলো, বের হই আমরা। মিটিং ধরতে হবে না? 

হেড অফ সিকিউরিটি: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমাদের একটু ওয়েইট করতে হবে।
  
প্রধানমন্ত্রী (একটু বিরক্ত): কেন? কি হলো আবার? রাস্তায় গ্যান্জাম নাকি?

হেড অফ সিকিউরিটি (একটু বিব্রত): না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, রাস্তায় সাইকেল! 

প্রধানমন্ত্রী (আরেকটু বিরক্ত): মানে কি? ১০ মিনিট আগে রাস্তা খালি করা হয়নি? আর... সাইকেল মানে কি? 

হেড অফ সিকিউরিটি (ঘাম মুছতে মুছতে): মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। হাজার হাজার সাইকেল। ১৫ মিনিট ধরে যাচ্ছে তো যাচ্ছেই। আরো কতক্ষণ ধরে যায়, বুঝতে পারছিনা। এত বড় মিছিল, এখন তো মাথাও দেখি না, লেজ'ও দেখিনা।  

প্রধানমন্ত্রী: বলো কী !!! এরা আবার কারা? ইসি'কে ফোন লাগাও, বিরোধীদল কি "সাইকেল" মার্কা নিয়ে ইলেকশন করতেসে নাকি? 

হেড অফ সিকিউরিটি: না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এরা কোনো পার্টি না।  সবার গায়ে লাল-সবুজ পতাকা। সবাই গান গাইতে গাইতে আর "বাংলাদেশ বাংলাদেশ" স্লোগান দিতে দিতে রাস্তা কাঁপিয়ে যাচ্ছে। কি করবো? RAB-কে বলবো অ্যাকশনে নামতে? 

প্রধানমন্ত্রী (মুচকি হেসে): নাহ থাক, সবদিন তো আমার জন্য ওদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয় রাস্তায়; আজকে নাহয় ওদের জন্য আমি একটু দাঁড়ালাম। দেশটা তো ওদেরই, তাই না? ওরাই তো বাংলাদেশ। 



[প্রধানমন্ত্রী এবং তার হেড অফ সিকিউরিটির মধ্যেকার কথপকথনটি কাল্পনিক হলেও (যদিও অনেক সুইট), প্রধানমন্ত্রী অফিসের সামনে সাইকেলের শো-ডাউনটি ১০০% সত্যি। আজকে সকালে যারা ঢাকার রাজপথে "বিজয় রাইড"-এ ছিলেন তারা অভূতপূর্ব এই দৃশ্যের সাক্ষী। যারা দেখেননি, তারা বিশাল একটা জিনিস মিস করেই ফেলেছেন। তাদের জন্য প্রথম কমেন্টে একটা ছবি দিয়ে দিচ্ছি। মুরগি তো পাইলেন না, ঝোল'ই খান। ]

পতাকা আর জাতীয় সঙ্গীতের বিশ্বরেকর্ডের চিপায় এই রাইড কিছুটা ঢাকা পড়ে গেলেও, সাইকেল-রেভলিউশনটা কিন্তু আসলেই সেইরকম-লেভেলে পৌঁছে গেছে। লিখে দিতে পারি, নেক্সট রাইডে এর ডাবল মানুষ আসবে। আর এই বিষয়ক সকল রেকর্ড ভাঙ্গা তো আমার কাছে শুধুই সময়ের ব্যাপার বলে মনে হচ্ছে।  

জয়তু বিডিসাইক্লিস্ট, জয়তু বাংলাদেশ ! 

#BDCyclists #BijoyRide #16D

Photo Credit - Sanjay Sagor

রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৩

নানু

সেটাও একটা শীতের রাত ছিল। ঘন কুয়াশায় অল্প দূরের কোনকিছুও ঠিকমত দেখা যাচ্ছিল না। কুয়াশার মধ্যে ল্যাম্পপোস্টের আলোতে সারি সারি গাছগুলোকে অন্য জগতের কিছু মনে হচ্ছিল। খালি পা ভিজে যাচ্ছিল ঠান্ডা শিশিরে। 

সেদিনের আগে কোনদিন আমি সূর্যাস্তের পর কবরস্থানে যাইনি। 

সেই রাতে আমি সুন্দর একটা মাটির ঘরে ঘুম পাড়িয়ে রেখে এসেছিলাম আমার সবচাইতে প্রিয় মানুষটাকে। 



প্রায় একটা বছর কেটে গেল নানুকে ছাড়া। আবার শীত এসেছে; সন্ধার পর কবরস্থান আবার ঢেকে যায় কুয়াশায়। আমার ভীষণ ভালো লাগে সেই সময়টা। ধোয়া-ধোয়া আঁধার আমাকে আবার নানুর কাছাকাছি নিয়ে যায়।  আমি আবার নানুকে ছুঁতে পারি, নানুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে পারি। আমি প্রানভরে নানুর পান-চুন-জর্দার গন্ধ নিতে পারি, নিভিয়া ক্রিম মাখা নানুর ঠান্ডা হাত আমার দুই হাতের তালুর মধ্যে চেপে ধরে বসে থাকতে পারি। 

নানুর কবরের উপরের ঘাসের বেডটা এখন অনেক সুন্দর হয়েছে। শিশিরগুলো আবছা আলোতেও চিক্চিক করে।  

যেখানে নানুর পা, সেখানকার শিশিরে হাত বুলালে। ... হাত ভিজে যায়।  

.... সাথে আমার দুই চোখও ভিজে যায়।  

শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৩

সিঙ্গেল-ক্যান্ডিডেট-ওয়ালা কন্সটিটিউয়েনসি দেখে ইলেকশনে

ভাবছি, একটা সিঙ্গেল-ক্যান্ডিডেট-ওয়ালা কন্সটিটিউয়েনসি দেখে ইলেকশনে নেমে যাব কিনা। 

বুড়া বয়সে নাতি-নাতনিকে বড়াই করে বলতে পারব - "বুঝলি রে, আরেকটু হলেই এমপি হয়ে গেসিলাম। কপাল খারাপ, ইট্টুর জন্য হেরে গিয়ে সেকেন্ড হতে হইলো :("

....
....
....

অন এ ডিফারেন্ট নোট, রিস্ক নিয়ে লাভ নাই। বাই চান্স যদি জিতে যাই ! তখন এমপিগিরি করবে কে?

নির্বাচনের কোনোওওও ভরসা নাই !

[দয়া করে কেউ আবার ভাববেন না যে আমি বিষয়টা নিয়ে "ব্যঙ্গ" করছি। "ব্যঙ্গ" তো করছেন বড় বড় বস্'রা, আমি শুধু তাল দিচ্ছি]

শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৩

নো যাবজ্জীবন, নো উস্তাভাজি।

গোলাম মাওলা রনি'র আলোচিত "উস্তাভাজি" বিষয়ক লেখাটি নিয়ে কিছু বলতে চাই।

কাদের মোল্লা আর কসাই কাদের এক লোক নাকি ভিন্ন লোক, এ নিয়ে ত্যানা অনেক প্যাচানো হয়েছে। আমি একদমই ভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে একটা ব্যাপারে আমার মতামত ব্যক্ত করতে চাই। 

কাহিনী হলো - রনি সাহেবের লেখাটা পড়ে আমি ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট বা মৃত্যুদন্ডের বিশাল সাপোর্টার হয়ে গেছি। 



জেলখানার জীবন নিয়ে যেমন ভয়ংকর ধারণা আমার ছিল (প্রিজন ব্রেক, কন-এয়ার ইত্যাদি মুভির কল্যানে), এই লেখা পড়ে সব পাল্টে গেছে। এখন তো জেলখানা আর টিএসসি'র মধ্যে খুব একটা পার্থক্য দেখছি না।  আড্ডাবাজি হয়, রবীন্দ্রসংগীতের আসর বসে, গরুর মাংসের লাল ঝোল দিয়ে ধুয়াওঠা ভাত খাওয়া হয় - বাহ্, সিমস লাইক এ বেটার প্লেস দ্যান টিএসসি। জানতে পারলাম সেখানে নাকি ফ্রিজ'ও আছে। আরেকটু ইনভেস্টিগেট করলে শিওর মোবাইল ফোন, আইপ্যাড, এলসিডি টিভি, পিইসথ্রি ইত্যাদির খোঁজও পাওয়া যাবে। সেলেব্রিটি বন্দিরা মাঝে মাঝে সপরিবারে হাতির ঝিল বা ব্যাংককে হলিডে কাটাতে চলে যান কিনা সেটা নিয়েও একটু খোঁজ করে দেখা যেতে পারে :) 

৯০% মুক্তিযোদ্ধার পরিবারও আমি শিওর এত আরামের জীবন কাটায় না রে ভাই। বাজি লাগবেন? 

আমাদের মত গরিব দেশে, যেখানে বেশির ভাগ মানুষই ঠিকমত খেতে পায় না, সেখানে এসব জানোয়ারদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়ে মৌজমাস্তি করতে দেয়ার কোনো কারণ আমি সত্যিই খুঁজে পাইনা। 

রাজাকার হোক, নষ্ট পলিটিশিয়ান হোক বা নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মারা পিকেটার --- অপরাধ প্রমানিত হলে সোজা ঝুলিয়ে দেয়া উচিত। 

নো যাবজ্জীবন, নো উস্তাভাজি। 

বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৩

রাজাকারেরও মানবাধিকার থাকা উচিত!

রাজাকারেরও মানবাধিকার থাকা উচিত!



একটা মানুষকে ফাঁসি দেয়ার জন্য রেডি করানো হলো। আত্মীয়-স্বজন'দের সাথে দেখা করানো হলো। শেষ বিদায় নেয়া হলো। যতদুর শুনেছি গোসল করিয়ে তওবা করানোও হলো ...

তারপর ফাঁসি পিছিয়ে দেয়া হলো!!!

মগের মুল্লুক নাকি এইটা? লোকটার মনের অবস্থাটা একবার চিন্তা করেছেন আপনারা? কোথাও যাওয়ার জন্য রেডি হওয়ার পর যদি শোনেন প্ল্যান ক্যানসেল, কেমন লাগে তখন? 

আর এইটা তো চিরবিদায়!!! মহাপ্রয়ান!!!

এই ক্ষেত্রে এমন ফাইজলামির কোনো মানে হয়? 

আকুল আবেদন, লোকটাকে আর কষ্ট না দিয়ে এখনি ঝুলিয়ে দেয়া হোক। রাজাকারটাকে আর কষ্ট না দেই আমরা। 

আর ... কাদের মোল্লার পক্ষের আইনজীবি'দের বিরুদ্ধে "মানবাধিকার লঙ্ঘন"এর মামলা দেয়া হোক। এই ব্যাপারে জাতিসংঘের মানবাধিকার উইং নিশ্চয়ই সাহায্য করবে। 

ঠিক না? 

বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৩

কুফাত্ব

বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলার সময় আমি মাঠে যাই না, কারণ আমি মাঠে গেলে আমরা হারি। খেলার আগে বা চলাকালীন সময়ে আমি ফেইসবুকে খেলা নিয়ে কোনো স্টেটাস দেই না - অনেকবার এমন হইসে, আমরা জিতে যাচ্ছি ভেবে একটা কিছু লিখলাম, সাথে সাথে ধ্বস নামা শুরু হলো। 

চুপ করে ঘাপটি মেরে থাকি। আমরা জিতি। তারপর গলা ফাটাই - এটাই আমার ক্রিকেটপ্রেমের বহির্প্রকাশ। 

কাদের মোল্লার ফাঁসী যখন মাত্র এক ঘন্টা দূরে, তখন আমি তার ফাঁসী নিয়ে কভার পিকচার দেই। না দিলেই পারতাম - আমি যে এত বড় কুফা, বুঝতে পারিনি। আমার অতি-উত্সাহের কারণেই কি রাজাকারটার ফাঁসী আটকে গেল? 

ফাঁসী নিয়ে আর কোনো স্টেটাস দিব না; ব্যাটারে ঝুলানো না পর্যন্ত। কভার পিকচার হাইড করলাম। ব্যাটা ঝুললে তারপর ফীলিংস প্রকাশ করব। 

নিজের কুফাত্ব নিয়ে আর কোনো রিস্ক নিতে চাইনা। 

পাছু'র যেমন বিষফোঁড়া

পাছু'র যেমন বিষফোঁড়া 
আওয়ামীলীগ'এর তেমন রনি 

আমি কিন্তু আমি না

কাদের মোল্লা আর কসাই কাদের এক লোক না। 
এরশাদ, জনি ডেপ আর সালমান খান আসলে এক লোক। 
বঙ্গবন্ধু আর শেখ মুজিবুর রহমান এক লোক না। 
শেখ হাসিনা আর খালেদা জিয়া আসলে জমজ বোন, শুধু দেখতে দুই রকম। 
গোলাম আজম ছিলেন ওসমানীর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক অ্যাডভাইজার। 
অনন্ত জলিল আর সাকিব খান আসলে এক লোক। 
আমি আর রাজীব হাসান চৌধুরী এক লোক না।

আমি কিন্তু আমি না। আমার আসল নাম হইলো ...... (এটাও নাহয় আপনারাই বলেন... সব তো আপনারাই জানেন ... ) 

হইসে?
খুশি?
নাচি এইবার?  

রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৩

সে পাছু আবার পাছু নাকি, যে পাছু ব্যথা সইতে না পারে!

মোটামুটি ৩ সপ্তাহ সাইকেল চালানোর ব্যালেন্স শীট: 
----------------------------------------------------

উপকারিতা:

১। ফিজিক্যালি আগের থেকে অনেক ফিট লাগে। প্রথম দিকে ৫/৬ কিলোমিটার চালাতে হালুয়া টাইট হলেও এখন ২৫/৩০ কিলোমিটার কুনো ব্যাপারই না :) [রেফারেন্স: এন্ডোমোন্ডো]
২। মোটাত্ব মনে হয় কিছুটা কমেছে। প্যান্ট একটু ঢিলা হয়। আট লিস্ট আমার তাই মনে হয়। 
৩। অবরোধের কারণে যেহেতু গাড়ি বের করতে পারতাম না এবং সিএনজিতেই যাতায়াত করতে হতো, সুতরাং সিএনজি ভাড়া হিসাব করলে মিনিমাম  হাজার পাঁচেক টাকা তো অবশ্যই সেইভ করেছি।
৪। অনেকগুলি নতুন গলি চিনেছি। অনেকগুলি পুরানো গলিতে নতুন করে ঢুকে নস্টালজিক ফীলিংস পেয়েছি। 
৫। রাতে এখন সলিড ঘুম হয়। আমি এখন মরার মত ঘুমাই, অথচ আগে আমার ঘুম প্রচন্ড পাতলা ছিল। 
৬। অ্যাবসলিউট স্বাধীনতা (বিবাহিতরা বুঝবেন ইহার মর্ম)। ঘন্টাখানেকের জন্য আমি শুধুই আমার। আহা। মোবাইল ফোন না ধরলেও অব্যর্থ এক্সকিউজ: "সাইকেল চালাচ্ছিলাম বেইবি, ইউ নো - টকিং অন সেলফোন হোয়াইল সাইক্লিং ইজ ভেরি ডেঞ্জারাস।"

প্রবলেম: 

১। একা একা সাইকেল চালাতে ভাল্লাগে না। ২/১ জন বন্ধু সাথে থাকলে অবশ্য হেভি জোশ লাগে। এখনও সুন্দরী বাইকার'দের সাথে রাইড দেয়া হয়নাই। অপেক্ষায় আছি। 
২। এইটা একটা ইউনিক প্রবলেম। যারা আমার মত সুস্বাস্থের অধিকারী, তারা এটা ভালো বুঝবেন। ইন না করে ছোট ঝুলের টিশার্ট বা শার্ট পরলে পিছন থেকে কাপড় উঠে পাছুর সিঁথি দেখা যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে। 
৩। সাইকেলের সীটটা বড়ই রসকষহীন; অনেক শক্ত। বেশিক্ষণ চালালে পাছুতে ব্যথা লাগে। গদি লাগানো সীট পাওয়া গেলে কিনে ফেলবো ভাবছি। 

অভিজ্ঞতালব্ধ উপদেশ:

পাছু-বিষয়ক ব্যাপারগুলিকে বেশি ইম্পর্টেন্স না দিয়ে, আমার মতে মোটা-চিকন-ব্যাঁকা-সোজা-লম্বা-খাটো সবারই সাইক্লিং শুরু করে দেয়া উচিত। 

সে পাছু আবার পাছু নাকি, যে পাছু ব্যথা সইতে না পারে!

বব মার্লে - তুমি গুরু ব্যাপক বুদ্ধিমান

বব মার্লে - তুমি গুরু ব্যাপক বুদ্ধিমান 
---------------------------------------


মাথা চাপড়াই 
গাল থাপড়াই 
দু'কলম লিখতে 
কত করি ট্রাই! 

লাভ হয় নাই; 
ম্যাডাম আর আপা নিয়ে 
কোনো কবিতাই 
যুতসই হয়নাই 

(অথচ)...

চাক্ষুষ না দেখেই, 
যন্ত্রণা না মেখেই,  
সোজা বুল্স আই !!! 
ইন পেত্থম ট্রাই !!! 

আমাগো মনের কথা 
ক্যামনে বুঝলা তুমি 
ক্যামনে লিখলা "নো
ওম্যান নো ক্রাই"

ওহে বব মার্লে
কি করে পারলে গো
কি করে পারলে???

শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৩

এক ফোটা কমেডি

জঘন্যরকম বাজে, নোংরা, অশ্লীল, রক্তারক্তিতে ভরপুর মারদাঙ্গাপূর্ণ এফডিসি মুভির মধ্যে এরশাদ হলো জাস্ট এক ফোটা দিলদার-টাইপ কমেডি। আর আমরা হলাম সেই সহজ-সরল কাজের বুয়া-টাইপ দর্শক যারা টিভি সেটের সামনে বসে ওই এক ফোটা কমেডি দেখেই হেসে কুটিকুটি হচ্ছি।

বাকি মুভির পঁচা গন্ধ যেন আমাদের নাকেই পৌছাচ্ছে না!!! 

[বাই দা ওয়ে, আমিও কিন্তু এই অশিক্ষিত দর্শক-কুলেরই একজন। 

মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৩

জীবন যেখানে পোলটিময়, নামে কি বা আসে যায়!

ছোটবেলায় ... 
"এই ছেলে, কি নাম তোর?" 
"এর-শাদ"

কিছুক্ষণ পর ...
"এই, তোর নাম যেন কি বলসিলি?"
"ওর-শাদ" 

আরো কিছুক্ষণ পর ... 
"ধুরো, তোর নামটা আবার ভুলে গেসি, কি যেন বল্সিলি?"
"তার-শাদ"
"এহ্হ, একটু আগে না অন্য নাম কইসিলি?" 
"জ্বি স্যার, একটু আগে আমি 'এর" ছিলাম, তারপর 'ওর' হইসিলাম, এখন 'তার' হইসি। 
"মাইর চিনোস? নাম আবার পাল্টায় ক্যামনে?"
"স্যার ... জীবন যেখানে পোলটিময়, নামে কি বা আসে যায়!!!"

"ফাতরামি করোস ব্যাটা। ঠিকমত নাম ক।"
"কার-শাদ লেখেন স্যার। এই মোমেন্টে যে আমি কার, সেইটা নিয়া একটু কনফিউজড আছি।" 

রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৩

জয়তু টকশো

"পাইসে রেএএএ, বদমাইশটারে আজকে মাইনকাচিপায় পাইসে। আজকে শালা'রে কোপায়া ভাঁজ করে ফেল। দে দে, আরো দে, কোপা শালারে।" 
---- জ্বি না, এটি রেসলিং দেখতে থাকা কোনো উত্তেজিত দর্শকের হুঙ্কার না। 

"শিট ... এইটা তো এক্সপেক্ট করি নাই। পুরাই তো ঘটনা উল্টায়া দিল। খেলা জইমা গেসে রেএএ ... পুরাই টেনশন হয়ে গেল ... "
---- জ্বি না, এটি ক্রাইম থ্রিলার দেখে নখ কামরাতে থাকা কোনো মনোযোগী দর্শকের কমেন্ট না। 

"ওরে বাবারে, এই মহিলা তো মহা ডেঞ্জারাস। কুটনামির উপর নোবেল পুরস্কার থাকলে, এই মহিলা কনফার্ম নোবেল পাইতো। কি নাদান চেহারা, কিন্তু পেটে পেটে কি শয়তানি বুদ্ধি রে ... "
---- জ্বি না, এটি "কাহানি ঘর ঘর কি" বা "রাশি" দেখতে থাকা কোনো খালাম্মার অবাক-আত্মোপলব্ধি নয়। 

"ওহ গড ... বন্ধ কর রে ভাই, আর নিতে পারতেসি না। এত রাতে এইসব দেখলে ঘুম হবে? স্বপ্নের মধ্যেও তো এদের প্রেতাত্মারা এসে গলা চেপে ধরবে!!!"
---- জ্বি না, এটি মাঝরাতে হরর মুভি দেখতে থাকা কোনো দুর্বলচিত্ত দর্শকের আকুতি নয়। 

"হা হা হা, হো হো হো, ওরে কেউ আমারে ধর ... আমারে মাইরালা .. আমারে এক্কেরেজিন্দাপুইত্তালা ... ওরে সাগোল, থাম তুই, হাসাইতে হাসাইতে পেট ফাটায়া ফেলবি নাকি? ওহ ওহ .. হা হা হা .. হো হো হো ... "
---- জ্বি না, এটি "মিস্টার বিন" দেখতে থাকা কোনো মোটাসোটা কিউট ভদ্রলোকের ভুড়ি-কাঁপানো আবদার নয়। 
.
.
.
.
.
.
.
বিলিভ ইট অর নট, প্রতি রাতে বিভিন্ন চ্যানেলের টকশো'গুলো সিঙ্গেলহ্যান্ডেডলি আমাদের এত্তোগুলা ইমোশন উপহার দিয়ে যাচ্ছে। 

হ্যাট্স অফ। জয়তু টকশো।