শনিবার, ৬ জুলাই, ২০১৩

তানিয়া এবং মইন


আমার বন্ধু'র বউ গেছে কাটাবনের পশুপাখির দোকানে। গল্পের খাতিরে ধরে নেই তার নাম তানিয়া। একটা পেট কেনার ইচ্ছা তার অনেক দিনের। এ দোকান ও দোকান ঘুরতে ঘুরতে হঠাত একটা পাখির দিকে নজর আটকে গেল। কি সুন্দর একটা টিয়া পাখি! কি সুন্দর তার রং! কাছে গিয়ে দেখে খাঁচার গা'এ দাম লেখা: ৫০ টাকা। তানিয়া তো অবাক, এই পাখির দাম এত কম কেমনে হয়!!! দোকানদারকে জিজ্ঞেস করলো "মামা, শূন্য কি একটা বাদ পরেছে নাকি?" মামা বলে "না ম্যাডাম। এই পাখির একটু ঝামেলা আছে। ব্যাংকক থেকে আমদানি। আগে মনে হয় কোনো বাজে জায়গায় থাকত। মানুষ দেখলে মাঝে মাঝে অশ্লীল কথা বলে ফেলে। তাই এটা'রে কেউ কিনতে চায় না।"

তানিয়া চিন্তায় পরে গেল। একদিকে দোকানদারের সাবধানবাণী, আরেকদিকে পাখির অপূর্ব রূপ। শেষ পর্যন্ত কন্ট্রোল করতে না পেরে ৫০ টাকা দিয়ে পাখিটা কিনে বাসায় নিয়ে আসল সে। 

নতুন বাসায় নতুন জায়গায় পাখির খাঁচা ঝুলিয়ে রাখা হলো। তানিয়াকে অবাক করে দিয়ে পাখি বলে উঠলো "সোআদি খা-আ-আ, নিউ ম্যাদাম, নাইস বদি-ই-ই"। এ আর এমন কি খারাপ কথা, তানিয়া ভাবে; যাক, পাখিটা কিনে তাহলে ভুল হয় নি। 

বিকাল বেলা তানিয়ার ছোট বোন আর তার দুই বান্ধবী বেড়াতে এলো। তাদের দেখেই পাখি কথা বলে ওঠে, "সোআদি খা-আ-আ, নিউ নিউ গার্ল, ভেরি ইয়াং, নাইস  বদি-ই-ই" । "আল্লাহ, কি কিউট পাখি, অঅঅ, কুটুকুতুকুটু" - মেয়ে মহলে আল্লাদিপনার বন্যা বয়ে যায়। তানিয়া তো গর্বে গর্বফাইড। যাক, পাখিটা কিনে বিশাল একটা ভালো কাজ'ই হয়ে গেছে। 

সন্ধা বেলা হাসব্যান্ড মইন বাড়ি ফিরল; মহা উত্সাহে তানিয়া তাকে টিয়া পাখি দেখাতে নিয়ে গেল।

টিয়া পাখি হাসব্যান্ড'কে দেখেই চিত্কার "হ্যালো মইইইইইইন, হাউ আর ইউউউউউউ। লং টাইম নো সিইইইই"....



[এই তানিয়া এবং মইন চরিত্র'দুটি নিতান্তই গল্পে ব্যবহৃত দু'টি নাম। বাস্তবের সাথে এদের কোনো সম্পর্ক নাই]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন