হুমমমমম, বুঝলাম। একটা নতুন জিনিস শিখতে হচ্ছে এবার।
এখন শিখতে হচ্ছে আশাহত হওয়ার কষ্ট সহ্য করার বিদ্যা।
আমরা শুধু আন্ডারডগই থাকতাম আগে। যেকোনো টুর্নামেন্ট খেলতে গেলে হারাবার কিছু থাকত না আমাদের। রং মেখে, বাঘ সেজে, গলা ফাটিয়ে সাপোর্ট করতাম দলকে। জিতলে রং-খেলা, মিছিল, পাগলামি। হারলে - ব্যাপার না, নেক্সট টাইম হয়ে যাবে।
গত এশিয়া কাপ এবার বেশি স্বপ্ন দেখিয়ে ফেলছিল। তার উপর ছিল আফগানিস্তান। ভেবেছিলাম এবার ফাটিয়ে ফেলবে পাগলাগুলি।
যাই হোক, হলো না এবার।
দীর্ঘশ্বাসটা থাকবে কিছুদিন। চাপ চাপ কষ্ট হবে। মেজাজ খারাপ হবে। বিভিন্ন আড্ডায়, মিটিঙে, দাওয়াতে মনের সাধ মিটিয়ে ছেলেগুলিকে গালাগালি করব। তারপর আবার আশায় বুক বাঁধব। এছাড়া আর কিই বা করার আছে আমাদের!
লেটস বি পজিটিভ। ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবলে ব্রাজিল প্রতিবারই ফেভারিটের তালিকায় থাকে, প্রতিবার কি আর চ্যাম্পিয়ন হয়? মাইটি ইন্ডিয়াকেও তো ফার্স্ট রাউন্ড থেকে বিদায় নিতে হয়েছে বাংলাদেশের মত পুঁচকে টিমের কাছে হেরে। আমাদের কাছে ক্রিকেট যেমন, ব্রাজিলের কাছে কিন্তু ফুটবল তেমনই। ইন্ডিয়া-পাকিস্তানেও কিন্তু ক্রিকেটে হেরে যাওয়ার পর গণ-মাতম লাগে; আমাদের মতই।
চলেন, ফাটিয়ে গালি দেই। মন হালকা করি। স্বীকার করি আর না করি, মনে মনে সবাই স্বপ্ন দেখি - কিছু একটা মিরাকল হবে, আমরা শেষ দুই ম্যাচে পাকিস্তান আর শ্রীলংকাকে হারিয়ে ফাইনালে যাব। তারপর ফাইনাল জিতব।
না হলেই বা কি? ইন্ডিয়া-পাকিস্তান আছে না! ওদের গালি দিয়েও কি কম সুখ নাকি?
সবকিছুর মূলে কিন্তু এই ক্রিকেট আর এই টগবগে ছেলেগুলি। এখানেই যে আমাদের সব স্বপ্ন জমা।
শেষ কথা কিন্তু একটাই, আগের মতই - ব্যাপার না, নেক্সট টাইম হয়ে যাবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন