সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০১৩

চার-চক্ষু


হাইট যেন আমারটা পায়, তুমি তো পুইট্টা...
স্কিন তোমারটা পেলেই ভালো; আমার স্কিনের অবস্থা জঘন্য ...
তোমার চোখ সুন্দর, আমারটা পিটিপিটি - সো, চোখ তোমারটা হলেই আমি খুশি ...
চুলও তোমারটা পাক, আমার তো অলমোস্ট টাক ...
সর্বনাশ, সবই তো তোমার দিকে চলে যাচ্ছে, আনফেয়ার।
ওকে, মাথা যেন আমার মত হয়, ক্রিয়েটিভ, অনেক ক্রিয়েটিভ। যদিও শয়তানিগুলা একটু কম পেলেই ভালো ....
আমার মত ফ্রেন্ডলি হোক, যেন সবার সাথে মিশতে পারে ...
সেন্স অফ হিউমারও আমার মত হওয়া উচিত ...
তোমার শপিং'এর বাতিকটা না পেলেই চলবে ...
ওভারল তোমার চেহারা পেলে আপত্তি নাই আমার, তোমার চেহারা খারাপ না ;) 

মেয়ে হওয়ার পর কত কিছুই না চেয়েছিলাম আমাদের মেয়েটাকে নিয়ে! একটা জিনিস চাইতে মনে ছিল না। মেয়ের মা'র কখনো চশমা লাগেনি, আর আমি চার-চক্ষু :( 

গতকাল ডাক্তার বলল, মেয়ে আমার এই ক্ষেত্রে বাবার পিছুই ধরেছে। 

ভালো লাগছে না, ধুর। যদিও মেয়ে আমার অনেক খুশি। 

পোলাও


পোলাও বিষয়ক স্টেটাস: 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন নিজ হাতে রেধেছেন, নিশ্চয়ই পোলাও সুস্বাদু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই জানেন তেল কতটা দিতে হয়, নুন কতটা, পানি কতটা -  তেজপাতা কতটা দিলে সঠিক তেজ হয়। এলাচি, দারচিনি, পেঁয়াজ, রসুন --- নিশ্চয়ই বাজার থেকে বেছে বেছেই সবচাইতে ভালো জিনিসগুলোই তাঁর জন্যে কেনা হয়েছে। হাজার হোক, প্রধানমন্ত্রী বলে কথা! উনি চাইলেই কিন্তু বেস্ট জিনিসগুলি হাতের কাছে চলে আসে, শুধু উনি চাইলেই। 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীসভা তৈরী করা ব্যাপারটা কিন্তু অনেকটা পোলাও রান্নার মতই। একেকটা মন্ত্রী একেকটা উপকরণের মতই। নুন যদি বেশি হয়ে যায়, পোলাও হবে বিস্বাদ। আবার নুনের বদলে যদি চিনি দিয়ে ফেলেন, তাহলে কিন্তু পুরাই বরবাদ। টেলিযোগাযোগের কাজ কি আর নাইটগার্ড দিয়ে হয়? নাকি ছাগল দিয়ে হয় দারওয়ানের কাজ? আবার ধরেন, আপনি জানেন যে ঘী'টা নষ্ট, একদম দুর্গন্ধ ছড়ানো নষ্ট - এখন আপনি যতই বলেন না কেন যে ঘী সম্পূর্ণ নির্দোষ, লাভ আছে? গন্ধ কি লুকানো যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী? তেলের ব্যাপারটাও কিন্তু ইম্পরট্যান্ট। বেশি তেল দিয়ে একটা তেল-চুপচুপে পোলাও রাধা যায়, ভালো পোলাও রাধা যায় না। মন্ত্রীসভাও মনে হয় একটু বেশি তেল-চুপচুপে? অবশ্য আমি ভুলও হতে পারি। 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, একটা রেসিপি প্রকাশ করবেন নাকি? নির্বাচনের রাজনীতি আপন গতিতে চলতে থাকবে। তত্বাবধায়ক নাকি অন্তর্বর্তীকালীন - বিতর্ক চলবেই। ক্ষমতায় কিন্তু হয় আপনি আসবেন, নাহয় ম্যাডাম - অন্য কারো চান্স কিন্তু  দেখছি না। তাই বলছিলাম, নৌকা যদি আবার ক্ষমতায় আসে, মন্ত্রীসভা'টা কাদের নিয়ে হবে - আগে থেকে জানা থাকলে খারাপ হত না কিন্তু। নেক্সট ৫ বছর কেমন স্বাদের পোলাও আমাদের কপালে আছে সেটা বুঝে ভোটটা দিতে পারতাম। আপনি যদি রেসিপি প্রকাশ করেন তাহলে আমরা ওপর পক্ষকেও তাদের নামগুলো প্রকাশ করতে অনুরোধ করতে পারি। বুদ্ধিটা ভালো না? 

শেষে দু'টি কথা:
১। প্রধানমন্ত্রী চাইলেই কিন্তু বেস্ট জিনিসগুলি হাতের কাছে চলে আসে। বেস্ট মানুষগুলিও।
২। কেউ হয়ত এতক্ষণ খেয়ালও করেন নি, পোলাও রান্নার মূল উপাদান - চালের কথা কিন্তু একবারও বলা হয়নি। কেনই বা হবে? চাল তো হলো জনগণ। থাকলেই কি, না থাকলেই কি? 

একদম শেষ কথা - দু'জনের জন্যই:
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় বিরোধীদল নেত্রী, আমি বিশ্বাস করতে চাই, যে, আপনারা দু'জন অন্তত জনগনের কথা ভেবেই ভালো মন্ত্রীদের বেছে নেবেন। পঁচা-গন্ধ তেল দিয়ে রাঁধলে ভালো চালও একদিন হাল ছেড়ে দিবে। 

শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৩

আমরাই বাংলাদেশ 2,3

2
জানেন, এই দেশে একদিন সুপারম্যান আসবে। ড্রেস'এর উপর লাল রঙের আন্ডু পরে। তারপর ওনার পিছন পিছন স্পাইডারম্যান, আয়রনম্যান, ব্যাটম্যান সবাই আসবে। তারপর তারা আপনার-আমার দেশটার সব সমস্যার সমাধান করে দিবে।

ওদের ঠ্যাকা তো!

এভাবে হয় না রে ভাই, অন্যের আশায় বসে থাকলে কিছুই বদলাবে না। ছোট হোক বড় হোক, কিছু ভালো কাজ করতেই হবে। 

দেশটা তো আমাদেরই তাই না? 

আমরাই তো বাংলাদেশ। 



3
একটা জিনিস খেয়াল করেছেন? যে কোনো কিছু নিয়েই যে আমরা এখন কমপ্লেইন করি! সরকার এমন করলো ক্যান? বিরোধী দল এমন করলো না ক্যান? অমুকের নিশ্চই মাথা খারাপ হয়েছে, তমুক বেশি বেড়ে গেছিল। আড্ডায়, ফেইসবুক'এ সবার কথা শুনলে মনে হয়, প্রত্যেকেই যেন হাতি-ঘর মেরে ফেলছে প্রতিদিন। 

মশারির ভিতর মশা ঢুকলে আমরা কিন্তু অপেক্ষা করি না, কখন পুলিশ এসে মশা মেরে দিয়ে যাবে, অথবা সিটি কর্পোরেশন লোক পাঠাবে মশার ওষুধ ছিটাতে। মশা আমরাই মারতে পারি। এবং মারি'ও।  এমন অনেক ইসু আছে যেগুলার সমাধান আমরা নিজেরাই করতে পারি - যদি সবাই মিলে এক সাথে কাজ করি। 

দেখবেন নাকি একটু ট্রাই করে?

দেশটা তো আমাদেরই তাই না? 

আমরাই তো বাংলাদেশ। 



আমরাই বাংলাদেশ 1


আমাদের দেশের চারিদিকের সকল সমস্যা সমাধান এর জন্য এগিয়ে হবে আমাদের সবাইকে একসাথে।
দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে আমাদের সবার। রুখে দাড়াতে হবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুধ্যে .
আমাদেরই গড়ে তুলতে হবে একদিন স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ, সৃষ্টি করতে হবে নতুন ইতিহাস  ...

(pause ৫ সেকেন্ড)
এইটা কার লেখা রে ভাই ? এসব থিওরিটিকাল কথা শোনার টাইম কার আছে এখন? 

(pause ৫ সেকেন্ড)
ভালো কথা এখন আর ভালো লাগেনা, আশার কথা শুনলে রাগ লাগে। স্বপ্ন দেখতেও এখন আমরা ভয় পাই আমরা। 

কিন্তু তাই বলে কি কিছুই  করার নাই আমাদের? 

ইতিহাস তো বলে যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়, তখনি নাকি ফুসে ওঠে সবাই। দেয়ালে পিঠ ঠেকতে আর কত বাকি আমাদের? 

চলুন কিছু একটা করি, একসাথে - সবাই মিলে। ছোট কিছু দিয়েই নাহয় শুরুটা করি, তবুও কিছু একটা তো করি। 

দেখি না কিছু হয় নাকি। দেশটাতো আমাদেরই তাই না?

আমরাই তো বাংলাদেশ।

বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০১৩

তাঁবু


দুই বন্ধু হাইকিং করতে গেছে। রাত হয়ে যাওয়ায় তারা পাহাড়ের উপর তাঁবু খাটিয়ে তার ভিতর ঘুমিয়ে পড়ল। মাঝরাতে একজনের ঘুম ভেঙ্গে গেল, রাতের খোলা আকাশ দেখে মুগ্ধ হয়ে সে বন্ধুকে ঘুম থেকে ডেকে তুলল। শুরু হলো দুই বন্ধুর কথোপকথন:

প্রথম বন্ধু: আকাশটা দেখলি?
দ্বিতীয় বন্ধু: (বিশাল দীর্ঘশ্বাস) দেখছি রে। খুব সুন্দর। অসাধারণ
প্রথম বন্ধু: বল তো এই আকাশ আমাদের কি বলছে?
দ্বিতীয় বন্ধু: (আরো বিশাল দীর্ঘশ্বাস) দোস, তুই বল, আমি শুনি।
প্রথম বন্ধু: এসট্রনমিক্যালি, আকাশ আমাদের বলছে, যে আকাশটায় আমরা তাকিয়ে আছি, তাতে কয়েক মিলিয়ন গ্যালাক্সি, কয়েক বিলিয়ন গ্রহ-উপগ্রহ আছে। এসট্রলজিক্যালি বললে বলতে হয়, শনি আজকে বৃহস্পতিকে সাথে নিয়ে মঙ্গল কিছু করার কথা ভাবছে। থিওলজিক্যালি, এই আকাশ প্রমান করে যে ঈশ্বর কত বিশাল আর আমরা তার কাছে কত তুচ্ছ। মেটেওরোলজিক্যালি, কাল আমাদের জন্য একটা সুন্দর হাস্যজ্বল দিন অপেক্ষা করছে। আর যদি তুই সময় জানতে চাস, আকাশ বলছে, এখন রাত সারে তিনটা বাজে।
দ্বিতীয় বন্ধু: (মুগ্ধ হয়ে) দোস, তুই কত জ্ঞানী, তোর কথা শুনে আমি বারবার মুগ্ধ হয়ে যাই।

প্রথম বন্ধুর ঠোঁটের কোণে গর্বের হাসি ফুটে ওঠে।

গাছের আড়াল থেকে এক চোর তাদের কথা শুনে মনে মনে বলে, "পুরাই মাননীয় স্পিকার হয়ে গেলাম! কত বড় বলদরে ভাই এই দুই'টা। মাথার উপরের তাঁবু চুরি করে ফেললাম, আর এদিকে আকাশ দেখে একজন জ্ঞানের লেকচার দিস্সেন, আরেকজন মুগ্ধতার লালা ঝরাস্সেন!"

------------------------------------------------
প্রথম বন্ধুর পরিচয়: উনি একজন টকশো'র গেস্ট।
দ্বিতীয় বন্ধুর পরিচয়: উনি টকশো'র রেগুলার দর্শক। আপনার, আমার মত।

বলুন তো, চোরটা কে?

মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০১৩

মান্যবর



আচ্ছা, এই মান্যবরগণ আসলে কারা? ঢাকা শহরে কিছু বিলবোর্ড দেখছি, দু'টি সুদর্শন পুরুষ পরস্পরের কোমর ধরে দাঁড়িয়ে আছে। অনেক ভেবেও তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক সম্পর্কে শিওর হতে  পারলাম না। তাই আপনাদের শরণাপন্ন হলাম। 

এরা দুইজন কি ভাই? কোনদিন কোনো ভাইয়ের কোমর জড়িয়ে ধরে ছবি উঠিয়েছি বলে মনে পড়ছে না। কি বলিস আমার ভায়েরা? 

নাকি বন্ধু?  কিন্তু দোস্তরা, আমরা তো কোনদিন এরাম করে ফুটু তুলি নাই। আমরা কি তাহলে ব্যাকডেটেড? হায় হায়!

শালা-দুলাভাই হতে পারে; আসলে হয়ত তারা কোমর জড়িয়ে ধরে নাই, একজন আরেকজনের পকেট মারছে। বিলবোর্ড'টা আরো ভালো করে খেয়াল করতে হবে।

বাবা-ছেলে হতে পারে না, দু'জনের বয়স তো একই সমান মনে হলো। স্টেপ-ফাদার অবশ্য হতেই পারে।

শ্বশুর-জামাই, বস-চাল্লি, নাপিত-কাস্টমার, মালিক-ড্রাইভার ... নাহ, কোনো সম্পর্কই ঠিক ম্যাচ করছে না ছবিটার সাথে। 


প্রশ্নটা কি তাহলে প্রশ্নই থেকে গেল - এই মান্যবরগণ আসলে কারা?

বসে আছি

অফিসে আসতে আসতে রেডিও শুনছি আর একটা ভালো গানের আশায় চ্যানেল সুইচ করছি। একটা চ্যানেলে আটকে গেলাম, "বসে আছি" চলছে। মনটাই ভালো হয়ে গেল, আঙ্গুল দিয়ে স্টিয়ারিং হুইলে তবলা বাজাতে বাজাতে হালকা হেডব্যাঙ্গিং করতে করতে "বসে আছি" শুনতে থাকলাম। গান শেষ হতেই তব্দা! মোটা, গুরুগম্ভীর গলায় কবিতা আবৃতি টাইপ স্টাইলে এক ভদ্রলোক উপস্থাপনা শুরু করলেন - 

"এতক্ষণ আপনারা উপভোগ করলেন এ সময়ের জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা মিজানের কন্ঠে বসে আছি গানটি। গানটি লিখেছেন (২ সেকেন্ড পজ) ওয়ারফেজ এবং সুর করেছেন (আবারও ২ সেকেন্ডের পজ এবং তারপর গলা আরো ভারী করে) ওয়ারফেজ। বন্ধুরা এখন আমরা চলে যাচ্ছি পরের গানে ..... "

সরকারী-রেডিও-ঘরানার কিছু কিছু "কথাবন্ধু কেন জানি "ব্যান্ড" ব্যাপার'টাকে ঠিকমত বুঝতেই পারে না।
আজব!

মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০১৩

গরুর পাছা


(লেখাটা একটু বড়, চেষ্টা করেও ছোট করতে পারলাম না। সরি।)

স্কুলের ঘটনা। সিক্স বা সেভেনে পড়ি। বছর শুরুতে ক্লাস রুটিন দিল। দেখি নতুন এক স্যার'কে দুই-দুইটা সাবজেক্ট দিয়ে রেখেছে - ইংরেজি আর সমাজ। স্যারের স্বভাব-চরিত্র নিয়ে নানারকম জল্পনা-কল্পনা শুরু হলো। পুরা এক বছর সহ্য করার ব্যাপার, টেনশন না? এক সোর্স ইনফরমেশন দিল স্যার নাকি জল্লাদের ফোটোকপি, আগে যে স্কুলে ছিল সেখানে  নাকি বেতিয়ে শ'খানেক ছেলেকে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। আরেক সোর্স থেকে খবর আসলো স্যার নাকি পুরাই পানিভাত। এসব গুজুর-গুজুর-ফুসুর-ফুশুরের মধ্যেই স্যার ক্লাস নেয়া শুরু করলেন।

সপ্তাখানেক পার হলো; স্যারের মধ্যে কোনরকম জল্লাদিপনা দেখতে পেলাম না। ভয় কেটে যেতে শুরু করলো, আমরাও ধীরে ধীরে তার ক্লাসে "সোজা হও" থেকে "আরামে দাঁড়াও" মোডে উন্নীত হলাম। বিশ্বাস করতে শুরু করলাম - স্যার আসলেই পানিভাত। সবকিছু ঠিকঠাক মতই চলছিলো ...

একদিন স্যার ক্লাসে থাকা অবস্থাতেই আমাদের ইতরামি-ফাইজলামি চূড়ান্ত লেভেলে পৌঁছালো। স্যার দুই-একবার হাঁক দিলেন, আমরা পাত্তা দিলাম না - পানিভাতের আবার কিসের গরম! কিন্তু হঠাতই স্যার তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন। সামনে তাকাতেই দেখলেন মাসুদ নির্লজ্জের মত খ্যাক-খ্যাক করে হাসছে। চোখে না আছে অপরাধবোধ, না আছে কোনো ভয়-ডঢ়। স্যার সিংহের মত হুংকার দিলেন "এই বেয়াদব ছেলে, এদিকে আয়।"

স্যারের গলার ভলিউম শুনে আর স্যারের লাল চেহারা দেখে পুরা ক্লাস মোটামুটি হিসুফাইড। মাসুদের কান ততক্ষণে স্যারের হাতে, স্যার থরথর করে কাঁপছেন। কান ছাড়লেন, বাম হাত থেকে ঘড়ি খুলে টেবিলের উপর রাখলেন, তারপর ফুলশার্টের হাতা গুটাতে শুরু করলেন। চশমা খুললেন, সেটাও টেবিলে রাখলেন। পুরা ক্লাসে পিন-ড্রপ-সাইলেন্স। ক্লাসের সবচাইতে বলদ ছেলেটারও বুঝতে বাকি নাই, যে স্যার আসলেই জল্লাদের ফটোকপি। স্যার কাঁপতে কাঁপতে মাসুদের দিকে লাল চোখে তাকিয়ে বললেন ...

"বে---আ----দ----ব---কো----থা---কার ... নি---র্ল---জ্য---বে----হা----য়া----আ---- আ------"

আমরা মোটামুটি শিওর যে একটা লাশ পড়তে যাচ্ছে।

"যাআআআআ, তি-ই-ই-ই-ই-ন বার কান ধরে উঠ-বোস কর"

(তিনবার কান ধরে উঠ-বোস!!!!! আর ইউ কিডিং???? আমরা সরকারী বয়েজ স্কুলের বান্দর পোলাপান। এমন সব জায়গায় মারত স্যাররা, বাসায় গিয়ে আব্বা-আম্মাকে দেখাতে পারতাম না। তিনবার কান ধরে উঠ-বোস করা ইস লাইক ..... পানিভাতও না)

রেসাল্ট (তাত্ক্ষণিক): তব্দা ভাব কাটতে মাসুদের লাগলো ৩ সেকেন্ড, তারপর ৩ সেকেন্ডে ৩ বার কান ধরে উঠ-বোস। কুইকি:) আবার খ্যাক-খ্যাক হাসি।
 
রেসাল্ট (লং টার্ম): চরম রাগে লাল হয়ে যাওয়া স্যারের দাড়িওয়ালা মুখটার সাথে ক্লাসের কেউ একজন গরুর পশ্চাদ্দেশের মিল খুঁজে পেল। এরপর থেকে স্যারের নামই হয়ে গেল "গরুর পাছা"।

সোনামনিরা, বলোতো গল্পটা থেকে তোমরা কি শিখলে?

১। যখন বড় শাস্তির ভয় থাকে তখন ছোট শাস্তি পেলে সেটাকে শাস্তি মনে হয় না। আদর মনে হয়।
২। যদি তুমি বাঘ না হও, তবে হুংকার দিও না। বান্দর পোলাপান তোমাকেও "গরুর পাছা" ডাকতে পারে।

রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৩

সাভার


এবার সাভার। তারপর কোথায়?

গ্রীন রোড কবে? বনানী কবে?

কোন বিল্ডিং'এর কাচামালে ভ্যাজাল নাই? সব বিল্ডিং'এ আছে। মানে, আপনার-আমার মাথায় ছাদ ভেঙ্গে পরা শুধু সময়ের ব্যাপার।

বিল্ডিং'এর দোষ দিয়ে কি লাভ? আপনার-আমার কার চরিত্রে ভ্যাজাল নাই? ১০০% অনেস্ট ভাবে কেউ কি জীবন কাটাই আমরা?

আজ আমাদের পাপে সাভার চাপা পড়ল।
কাল হয়ত অন্য কারো পাপে আমরা মারা পরবো।

সাভারের ক্ষতিগ্রস্থদের আল্লাহ ধৈর্য দিন, সাহস দিন।

আমীন।

April 24

কল ফর ডিউটি

সাভার'ই কি শেষ? আর কখনো এমন গজব নাজিল হবে না?

যাদের কারণে বিল্ডিং ধ্বসলো, দুর্ভাগা এই মানুষগুলোকে নিজে যারা রাজনীতি খেললো, খুনীগুলিকে আশ্রয় দিয়ে যারা এখনো প্রকাশ্যে বেহায়ার মত ঘুরে বেড়াচ্ছে - তারা যে "মানুষ" না, সেটা নিয়ে মনে হয় কারোরই কোনো সন্দেহ নাই। আমি চিন্তিত সত্যিকারের মানুষগুলিকে নিয়ে, যারা মৃত্যু-ভয়কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বাঁচিয়ে এনেছে আড়াই হাজারের বেশি মানুষকে। কিন্তু ওরা আর কত করবে? এবং ওরাই বা কেন বার বার করবে?

জানি, ওরা পরের বার'ও করবে। ওরাই ছুটে যাবে আবার গজব আসলে। বেহায়াগুলো তখনও বেহায়াপনা'ই করবে। কিন্তু আমি-আপনি কি করব? এই সাহসী মানুষগুলোর মত হয়ত মৃত্যুকূপে ঝাঁপ দিতে পারব না (সত্যি বললাম বুকে এত জোর আমার নাই), কিন্তু পরের বার নিশ্চয়ই শুধু টিভি দেখে দেখে চোখের পানি ফেলবো না। ভুল থেকে যে শিক্ষা নেয়, সেই নাকি "মানুষ"। এবারের ভুলগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে যেন পরের বারের জন্য রেডি থাকতে পারি, সাহসি এই মানুষগুলির কাজ যেন একটু হলেও সহজ করে দিতে পারি।

আমাদের নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে, পরের বার যেন আমরা সবাই জানি কার কি কাজ। ফায়ার ব্রিগেড'এর ক্ষমতা কতখানি, আর্মির মাঠে নামতে কত সময় লাগে, মুহুর্তের মধ্যে ওষুধ, টর্চ, কাফনের কাপড় কোথায় পাওয়া যায়, হ্যাক স দিয়ে হাত কাটার মত কলিজা কার কার আছে - সব জানা থাকা উচিত। ভুল থেকে এবার শিখলাম, একটা ডাটাবেস কত জরুরি - দেশ-ভর্তি মানুষ টাকা নিয়ে রেডি, জানে না কোথায় দিতে হবে টাকা, অসহায় বাচ্চাগুলোকে দত্তক নেয়ার মানুষেরও অভাব নাই, কিন্তু সবাই হয়ত শুধু একটা বাচ্চার কথাই জানে। যারা টাকা তুলছে, তারাও বুঝতে পারছে না, কার আসলে কতটা সাহায্য দরকার। কারো কারো নাম আছে সবার ডাটাবেস'এ, কারো নাম হয়ত কোনো ডাটাবেস'এই নাই। পরের বার যেন আমরা প্রস্তুত থাকি রে ভাই, প্রথম থেকেই যেন সঠিক একটা ডাটাবেস আমরা তৈরী করার মত মানুষ রেডি রাখতে পারি।

একটা মোটামুটি বড়-সড় গ্রুপ কালকে একসাথে হয়েছিল, ঠিক-ঠাক মত কাজ করার ভালো একটা উদ্দেশ্য নিয়ে। সাভার থেকেই যাত্রা শুরু, সাভার-ভিকটিম 'এর একটা কম্প্রিহেন্সিভ ডাটাবেস তৈরী করাই আপাতত প্রধান উদ্দেশ্য, আগ্রহী সবাই যেন এখান থেকে ঠিক তথ্যটা জানতে পারে। যার কাছে যা ইনফরমেশন আছে সব এক জায়গায় কম্পাইল করার কাজ শুরু হয়েছে, ইনশাআল্লাহ, আগামীকাল দুপুর নাগাদ এই গ্রুপটা আত্মপ্রকাশ করবে। এখানে যে যেভাবে খুশি কন্ট্রিবিউট করতে পারবে, এখানে কোনো রাজনীতি নাই, দলাদলি নাই। উদ্দেশ্য দুইটা - ১। সাভারের ক্ষতিগ্রস্থ মানুষগুলো যেন সত্যি সত্যি সাহায্য পায়, ২। পরের বার যেন আমরা এবারের মত অপ্রস্তুত না থাকি।

আমি আশাবাদী, ভালো এই উদ্যোগটাতে আমরা অনেক অনেক "মানুষ" দেখতে পাব।


April 30

Language

Majhe majhe young generation'er language shekha'r jonno ami gopon'e tader profile'e uki-jhuki dei. Ajke'o temon heavy smart ek meye'r thumbnail "people you may know" te dekhe click kora'r lobh'ta shamlate parlam na.

Meye'r profile pic'e dekhi shisha khawa'r chhobi, mukh diye mashallah besh bhaloi dhowa ber hochhe, meye'ta ke'o besh hot lagchhe. erpor nich'er comment gula pora shuru korlam...

Prothom comment: awwhhh dos, xorom xotilzzzz, ummaah
Deetio comment: r u smoke?
Tritio comment: wtf! &%$%#*^* y u no call mah babeh???

Beche thakle ek din inshallah ami'o smart hobo. Inshallah.

নাস্তিকের মৃত্যু


এই প্রথমবার আমি হতাশ হচ্ছি, অনেক ভয়ও পাচ্ছি। না, জামাত-শিবির চোরা-গুপ্তা হামলা করছে বলে না, এই খুন'টা যে শেষ খুন না- সেটা বুঝেও না; আমি হতাশ হচ্ছি আমাদের তরুণ প্রজন্মের রিয়াকশন দেখে। এরাই আমাদের প্রগতিশীল তরুণ প্রজন্ম? একটা মানুষকে নৃশংসভাবে মেরে ফেলা হলো, আর হাজার হাজার মানুষ সে "নাস্তিক" ছিল বলে তাকে মেরে ফেলার যথার্থতা প্রমানে ব্যস্ত!!! এই তরুণ প্রজন্ম নিয়ে আমরা দিন বদলের স্বপ্ন দেখি? সরি ভাই, আমি সত্যি আর কোনো আশার আলো দেখছি না।

যদি কেউ আমার সাথে একমত না হোন, দয়া করে আমার এই স্টেটাস'এ কেউ নিজের "আস্তিকতা" প্রমাণ করতে আসবেন না। কোনো কথা না বলে ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে বিদায় করে দিব। যারা "নিজের মত প্রকাশের অপরাধে" একটা মানুষের খুনকে সাপোর্ট করেন, আমার স্টেটাস'এ "মত প্রকাশ করার" কোনো অধিকার আমি তাদের দেই নাই।

ভাই রাজীব, ৯৬ ব্যাচের অনেকের সাথে আমার পরিচয় আছে, তোর সাথে হয়ত কখনো দেখা হয় নাই। তুই বেহেশতে যাবি, নাকি দোজখে, তার বিচার করবে আল্লাহ-তা'আলা, আমরা সেটা নিয়ে কথা বলার কে? মাফ করে দিস ভাই। তোর অনেকগুলো মহাজ্ঞানী ভাইয়ের হয়ে আমিই নাহয় ক্ষমা চেয়ে নিলাম।

আমার নামও রাজীব !

ও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়সে, আমিও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়সি;

ও Laboratorian , আমিও laboratorian ;

ও ইন্টারনেট'এ লেখালেখি করত, আমিও লেখালিখি করি;

ও রাজাকারের বিচার চেয়েছিল, আমিও রাজাকারের বিচার চাই;

ওর অন্তরে ছিল শাহবাগ, আমার অন্তরেও শাহবাগ;

ও নাস্তিক, আমি বিশ্বাসী মুসলমান;

তাই আমি খুন হলে বুদ্ধিজীবি, আর ও খুন হলে "ইনসাফ"!!!

আমার ধর্ম এমন সংকীর্ণমনা না যে এমন হীন চিন্তাকে উত্সাহ দেয়. আমি আমার ধর্ম নিয়ে গর্ব করি, যারা ধর্মের ভুল ব্যাক্ষা দিয়ে মানুষকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করে, আমি তাদের ঘ্রীনা করি.

ওর নাম ছিল রাজীব, আমার নামও রাজীব !



16 February 2013

বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০১৩

পেঁ হারানোর বেদনা

মাইলসের গানগুলিতে শাফিন ভাইয়ের উচ্চারণ আর স্টাইল নিয়ে অনেক মজার গল্প প্রচলিত আছে। আমি আমার গল্পটা বলি।

"ফিরিয়ে দাও" গানটা যখন প্রথম শুনলাম, তব্দা খেয়ে গেসিলাম। শাফিন ভাই গাইছেন "পেঁ হারানোর বেদনায়, পুড়ে চলেছি সারাক্ষণ ..."; আমার তো হাসতে হাসতে পেট ব্যথা। স্টাইলের চোটে "প্রেম হারানোর বেদনা" হয়ে গেছে "পেঁ হারানোর বেদনা" ... যতবারই গানটা শুনতাম, একা একা হাসতাম।

বেশ কিছুদিন আগে একটা টিভি শো দেখে জানতে পারলাম, লিরিকটা নাকি "প্রেম হারানোর বেদনা" ছিল না;  ছিল "পেয়ে হারানোর বেদনা" .... তার মানে শাফিন ভাই'ই ঠিক ছিল, আমিই বেশি পাকনামি করতে গিয়ে ধরা খাইসি। 

বুধবার, ১০ জুলাই, ২০১৩

মসজিদের মাইকিং আগ্রাসন-বিরোধী স্টেটাস


সেহরী খেতে উঠে দেখি আব্বার মেজাজ হট। মসজিদের মাইক সারারাত ঘুমাতে দেয় নাই। সেহরী করতে করতেও কিছুটা টের পেলাম - "মুসুল্লিগন, আর মাত্র ২০ মিনিট বাকি, আপনারা তাড়াতাড়ি সেহরী করে নেন"... "আর মাত্র ১৫ মিনিট বাকি"..."১০"... "৫".... ইট্স আ ফাইনাল কাউন্টডাউন ...

শুনলাম, ২ ঘন্টা আগের এনাউন্সমেন্টটা ছিল "মুসুল্লিগন, আপনারা যারা রান্না করবেন, তারা ঘুম থেকে উঠেন, সময় পার হয়ে যাচ্ছে। পরে আর রান্না'র টাইম পাবেন না।" 

আব্বাকে চেতানোর জন্য আরো কিছু আইডিয়া মসজিদ কমিটিকে দিব কিনা ভাবছি ...
১। রাত ১০টায়: আপনারা যারা সেহরিতে উঠবেন, তারা এখনি ঘুমাতে চলে যান। পরে কিন্তু আর ঘুমাতে পারবেন না ...
২। রাত ১১টায়: যারা এখনো জেগে আছেন, তারা দয়া করে ঘুমাতে যান ... 
৩। ... ৪। ... ৫। .... (প্রতি ঘন্টায় একটা করে রিমাইন্ডার ... না ঘুমায়ে যাবি কোই?)
৪। ফজরের আজানের আগে আগে: যারা মসজিদে নামাজ পড়তে আসবেন, দয়া করে তারা অজু করতে যান। পরে কিন্তু পানি নাও পাইতে পারেন।
৫। যারা ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্ন দেখছেন যে সেহরী'তে যদি উঠতে না পারেন, তাদের বলছি, আপনারা টেনশন নিয়েন না, আমরা আপনাকে ঠিকই জাগিয়ে দিব। ভরসা রাখেন। 
৬। মুসুল্লিগন, যারা আমাদের মাইকের আওয়াজ ঠিকমত পাচ্ছেন না, আপনাদের মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে "সাউন্ড বাড়ান" টাইপ করে পাঠিয়ে দিন ০০০০০ নাম্বারে। আমরা প্রয়োজনে নতুন মাইক কিনবো। তবুও আপনাদের কানে মসজিদের বাণী পৌছে দিব ইনশাল্লাহ। 

(ভাই, থামেন, আমার বাপ'টারে একটু শান্তিমত ঘুমাতে দেন। এখন ৮০০ টাকা দামের মোবাইল ফোনেও এলার্ম ঘড়ি থাকে।  এই যুগে কেউ যদি সেহরী মিস করে, সে এমনেও করবে, অমনেও করবে। .... বাই দা ওয়ে, দয়া করে এটাকে কোনো ইসলাম-বিরোধী স্টেটাস বলে ত্যানা পেচাবেন না। এটি মসজিদের মাইকিং আগ্রাসন-বিরোধী স্টেটাস।) 

শনিবার, ৬ জুলাই, ২০১৩

তানিয়া এবং মইন


আমার বন্ধু'র বউ গেছে কাটাবনের পশুপাখির দোকানে। গল্পের খাতিরে ধরে নেই তার নাম তানিয়া। একটা পেট কেনার ইচ্ছা তার অনেক দিনের। এ দোকান ও দোকান ঘুরতে ঘুরতে হঠাত একটা পাখির দিকে নজর আটকে গেল। কি সুন্দর একটা টিয়া পাখি! কি সুন্দর তার রং! কাছে গিয়ে দেখে খাঁচার গা'এ দাম লেখা: ৫০ টাকা। তানিয়া তো অবাক, এই পাখির দাম এত কম কেমনে হয়!!! দোকানদারকে জিজ্ঞেস করলো "মামা, শূন্য কি একটা বাদ পরেছে নাকি?" মামা বলে "না ম্যাডাম। এই পাখির একটু ঝামেলা আছে। ব্যাংকক থেকে আমদানি। আগে মনে হয় কোনো বাজে জায়গায় থাকত। মানুষ দেখলে মাঝে মাঝে অশ্লীল কথা বলে ফেলে। তাই এটা'রে কেউ কিনতে চায় না।"

তানিয়া চিন্তায় পরে গেল। একদিকে দোকানদারের সাবধানবাণী, আরেকদিকে পাখির অপূর্ব রূপ। শেষ পর্যন্ত কন্ট্রোল করতে না পেরে ৫০ টাকা দিয়ে পাখিটা কিনে বাসায় নিয়ে আসল সে। 

নতুন বাসায় নতুন জায়গায় পাখির খাঁচা ঝুলিয়ে রাখা হলো। তানিয়াকে অবাক করে দিয়ে পাখি বলে উঠলো "সোআদি খা-আ-আ, নিউ ম্যাদাম, নাইস বদি-ই-ই"। এ আর এমন কি খারাপ কথা, তানিয়া ভাবে; যাক, পাখিটা কিনে তাহলে ভুল হয় নি। 

বিকাল বেলা তানিয়ার ছোট বোন আর তার দুই বান্ধবী বেড়াতে এলো। তাদের দেখেই পাখি কথা বলে ওঠে, "সোআদি খা-আ-আ, নিউ নিউ গার্ল, ভেরি ইয়াং, নাইস  বদি-ই-ই" । "আল্লাহ, কি কিউট পাখি, অঅঅ, কুটুকুতুকুটু" - মেয়ে মহলে আল্লাদিপনার বন্যা বয়ে যায়। তানিয়া তো গর্বে গর্বফাইড। যাক, পাখিটা কিনে বিশাল একটা ভালো কাজ'ই হয়ে গেছে। 

সন্ধা বেলা হাসব্যান্ড মইন বাড়ি ফিরল; মহা উত্সাহে তানিয়া তাকে টিয়া পাখি দেখাতে নিয়ে গেল।

টিয়া পাখি হাসব্যান্ড'কে দেখেই চিত্কার "হ্যালো মইইইইইইন, হাউ আর ইউউউউউউ। লং টাইম নো সিইইইই"....



[এই তানিয়া এবং মইন চরিত্র'দুটি নিতান্তই গল্পে ব্যবহৃত দু'টি নাম। বাস্তবের সাথে এদের কোনো সম্পর্ক নাই]