এখন আর পাবলিক পোস্ট দেই না। কেন জানেন?
আমার জীবনের, আমার আশেপাশের মানুষের জীবনের ছোট-ছোট ঘটনা নিয়ে আমি লিখতাম। কেউ যদি কখনো জিজ্ঞেস করতো যে আমি কেন ফেইসুবকে বড়বড় স্ট্যাটাস দেই; আমি বললাম - আমার লেখা পড়ে যদি কারোর কয়েকটা মিনিটও ভালো কাটে, আমার তাতেই সুখ।
এখন লিখিনা; কারণ - এখন আমি বা আমার আমার আশেপাশের মানুষগুলি যখন ভালো থাকে - দেশটা তখন ভালো থাকে না।
আমার মেয়ে জয়ী যেদিন পিয়ানোতে ওয়ারফেজের পুরা একটা গান বাজাতে শিখল, সেদিনই এজিবি কলোনিতে দুই বছরের রায়কা'র মা'কে মটর সাইকেল গ্যাং কোন কারণ ছাড়াই মেরে ফেলল।
বন্ধু-বান্ধব-পরিবার-পরিজন নিয়ে যখন আমরা সুন্দরবনে মহানন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছি, তখনি গুলশানে মদ খেয়ে গাড়ি চালিয়ে এক কিশোর মেরে ফেলল এক গরীব মানুষকে।
যখনই লিখতে গেছি সুন্দর কিছু কথা, দুই-তিন লাইন লেখার পরই আগ্রহ মরে গেছে দেশের কোন মর্মান্তিক খবরে।
লেখা আর হয়ে ওঠেনি আমার।
জীয়নের স্কুলে গতকাল প্রথম প্যারেন্টস ডে ছিল। ভেবেছিলাম ফিরে এসে সেটা নিয়ে লিখব। এতদিনের মৌনব্রত ভাঙব।
গতকালই আরও একবার কুপিয়ে মেরে ফেলা হল মনুষ্যত্ব। চোখে আঙ্গুল দিয়ে আবার দেখিয়ে দেয়া হল - কতোটা ভালো আছি আমরা।
সুন্দর সুন্দর গল্প লিখতে, নিজেদের হাসিমুখের ছবি দিতে ইচ্ছা করে না আর। বড় বেশী স্বার্থপর মনে হয় নিজেকে।
পাশের বাড়িতে আগুন লেগেছে জেনেও ফুল ভলিউমে গান শুনে আনন্দ প্রকাশ করাটা মনে হয় মানুষের কাজ না।
এই লেখাটাও তাই কোনদিন পাবলিক পোস্ট হিসেবে দেয়া হবে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন