প্রথম কবে আব্বা-আম্মার সাথে রাজশাহী গেছি, মনে নাই।
আব্বার দিকের সব আত্মীয়-স্বজনরা রাজশাহীর দিকে থাকলেও আমার জন্ম ঢাকাতেই। আব্বা-আম্মা দু'জনই জগন্নাথ কলেজের প্রফেসর, তাই তাদের ঠিকানা বরাবরই ঢাকাতে। ছোট বেলায় আব্বা-আম্মার সাথে ঈদ করতে, বিয়ে খেতে রাজশাহী যাওয়াটাই আমার "বাড়ি যাওয়ার" নিয়মিত স্মৃতি।
দাদু যতদিন বেঁচে ছিলেন, আমি অন্তত একটা ঈদ দাদুর সাথে করতাম। কখনো আমি একা, কখনো আব্বা-আম্মা আর আমরা দুই ভাই। ওখানকার জ্যামবিহীন রাস্তা, অলস-ব্যস্ততাহীন ধীরস্থির জীবন আমার ভয়াবহ পছন্দ। কখনো বাস, কখনো ট্রেন - সুযোগ পেলেই তাই ছুটে যেতাম রুক্ষ শহরের উষ্ণ মনের মানুষগুলির কাছে।
আজকে আবার যাচ্ছি। কিন্তু এই যাওয়াটা একদমই অন্যরকম।
এবার আমি আব্বাকে নিয়ে যাচ্ছি। শুধুই আব্বাকে।
আম্মা চলে যাওয়ার পর একদমই ভেঙ্গে যাওয়া, একা, অসহায় আব্বার জীবনে একটু চেঞ্জ নিয়ে আসার আশায় তাকে নিয়ে রাজশাহী যাচ্ছি।
এয়ারপোর্ট এসে শুনি ফ্লাইট ২ ঘন্টা লেট।
এতক্ষণ সময় আব্বার সাথে চালিয়ে যাওয়ার মত কথা যে আমার নাই। কি কথা বলব? ঘুরে ফিরে আম্মার কথা চলে আসলে দু'জনের গলাই কেঁপে ওঠে। তারপর একটা অস্বস্তিকর নিরবতা - এই আব্বা আমার কাছে অচেনা। আমি জানি, এই আমিও আব্বার কাছে অচেনা। এই সময়টাই যে বড় বেশি অচেনা।
আব্বা এখন সোফায় গা এলিয়ে শুয়ে আছে। ছাদের দিকে অপলক তাকিয়ে কি খুঁজছেন, জানি না।
হয়ত একটু ভালো থাকার মুহূর্ত খুঁজছেন। আমার মতই, আমাদের সবার মতই।
যাই, আবার একটু কথা চালানোর চেষ্টা করি। আরো দেড় ঘন্টা বাকি। অনেক লম্বা দেড়টা ঘন্টা।
- আভ্যন্তরীন টার্মিনাল, ঢাকা এয়ারপোর্ট
আব্বার দিকের সব আত্মীয়-স্বজনরা রাজশাহীর দিকে থাকলেও আমার জন্ম ঢাকাতেই। আব্বা-আম্মা দু'জনই জগন্নাথ কলেজের প্রফেসর, তাই তাদের ঠিকানা বরাবরই ঢাকাতে। ছোট বেলায় আব্বা-আম্মার সাথে ঈদ করতে, বিয়ে খেতে রাজশাহী যাওয়াটাই আমার "বাড়ি যাওয়ার" নিয়মিত স্মৃতি।
দাদু যতদিন বেঁচে ছিলেন, আমি অন্তত একটা ঈদ দাদুর সাথে করতাম। কখনো আমি একা, কখনো আব্বা-আম্মা আর আমরা দুই ভাই। ওখানকার জ্যামবিহীন রাস্তা, অলস-ব্যস্ততাহীন ধীরস্থির জীবন আমার ভয়াবহ পছন্দ। কখনো বাস, কখনো ট্রেন - সুযোগ পেলেই তাই ছুটে যেতাম রুক্ষ শহরের উষ্ণ মনের মানুষগুলির কাছে।
আজকে আবার যাচ্ছি। কিন্তু এই যাওয়াটা একদমই অন্যরকম।
এবার আমি আব্বাকে নিয়ে যাচ্ছি। শুধুই আব্বাকে।
আম্মা চলে যাওয়ার পর একদমই ভেঙ্গে যাওয়া, একা, অসহায় আব্বার জীবনে একটু চেঞ্জ নিয়ে আসার আশায় তাকে নিয়ে রাজশাহী যাচ্ছি।
এয়ারপোর্ট এসে শুনি ফ্লাইট ২ ঘন্টা লেট।
এতক্ষণ সময় আব্বার সাথে চালিয়ে যাওয়ার মত কথা যে আমার নাই। কি কথা বলব? ঘুরে ফিরে আম্মার কথা চলে আসলে দু'জনের গলাই কেঁপে ওঠে। তারপর একটা অস্বস্তিকর নিরবতা - এই আব্বা আমার কাছে অচেনা। আমি জানি, এই আমিও আব্বার কাছে অচেনা। এই সময়টাই যে বড় বেশি অচেনা।
আব্বা এখন সোফায় গা এলিয়ে শুয়ে আছে। ছাদের দিকে অপলক তাকিয়ে কি খুঁজছেন, জানি না।
হয়ত একটু ভালো থাকার মুহূর্ত খুঁজছেন। আমার মতই, আমাদের সবার মতই।
যাই, আবার একটু কথা চালানোর চেষ্টা করি। আরো দেড় ঘন্টা বাকি। অনেক লম্বা দেড়টা ঘন্টা।
- আভ্যন্তরীন টার্মিনাল, ঢাকা এয়ারপোর্ট
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন