আজকে নাহয় শুধু ওদের কথাই বলি।
চিরকুট নামে বাংলাদেশে একটা ব্যান্ড আছে। বছর দুই-তিনেক আগে যখন ওদের গান প্রথম শুনি, ভালো একটা ধাক্কা খেয়েছিলাম। নতুন ধরনের সাউন্ড, নতুন মিউজিক। একটা ব্যান্ডের সবকয়টা ডিপার্টমেন্ট সাধারনত ইকুয়ালি স্ট্রং হয় না, কিন্তু ওরা প্রত্যেকেই অসাধারণ। যেমন গিটার, তেমন ড্রামস; বেহালা, বাঁশি, ভোকাল - আমি মুগ্ধ হই প্রথম গান শুনেই। গানটার নাম "খাজনা"।
সময়ের সাথে সাথে মুগ্ধতা বাড়তেই থাকে। "জাদুর শহর", "কানামাছি", "একটা ছেড়া দিন" - একটার পর একটা অসাধারণ গান যুক্ত হতে থাকে ওদের নামের সাথে। প্রতিটা কনসার্ট বা টিভি লাইভে ওদের চেষ্টা থাকে, ছোট কিছু হলেও নতুন কিছু করার। এবং ওরা সেটা করেও। ওরা যে মিউজিক্যালি অনেক দক্ষ, সেটার প্রমান তারা অলরেডি দিয়ে দিয়েছে দেশী-বিদেশী তাবড়-তাবড় সব মিউজিশিয়ানদের সথে শো করে। সামান্য হলেও মিউজিকের সাথে জড়িত এমন কারো কাছ থেকে ওদের প্রতিভা সম্পর্কে আমি নেতিবাচক কোনো মন্তব্য শুনিনাই।
ওদের কথা কেন এত বলছি? বলছি, কারণ, ওরা তো ওদের পার্টটা ঠিকমতই করছে, কিন্তু আমরা কি আমাদের করণীয়টা ঠিকমত করছি? "আমরা" বলতে আমি অর্গানাইজার, মিডিয়া, ক্লায়েন্ট, সাধারণ দর্শক-শ্রোতা - সবার কথাই বোঝাচ্ছি।
১. আমরা ওদের বড় বড় কিছু লোকাল শো দিতে পারি। যেখানে ওদের প্রস্তুতির জন্য বেশি সময় এবং ভালো বাজেট দিতে পারি যেন তারা নতুন নতুন আইডিয়া ইনক্লুড করতে পিছপা না হয়। ওদের ট্যালেন্ট'এর প্রমান তো ওরা দিয়েই দিয়েছে, এখন ওদের এনকারেজ করতে হবে যেন ওরা আরো নতুন নতুন চমক নিয়ে আসতে পারে।
২. এতে করে কি হবে? আমরা কখনো হয়ত দেখব একঝাঁক নতুন মিউজিশিয়ান তাদের সাথে শো করছে, নতুন নতুন ইনস্ট্রুমেন্ট নিয়ে। আবার কখনো হয়ত দেখব সিনিয়র গায়ক-গায়িকারা তাদের সাথে নতুন ধরনের মিউজিকে গান গাইছে। একদিন হয়ত ওদেরও দেড়শ-দু'শো জনের দল হবে, যেখানেই যাবে স্টেজ মাতিয়ে আসবে। (যদিও আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি না যে স্টেজ মাতাতে বিশাল টিম থাকতেই হবে, তবুও সময়ের ট্রেন্ড দেখছি ভরা স্টেজ না হলে দর্শক মজা পায়না।)
৩. ওদের গান সিডি কিনে শোনা উচিত, ডাউনলোড করে না। ওদের কনসার্ট টিকেট কিনে দেখা উচিত, ফ্রি তে না।
৪. ইন্টারনেট আর মিডিয়ার এই যুগে প্রতিভা কখনো লুকানো থাকেনা। এক সাকিব আল হাসান যদি আইপিএল, বিগ ব্যাশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলংকার লিগ মাতিয়ে আসতে পারে, প্রপার সাপোর্ট পেলে চিরকুটও আইফা, গ্র্যামি বা অস্কারের স্টেজ কাঁপিয়ে আসতে পারবে।
৫. ও হ্যা। আরেকটা কাজ করতে হবে। দেশে যখন বড় কোনো ইভেন্ট হবে, খেয়াল রাখতে হবে, বিদেশী শিল্পীদের সম্মান দেখাতে গিয়ে যেন ওদের অসম্মান না করে ফেলি। দেখেন, ইন্ডিয়াতে যদি পিঙ্ক ফ্লয়েড আর সনু নিগম একসাথে শো করে, ওরা কিন্তু সনু নিগমকে সবকিছু থেকে ফেলে দেয় না। যদিও, ওখানেও কিন্তু সবাই ফ্লয়েড দেখতেই মাঠে যাবে। তবুও, যেহেতু সনু নিগম ওদের স্টার, তাই তাকেও কিন্তু তারা ঠিকই মাথায় তুলে রাখে।
মোদ্দা কথা হলো, শিল্পীরা অনেক আবেগী হয়, সেই আবেগটাকে মুল্য দেয়া উচিত। কারণ, বিনিময়ে তারা আমাদের যা দেন, তা মূল্যহীন।
---------
"এতক্ষণ ধরে এত চিরকুট চিরকুট করছেন ক্যান?
বাংলাদেশে আর কোনো ব্যান্ড নাই? কাহিনী কি ভাই?
পয়সা খাইসেন নাকি?"
না ভাই, পয়সা খাই নাই। অবশ্যই আরো অনেক ভালো ব্যান্ড আছে, অনেক ভালো শিল্পীও আছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি আতিফ আসলামের থেকে নেমেসিসের জোহাদ অনেক ভালো ভোকালিস্ট, আর্টসেলের মত ব্যান্ড যে কোনো দেশে গিয়ে সেখানকার অডিয়েন্সের মাথা নষ্ট করে দিয়ে আসতে পারে। এদের যে কাউকে নিয়েই লিখতে পারতাম। তারপরও চিরকুটকে বেছে নিয়েছি, তার অন্যতম কারণ হলো ওদের মিউজিকে অনেক বেশি বাংলাদেশীপনা আছে যেখানে অন্যরা অনেক বেশি ওয়েস্টার্ন স্টাইল ফলো করে। (ইদানিং একটু ভয়ে থাকি। ওয়েস্টার্ন মিউজিকের প্রশংসা করলেও এখন হিপোক্রেট তকমা জুটে যায়!) আরেকটা কারণ হলো আমি অপেক্ষাকৃত নতুন কাউকে নিয়েই লিখতে চেয়েছি, যাদের উত্থান খুব বেশিদিন আগে নয়, যাদের সামনে একটা সুন্দর ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে এবং যারা এখনো আশেপাশের নানান তিক্ততায় তাদের পূর্বসুরীদের মত পুরোপুরি হতাশ হয়ে যায়নি।
সিনিয়রদের কথা বলব? অবশ্যই স্বাধীনতার পর থেকে নানান সময়ে আরো অনেকে আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে তাদের প্রতিভা দেখিয়ে মুগ্ধ করেছেন। নাম বলতে গেলে এই লেখাটার সাইজ উপন্যাসের সমান হয়ে যাবে, তাই নাম নিচ্ছি না। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, আমরাই তাদের প্রতিভার যথাযোগ্য সম্মান আর মুল্য দেইনি। এবারও আমি "আমরা" বলতে ক্লায়েন্ট, অর্গানাইজার, মিডিয়া, দর্শক, শ্রোতা - সবার কথাই বলছি। এক কথায়, আমরা জাতিগতভাবে ব্যর্থ হয়েছি।
দশ, পনের, বিশ বা ত্রিশ বছর আগে যেই ব্যান্ড বা সোলো সিঙ্গার আজকের চিরকুটের মত, বা চিরকুটের থেকেও বেশি প্রতিভা নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিল - আজকে তাদেরই কাউকে বিদেশী শিল্পিদের ভিড়ে স্টেজে উঠতে দেয়া হয় নি, কাউকে দর্শকপূর্ণ (তথাপি আগ্রহশূন্য) মাঠে হাততালির জন্য অভিমানী কথা বলতে হয়েছে, আবার কাউকে সেই সেইম-ওল্ড সিডি চালিয়ে ঠোঁট মেলানোর জন্যে নিজের দর্শকদের কাছেই গালি গুনতে হয়েছে।
এই অবস্থার জন্য পুরাপুরি দায়ী আমরাই। কারো মাঝে ছোট্ট একটু প্রতিভার ঝলক দেখলে তাকে চারপাশ থেকে সাপোর্ট দিয়ে তার বেস্টটা বের করে আনতে হয়। আমাকে ভারতের দালাল বলে গালি দিতে পারেন, তবুও বলব, এটা ইন্ডিয়ানদের কাছ থেকেই আমাদের শেখা উচিত। একজন এ আর রহমানের আজকের তারকা হয়ে ওঠার পিছনে তার প্রতিভার পাশাপাশি ইন্ডিয়া অ্যাজ আ নেশন'ও অনেকাংশে দায়ী।
আমি চিরকুটকে ওই চূড়াটাতে দেখতে চাই। আমি চিরকুটের মত আরো অনেকগুলি ব্যান্ড, অনেকজন সিঙ্গার-কম্পোজার-মিউজিশিয়ান'কে দুনিয়া কাঁপাতে দেখতে চাই।
শেষ পর্যন্ত কে কতদূর পর্যন্ত যেতে পারবে, সেটা অবশ্যই সময় বলে দিবে। কিন্তু এটা আমি কোনোরকম সন্দেহ ছাড়াই বলে দিতে পারি, আমরা বর্তমানে যেভাবে আমাদের শিল্পীদের ট্রিট করছি, তাতে করে বারবার আমরা এভাবেই লজ্জিত, অপমানিত এবং ব্যথিত হতে থাকবো। কাঁদা ছোড়াছুড়ি আর একে অন্যকে হিপোক্রেট বলে গালাগালি না করে একটু হেল্প করেন না দেশের এই রত্নগুলিকে।
সাকিব বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হতে পারলে, ওয়াসফিয়া-নিশাত'রা এভারেস্টে উঠতে পারলে, ডক্টর ইউনুস নোবেল বা নাফিস-নাশিত'রা অস্কার জিততে পারলে বাংলাদেশের চিরকুট'রা গ্র্যামি বা একাডেমি এওয়ার্ডের মঞ্চ কাঁপাতে পারবেনা কেন?
আমি তো বিশ্বাস করি পারবে। খুব শিঘ্রিই পারবে।
সময়ের সাথে সাথে মুগ্ধতা বাড়তেই থাকে। "জাদুর শহর", "কানামাছি", "একটা ছেড়া দিন" - একটার পর একটা অসাধারণ গান যুক্ত হতে থাকে ওদের নামের সাথে। প্রতিটা কনসার্ট বা টিভি লাইভে ওদের চেষ্টা থাকে, ছোট কিছু হলেও নতুন কিছু করার। এবং ওরা সেটা করেও। ওরা যে মিউজিক্যালি অনেক দক্ষ, সেটার প্রমান তারা অলরেডি দিয়ে দিয়েছে দেশী-বিদেশী তাবড়-তাবড় সব মিউজিশিয়ানদের সথে শো করে। সামান্য হলেও মিউজিকের সাথে জড়িত এমন কারো কাছ থেকে ওদের প্রতিভা সম্পর্কে আমি নেতিবাচক কোনো মন্তব্য শুনিনাই।
ওদের কথা কেন এত বলছি? বলছি, কারণ, ওরা তো ওদের পার্টটা ঠিকমতই করছে, কিন্তু আমরা কি আমাদের করণীয়টা ঠিকমত করছি? "আমরা" বলতে আমি অর্গানাইজার, মিডিয়া, ক্লায়েন্ট, সাধারণ দর্শক-শ্রোতা - সবার কথাই বোঝাচ্ছি।
১. আমরা ওদের বড় বড় কিছু লোকাল শো দিতে পারি। যেখানে ওদের প্রস্তুতির জন্য বেশি সময় এবং ভালো বাজেট দিতে পারি যেন তারা নতুন নতুন আইডিয়া ইনক্লুড করতে পিছপা না হয়। ওদের ট্যালেন্ট'এর প্রমান তো ওরা দিয়েই দিয়েছে, এখন ওদের এনকারেজ করতে হবে যেন ওরা আরো নতুন নতুন চমক নিয়ে আসতে পারে।
২. এতে করে কি হবে? আমরা কখনো হয়ত দেখব একঝাঁক নতুন মিউজিশিয়ান তাদের সাথে শো করছে, নতুন নতুন ইনস্ট্রুমেন্ট নিয়ে। আবার কখনো হয়ত দেখব সিনিয়র গায়ক-গায়িকারা তাদের সাথে নতুন ধরনের মিউজিকে গান গাইছে। একদিন হয়ত ওদেরও দেড়শ-দু'শো জনের দল হবে, যেখানেই যাবে স্টেজ মাতিয়ে আসবে। (যদিও আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি না যে স্টেজ মাতাতে বিশাল টিম থাকতেই হবে, তবুও সময়ের ট্রেন্ড দেখছি ভরা স্টেজ না হলে দর্শক মজা পায়না।)
৪. ইন্টারনেট আর মিডিয়ার এই যুগে প্রতিভা কখনো লুকানো থাকেনা। এক সাকিব আল হাসান যদি আইপিএল, বিগ ব্যাশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলংকার লিগ মাতিয়ে আসতে পারে, প্রপার সাপোর্ট পেলে চিরকুটও আইফা, গ্র্যামি বা অস্কারের স্টেজ কাঁপিয়ে আসতে পারবে।
৫. ও হ্যা। আরেকটা কাজ করতে হবে। দেশে যখন বড় কোনো ইভেন্ট হবে, খেয়াল রাখতে হবে, বিদেশী শিল্পীদের সম্মান দেখাতে গিয়ে যেন ওদের অসম্মান না করে ফেলি। দেখেন, ইন্ডিয়াতে যদি পিঙ্ক ফ্লয়েড আর সনু নিগম একসাথে শো করে, ওরা কিন্তু সনু নিগমকে সবকিছু থেকে ফেলে দেয় না। যদিও, ওখানেও কিন্তু সবাই ফ্লয়েড দেখতেই মাঠে যাবে। তবুও, যেহেতু সনু নিগম ওদের স্টার, তাই তাকেও কিন্তু তারা ঠিকই মাথায় তুলে রাখে।
মোদ্দা কথা হলো, শিল্পীরা অনেক আবেগী হয়, সেই আবেগটাকে মুল্য দেয়া উচিত। কারণ, বিনিময়ে তারা আমাদের যা দেন, তা মূল্যহীন।
---------
"এতক্ষণ ধরে এত চিরকুট চিরকুট করছেন ক্যান?
বাংলাদেশে আর কোনো ব্যান্ড নাই? কাহিনী কি ভাই?
পয়সা খাইসেন নাকি?"
না ভাই, পয়সা খাই নাই। অবশ্যই আরো অনেক ভালো ব্যান্ড আছে, অনেক ভালো শিল্পীও আছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি আতিফ আসলামের থেকে নেমেসিসের জোহাদ অনেক ভালো ভোকালিস্ট, আর্টসেলের মত ব্যান্ড যে কোনো দেশে গিয়ে সেখানকার অডিয়েন্সের মাথা নষ্ট করে দিয়ে আসতে পারে। এদের যে কাউকে নিয়েই লিখতে পারতাম। তারপরও চিরকুটকে বেছে নিয়েছি, তার অন্যতম কারণ হলো ওদের মিউজিকে অনেক বেশি বাংলাদেশীপনা আছে যেখানে অন্যরা অনেক বেশি ওয়েস্টার্ন স্টাইল ফলো করে। (ইদানিং একটু ভয়ে থাকি। ওয়েস্টার্ন মিউজিকের প্রশংসা করলেও এখন হিপোক্রেট তকমা জুটে যায়!) আরেকটা কারণ হলো আমি অপেক্ষাকৃত নতুন কাউকে নিয়েই লিখতে চেয়েছি, যাদের উত্থান খুব বেশিদিন আগে নয়, যাদের সামনে একটা সুন্দর ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে এবং যারা এখনো আশেপাশের নানান তিক্ততায় তাদের পূর্বসুরীদের মত পুরোপুরি হতাশ হয়ে যায়নি।
সিনিয়রদের কথা বলব? অবশ্যই স্বাধীনতার পর থেকে নানান সময়ে আরো অনেকে আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে তাদের প্রতিভা দেখিয়ে মুগ্ধ করেছেন। নাম বলতে গেলে এই লেখাটার সাইজ উপন্যাসের সমান হয়ে যাবে, তাই নাম নিচ্ছি না। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, আমরাই তাদের প্রতিভার যথাযোগ্য সম্মান আর মুল্য দেইনি। এবারও আমি "আমরা" বলতে ক্লায়েন্ট, অর্গানাইজার, মিডিয়া, দর্শক, শ্রোতা - সবার কথাই বলছি। এক কথায়, আমরা জাতিগতভাবে ব্যর্থ হয়েছি।
দশ, পনের, বিশ বা ত্রিশ বছর আগে যেই ব্যান্ড বা সোলো সিঙ্গার আজকের চিরকুটের মত, বা চিরকুটের থেকেও বেশি প্রতিভা নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিল - আজকে তাদেরই কাউকে বিদেশী শিল্পিদের ভিড়ে স্টেজে উঠতে দেয়া হয় নি, কাউকে দর্শকপূর্ণ (তথাপি আগ্রহশূন্য) মাঠে হাততালির জন্য অভিমানী কথা বলতে হয়েছে, আবার কাউকে সেই সেইম-ওল্ড সিডি চালিয়ে ঠোঁট মেলানোর জন্যে নিজের দর্শকদের কাছেই গালি গুনতে হয়েছে।
এই অবস্থার জন্য পুরাপুরি দায়ী আমরাই। কারো মাঝে ছোট্ট একটু প্রতিভার ঝলক দেখলে তাকে চারপাশ থেকে সাপোর্ট দিয়ে তার বেস্টটা বের করে আনতে হয়। আমাকে ভারতের দালাল বলে গালি দিতে পারেন, তবুও বলব, এটা ইন্ডিয়ানদের কাছ থেকেই আমাদের শেখা উচিত। একজন এ আর রহমানের আজকের তারকা হয়ে ওঠার পিছনে তার প্রতিভার পাশাপাশি ইন্ডিয়া অ্যাজ আ নেশন'ও অনেকাংশে দায়ী।
আমি চিরকুটকে ওই চূড়াটাতে দেখতে চাই। আমি চিরকুটের মত আরো অনেকগুলি ব্যান্ড, অনেকজন সিঙ্গার-কম্পোজার-মিউজিশিয়ান'কে দুনিয়া কাঁপাতে দেখতে চাই।
শেষ পর্যন্ত কে কতদূর পর্যন্ত যেতে পারবে, সেটা অবশ্যই সময় বলে দিবে। কিন্তু এটা আমি কোনোরকম সন্দেহ ছাড়াই বলে দিতে পারি, আমরা বর্তমানে যেভাবে আমাদের শিল্পীদের ট্রিট করছি, তাতে করে বারবার আমরা এভাবেই লজ্জিত, অপমানিত এবং ব্যথিত হতে থাকবো। কাঁদা ছোড়াছুড়ি আর একে অন্যকে হিপোক্রেট বলে গালাগালি না করে একটু হেল্প করেন না দেশের এই রত্নগুলিকে।
সাকিব বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হতে পারলে, ওয়াসফিয়া-নিশাত'রা এভারেস্টে উঠতে পারলে, ডক্টর ইউনুস নোবেল বা নাফিস-নাশিত'রা অস্কার জিততে পারলে বাংলাদেশের চিরকুট'রা গ্র্যামি বা একাডেমি এওয়ার্ডের মঞ্চ কাঁপাতে পারবেনা কেন?
আমি তো বিশ্বাস করি পারবে। খুব শিঘ্রিই পারবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন