ড্যান ব্রাউনের "ইনফারনো" বইটা কে কে পড়েছেন?
আমি ছোট করে সামারি'টা বলি। হঠাৎ কেন এই বই নিয়ে কথা বলছি, শেষে বুঝতে পারবেন।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (WHO)'এর একটা বিশাল মাথাব্যাথার নাম পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা। হিসাব অনুযায়ী পৃথিবীটা ঠিকভাবে চলার জন্য মানুষের সংখ্যা যত হওয়া উচিত, এখনি নাকি তার প্রায় দেড়গুণ (অথবা দ্বিগুণ, বইটা বেশ আগে পড়েছি। তাই সঠিক হিসাবটা মনে নাই) মানুষ এই পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নানারকম বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার মানুষের গড় আয়ু বাড়িয়ে দিয়েছে। সহজ হিসাব হল, মানুষ জন্মাচ্ছে মাশাল্লাহ অনেক, মরছে কম।
September 9, 2014
আমি ছোট করে সামারি'টা বলি। হঠাৎ কেন এই বই নিয়ে কথা বলছি, শেষে বুঝতে পারবেন।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (WHO)'এর একটা বিশাল মাথাব্যাথার নাম পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা। হিসাব অনুযায়ী পৃথিবীটা ঠিকভাবে চলার জন্য মানুষের সংখ্যা যত হওয়া উচিত, এখনি নাকি তার প্রায় দেড়গুণ (অথবা দ্বিগুণ, বইটা বেশ আগে পড়েছি। তাই সঠিক হিসাবটা মনে নাই) মানুষ এই পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নানারকম বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার মানুষের গড় আয়ু বাড়িয়ে দিয়েছে। সহজ হিসাব হল, মানুষ জন্মাচ্ছে মাশাল্লাহ অনেক, মরছে কম।
বারট্রান্ড যর্বিস্ট নামের এক মালটি-বিলিওনিয়ার পাগলা সাইন্টিস্ট এই
সমস্যার সমাধানের জন্য একটা বুদ্ধি বের করে ফেলেন; ভয়ঙ্কর এক বুদ্ধি। তিনি
একটা বায়োলজিক্যাল প্লেগ আবিষ্কার করেন, যা দিয়ে পৃথিবীর জনসংখ্যাকে
কেটেছেটে মোটামুটি অর্ধেকে নামিয়ে আনা যাবে। এই নিয়েই মহা-উত্তেজনার মধ্য
দিয়ে গল্প এগিয়ে যেতে থাকে। নায়ক রবার্ট ল্যাংডন চেষ্টা করতে থাকে যেন এই
প্লেগ না ছড়ায়, আর যর্বিস্ট'এর সাঙ্গপাঙ্গরা গুরুর নির্দেশমত পৃথিবীর
রক্ষার কঠিন মিশনে এগিয়ে যেতে থাকে, ব্লা ব্লা ব্লা ...
যাই হোক, মোদ্দা কথা হল, বইটাতে যর্বিস্ট যে ভয়ঙ্কর পৃথিবী সামনে আসবে বলে ধারনা করেছিলেন এবং যে কারণে তিনি এই ভয়ঙ্কর প্লেগ তৈরি করলেন - সেই পৃথিবীটা কেন যেন আমার অচেনা লাগেনি। "যখন একটা জায়গায় রিসোর্সের তুলনায় মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে যায়, তখন মারামারি, খুনাখুনি, লুটপাট শুরু হতে বাধ্য। বেচে থাকা মানুষের প্রথম এবং প্রধান অধিকার। আর বেচে থাকার জন্য সবকিছু করাই জায়েজ - এই তত্ত্ব কেউ খণ্ডাতে পারবে না। দেশ - ধর্ম - ভাষা - আমি - আপনি, কেউ না।"
ড্যান ব্রাউন সাহেব কি ইনফারনো বইটা ঢাকায় বসে লিখেছিলেন? সবকিছু এত চেনা চেনা লাগে ক্যান রে!!!
ও হ্যা। যর্বিস্ট চরিত্র'টাকেও আমার মনে হয় ব্রাউন সাহেব ঢাকাতেই খুঁজে পেয়েছিলেন। যর্বিস্ট হচ্ছেন তিনি, যিনি প্রথম খুঁজে পেয়েছিলেন ফরমালিনের যুগান্তকারী ব্যাবহার - দা সুপার এফিশিয়েন্ট এজেন্ট ফর ম্যাস কিলিং। যা ধীরে ধীরে একটা বিশাল জনগোষ্ঠীকে কেটেছেঁটে সাইজ করে দিতে সক্ষম।
হয়ত কিছুদিন পর এসএসসি পরীক্ষায় রচনা আসবে - "খাদ্যে ফরমালিন - বিজ্ঞানের আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ?" ...
-----
১। কালকে তিতুমির কলেজের কিছু "ছাত্র" তাদের "হতাশা" প্রদর্শন করতে গিয়ে প্রায় শ'খানেক গাড়ি-বাস-সিএনজি ভাংচুর করল। তার মধ্যে আমার দুই ছোট ভাইয়ের গাড়িও ছিল।
২। ডেইলি স্টার'এ আজকে প্রকাশিত হল ফরমালিনের লং টার্ম এফেক্ট নিয়ে একটা প্রতিবেদন। (প্রথম কমেন্টে ছবি'টা দিয়ে দিলাম)।
দুইটা ঘটনার মধ্যে কোনই সম্পর্ক নাই। তবুও আমি কোথায় যেন একটা মিল খুঁজে পাচ্ছি। খুবই বাজে চিন্তা, তারপরও বলছি।
আগাছা নিধনে কি তাহলে ফরমালিনই একমাত্র ভরসা?
ভাল লাগছে না। একদমই ভাল লাগছে না।
যাই হোক, মোদ্দা কথা হল, বইটাতে যর্বিস্ট যে ভয়ঙ্কর পৃথিবী সামনে আসবে বলে ধারনা করেছিলেন এবং যে কারণে তিনি এই ভয়ঙ্কর প্লেগ তৈরি করলেন - সেই পৃথিবীটা কেন যেন আমার অচেনা লাগেনি। "যখন একটা জায়গায় রিসোর্সের তুলনায় মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে যায়, তখন মারামারি, খুনাখুনি, লুটপাট শুরু হতে বাধ্য। বেচে থাকা মানুষের প্রথম এবং প্রধান অধিকার। আর বেচে থাকার জন্য সবকিছু করাই জায়েজ - এই তত্ত্ব কেউ খণ্ডাতে পারবে না। দেশ - ধর্ম - ভাষা - আমি - আপনি, কেউ না।"
ড্যান ব্রাউন সাহেব কি ইনফারনো বইটা ঢাকায় বসে লিখেছিলেন? সবকিছু এত চেনা চেনা লাগে ক্যান রে!!!
ও হ্যা। যর্বিস্ট চরিত্র'টাকেও আমার মনে হয় ব্রাউন সাহেব ঢাকাতেই খুঁজে পেয়েছিলেন। যর্বিস্ট হচ্ছেন তিনি, যিনি প্রথম খুঁজে পেয়েছিলেন ফরমালিনের যুগান্তকারী ব্যাবহার - দা সুপার এফিশিয়েন্ট এজেন্ট ফর ম্যাস কিলিং। যা ধীরে ধীরে একটা বিশাল জনগোষ্ঠীকে কেটেছেঁটে সাইজ করে দিতে সক্ষম।
হয়ত কিছুদিন পর এসএসসি পরীক্ষায় রচনা আসবে - "খাদ্যে ফরমালিন - বিজ্ঞানের আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ?" ...
-----
১। কালকে তিতুমির কলেজের কিছু "ছাত্র" তাদের "হতাশা" প্রদর্শন করতে গিয়ে প্রায় শ'খানেক গাড়ি-বাস-সিএনজি ভাংচুর করল। তার মধ্যে আমার দুই ছোট ভাইয়ের গাড়িও ছিল।
২। ডেইলি স্টার'এ আজকে প্রকাশিত হল ফরমালিনের লং টার্ম এফেক্ট নিয়ে একটা প্রতিবেদন। (প্রথম কমেন্টে ছবি'টা দিয়ে দিলাম)।
দুইটা ঘটনার মধ্যে কোনই সম্পর্ক নাই। তবুও আমি কোথায় যেন একটা মিল খুঁজে পাচ্ছি। খুবই বাজে চিন্তা, তারপরও বলছি।
আগাছা নিধনে কি তাহলে ফরমালিনই একমাত্র ভরসা?
ভাল লাগছে না। একদমই ভাল লাগছে না।
September 9, 2014
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন