ভারী শরীরটা নিয়ে মোটামুটি দৌড়েই হাসপাতালে এসে ঢুকলেন ডাক্তার সাহেব। যখন দেখলেন লিফ্টটা তখনও ১১ তলা থেকে উপরের দিকে উঠছে, অপেক্ষা না করে সিঁড়িটাকেই বেছে নিলেন।
হাঁপাতে হাঁপাতে ৩ তলার অপারেশন থিয়েটারে পৌঁছলেন। বিরক্ত মুখে সেখানে পায়চারী করছেন মধ্যবয়সী এক ভদ্রলোক। ডাক্তারকে দেখেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন তিনি।
"কোথায় ছিলেন এতক্ষণ? আপনাদের কোনো সেন্স নাই? ওটি'তে আমার ছেলে মারা যাচ্ছে, আর আপনি এতক্ষণে আসলেন তামাশা দেখতে?"
ডাক্তার মৃদু হাসি দিয়ে বললেন, "দেখেন, আমি হসপিটালে ছিলাম না। খবর পাওয়ামাত্রই এক মুহূর্ত দেরী না করে চলে এসেছি। আপনি শান্ত হোন, আমরা আপনার ছেলেকে দেখছি।"
এ কথায় আরো খেপে গেলেন ওই ভদ্রলোক, "ফাইজলামি করেন মিয়া? শান্ত হবো আমি? আমার ছেলের জায়গায় আপনার ছেলে এক্সিডেন্ট করলে আপনি কি করতেন? শান্ত হয়ে বসে থাকতেন? বলেন? "
আবারও হাসিমুখে ডাক্তার জবাব দিলেন, "আপনি অনেক উত্তেজিত অবস্থায় আছেন, এবং কথা বলে আমাকেও দেরী করিয়ে দিচ্ছেন। আপনি ছেলের জন্য দোআ করতে থাকুন আর আমাদেরকে আমাদের কাজ করতে দিন।"
পেশেন্টের বাবা গজগজ করে ডাক্তারের চোদ্দগুষ্টি উদ্ধার করতে থাকে। ডাক্তার সাহেব সেদিকে কান না দিয়ে ওটি'তে ঢুকে যান।
----------------------
দেড় ঘন্টা পর হাসিমুখে ওটি থেকে বের হলেন ডাক্তার।
"আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনার ছেলে এখন বিপদমুক্ত। হি উইল বি ফাইন সুন। আপনার আর কিছু জানার থাকলে প্লিজ নার্সের সাথে কথা বলে নেবেন। আমার এখনি যেতে হবে। আমাকে ক্ষমা করবেন।"
এক মুহূর্ত অপেক্ষা না করে ডাক্তার সাহেব সেখান থেকে চলে আসেন।
-----------------------
ওটির দরজা খুলে নার্স বের হতেই তার উপর চড়াও হন ওই ভদ্রলোক - "এই ডাক্তারের প্রবলেম কি? ৫টা মিনিট দাঁড়িয়ে পুরা কথা শেষ করে গেলে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যেত তার? এইসব ডাক্তারের ডাক্তারি লাইসেন্স ক্যানসেল করে দেয়া উচিত।"
শান্ত গলায় নার্স জবাব দেন, "ডাক্তার সাহেব তার ১৬ বছরের ছেলেকে কবর দিতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আপনার ছেলের এক্সিডেন্ট'এর খবর পেয়ে বাড়ির সবাইকে আটকে রেখে হাসপাতালে চলে এসেছেন। সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে, আলো থাকতে থাকতেই ছেলেকে মাটি দিতে চাচ্ছে সবাই। তাই আর দেরী করতে পারলেন না। ওনাকে মাফ করে দিয়েন। "
[ঘটনাটা সত্যি নাকি মিথ্যা জানি না, তবে কোথায় যেন পড়েছিলাম এটা। আজকে হঠাত মাথার মধ্যে উঁকি দিল]
হাঁপাতে হাঁপাতে ৩ তলার অপারেশন থিয়েটারে পৌঁছলেন। বিরক্ত মুখে সেখানে পায়চারী করছেন মধ্যবয়সী এক ভদ্রলোক। ডাক্তারকে দেখেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন তিনি।
"কোথায় ছিলেন এতক্ষণ? আপনাদের কোনো সেন্স নাই? ওটি'তে আমার ছেলে মারা যাচ্ছে, আর আপনি এতক্ষণে আসলেন তামাশা দেখতে?"
ডাক্তার মৃদু হাসি দিয়ে বললেন, "দেখেন, আমি হসপিটালে ছিলাম না। খবর পাওয়ামাত্রই এক মুহূর্ত দেরী না করে চলে এসেছি। আপনি শান্ত হোন, আমরা আপনার ছেলেকে দেখছি।"
এ কথায় আরো খেপে গেলেন ওই ভদ্রলোক, "ফাইজলামি করেন মিয়া? শান্ত হবো আমি? আমার ছেলের জায়গায় আপনার ছেলে এক্সিডেন্ট করলে আপনি কি করতেন? শান্ত হয়ে বসে থাকতেন? বলেন? "
আবারও হাসিমুখে ডাক্তার জবাব দিলেন, "আপনি অনেক উত্তেজিত অবস্থায় আছেন, এবং কথা বলে আমাকেও দেরী করিয়ে দিচ্ছেন। আপনি ছেলের জন্য দোআ করতে থাকুন আর আমাদেরকে আমাদের কাজ করতে দিন।"
পেশেন্টের বাবা গজগজ করে ডাক্তারের চোদ্দগুষ্টি উদ্ধার করতে থাকে। ডাক্তার সাহেব সেদিকে কান না দিয়ে ওটি'তে ঢুকে যান।
----------------------
দেড় ঘন্টা পর হাসিমুখে ওটি থেকে বের হলেন ডাক্তার।
"আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনার ছেলে এখন বিপদমুক্ত। হি উইল বি ফাইন সুন। আপনার আর কিছু জানার থাকলে প্লিজ নার্সের সাথে কথা বলে নেবেন। আমার এখনি যেতে হবে। আমাকে ক্ষমা করবেন।"
এক মুহূর্ত অপেক্ষা না করে ডাক্তার সাহেব সেখান থেকে চলে আসেন।
-----------------------
ওটির দরজা খুলে নার্স বের হতেই তার উপর চড়াও হন ওই ভদ্রলোক - "এই ডাক্তারের প্রবলেম কি? ৫টা মিনিট দাঁড়িয়ে পুরা কথা শেষ করে গেলে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যেত তার? এইসব ডাক্তারের ডাক্তারি লাইসেন্স ক্যানসেল করে দেয়া উচিত।"
শান্ত গলায় নার্স জবাব দেন, "ডাক্তার সাহেব তার ১৬ বছরের ছেলেকে কবর দিতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আপনার ছেলের এক্সিডেন্ট'এর খবর পেয়ে বাড়ির সবাইকে আটকে রেখে হাসপাতালে চলে এসেছেন। সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে, আলো থাকতে থাকতেই ছেলেকে মাটি দিতে চাচ্ছে সবাই। তাই আর দেরী করতে পারলেন না। ওনাকে মাফ করে দিয়েন। "
[ঘটনাটা সত্যি নাকি মিথ্যা জানি না, তবে কোথায় যেন পড়েছিলাম এটা। আজকে হঠাত মাথার মধ্যে উঁকি দিল]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন