পোলাও বিষয়ক স্টেটাস:
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন নিজ হাতে রেধেছেন, নিশ্চয়ই পোলাও সুস্বাদু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই জানেন তেল কতটা দিতে হয়, নুন কতটা, পানি কতটা - তেজপাতা কতটা দিলে সঠিক তেজ হয়। এলাচি, দারচিনি, পেঁয়াজ, রসুন --- নিশ্চয়ই বাজার থেকে বেছে বেছেই সবচাইতে ভালো জিনিসগুলোই তাঁর জন্যে কেনা হয়েছে। হাজার হোক, প্রধানমন্ত্রী বলে কথা! উনি চাইলেই কিন্তু বেস্ট জিনিসগুলি হাতের কাছে চলে আসে, শুধু উনি চাইলেই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীসভা তৈরী করা ব্যাপারটা কিন্তু অনেকটা পোলাও রান্নার মতই। একেকটা মন্ত্রী একেকটা উপকরণের মতই। নুন যদি বেশি হয়ে যায়, পোলাও হবে বিস্বাদ। আবার নুনের বদলে যদি চিনি দিয়ে ফেলেন, তাহলে কিন্তু পুরাই বরবাদ। টেলিযোগাযোগের কাজ কি আর নাইটগার্ড দিয়ে হয়? নাকি ছাগল দিয়ে হয় দারওয়ানের কাজ? আবার ধরেন, আপনি জানেন যে ঘী'টা নষ্ট, একদম দুর্গন্ধ ছড়ানো নষ্ট - এখন আপনি যতই বলেন না কেন যে ঘী সম্পূর্ণ নির্দোষ, লাভ আছে? গন্ধ কি লুকানো যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী? তেলের ব্যাপারটাও কিন্তু ইম্পরট্যান্ট। বেশি তেল দিয়ে একটা তেল-চুপচুপে পোলাও রাধা যায়, ভালো পোলাও রাধা যায় না। মন্ত্রীসভাও মনে হয় একটু বেশি তেল-চুপচুপে? অবশ্য আমি ভুলও হতে পারি।
শেষে দু'টি কথা:
১। প্রধানমন্ত্রী চাইলেই কিন্তু বেস্ট জিনিসগুলি হাতের কাছে চলে আসে। বেস্ট মানুষগুলিও।
২। কেউ হয়ত এতক্ষণ খেয়ালও করেন নি, পোলাও রান্নার মূল উপাদান - চালের কথা কিন্তু একবারও বলা হয়নি। কেনই বা হবে? চাল তো হলো জনগণ। থাকলেই কি, না থাকলেই কি?
একদম শেষ কথা - দু'জনের জন্যই:
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় বিরোধীদল নেত্রী, আমি বিশ্বাস করতে চাই, যে, আপনারা দু'জন অন্তত জনগনের কথা ভেবেই ভালো মন্ত্রীদের বেছে নেবেন। পঁচা-গন্ধ তেল দিয়ে রাঁধলে ভালো চালও একদিন হাল ছেড়ে দিবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন