প্রথম বন্ধু ঃ বাংলাদেশ নিয়ে কিছু একটা করা যায় না? মনটা খারাপ লাগছে।
দ্বিতীয় বন্ধু ঃ হঠাৎ বাংলাদেশ নিয়ে পরলি ক্যান? এমনিতেই কি ভ্যাজালের শেষ আছে নাকি?
প্রথম বন্ধু ঃ আরে আজব! একটা দেশের মানুষের উপর এমন অত্যাচার হচ্ছে, চুপ করে বসে থাকব?
দ্বিতীয় বন্ধু ঃ হুমম, তো প্ল্যানটা কি? কি করতে চাস?
প্রথম বন্ধু ঃ চল, একটা কন্সার্ট করি।
দ্বিতীয় বন্ধু ঃ হোয়াট? কন্সার্ট? কন্সার্ট করে কি লাভ? তুই না কইলি ওইখানে অত্যাচার হচ্ছে। ওরা এখন গান শোনার মুডে আছে নাকি?
প্রথম বন্ধু ঃ ধুর বলদ। ওদের গান শুনানোর জন্য কন্সার্ট করবো, সেইটা বলসি নাকি? প্ল্যান ইজ, আমরা যদি ওদের জন্য একটা কন্সার্ট করি, অনেক মানুষ জানবে যে আমরা ওদের পক্ষে আছি। তাতে যদি ওদের সাহায্য করার জন্য কেউ আগায়ে আসে, তাইলে তো হইলোই। আর যদি নাও আসে, অ্যাট লিস্ট ওই দেশের মানুষগুলা তো একসময় জানতে পারবে যে আমরা এতো দূরে বসেও ওদের জন্য কিছু করতে চাইসিলাম।
দ্বিতীয় বন্ধু ঃ আইডিয়া খারাপ না। চল তাইলে, বাকিদেরও একটু আওয়াজ দেই। যত বেশী আর্টিস্ট পাবো, তত বেশী আওয়াজ হবে।
প্রথম বন্ধুর নাম জর্জ হ্যারিসন। দ্বিতীয় বন্ধুর নাম রিংগোস্টার। কন্সার্টটার নাম "কন্সার্ট ফর বাংলাদেশ"
এরপর একে একে নাম যোগ হতে থাকলো। বব ডিলান, এরিক ক্ল্যাপটন, লিওন রাসেল, রবি শঙ্কর, বিলি প্রেস্টন ... আরও অনেকে।
ভাগ্যিস এই বন্ধুগুলির মধ্যে কেউ আইতকা বলে ওঠে নাই, "ক্যান রে ভাই হ্যারিসন। বাংলাদেশ নিয়েই কেন? নাইজেরিয়াতে হাজার হাজার মানুষ মরলো, ইন্দোনেশিয়া সয়লাব হয়ে গেলো খুনাখুনি'তে, তখন কেন কিছু করলি না? হুদাই হুজুগে লাফায়ে কনন্ট্রোভারসি ক্রিয়েট করার কি দরকার!"
ভাগ্যিস, ওরা এমন কিছু বলে নাই।
তাহলে হয়ত "কন্সার্ট ফর বাংলাদেশ"টা হতো না। আর কোন ভিন-মুল্লুকের জর্জ হ্যারিসন, রিংগোস্টার'রা আমাদের হৃদয়ের মাঝখানে একটা জায়গা করেও নিত না।
---
গল্পটা বানানো। ইতিহাসের সাথে হয়তো অনেককিছুই মিলবে না।
এটা আমার পয়েন্ট অফ ভিউ, অনেকের সাথে নাও মিলতে পারে। সবার মত যদি একই হয়ে যায়, পৃথিবী কিন্তু এক জায়গায় থেমে থাকবে।
"পয়েন্ট অফ ভিউ" দীর্ঘজীবী হোক। মানবতা বেঁচে থাক। গাজার জন্যও, প্যারিসের জন্যও।
দ্বিতীয় বন্ধু ঃ হঠাৎ বাংলাদেশ নিয়ে পরলি ক্যান? এমনিতেই কি ভ্যাজালের শেষ আছে নাকি?
প্রথম বন্ধু ঃ আরে আজব! একটা দেশের মানুষের উপর এমন অত্যাচার হচ্ছে, চুপ করে বসে থাকব?
দ্বিতীয় বন্ধু ঃ হুমম, তো প্ল্যানটা কি? কি করতে চাস?
প্রথম বন্ধু ঃ চল, একটা কন্সার্ট করি।
দ্বিতীয় বন্ধু ঃ হোয়াট? কন্সার্ট? কন্সার্ট করে কি লাভ? তুই না কইলি ওইখানে অত্যাচার হচ্ছে। ওরা এখন গান শোনার মুডে আছে নাকি?
প্রথম বন্ধু ঃ ধুর বলদ। ওদের গান শুনানোর জন্য কন্সার্ট করবো, সেইটা বলসি নাকি? প্ল্যান ইজ, আমরা যদি ওদের জন্য একটা কন্সার্ট করি, অনেক মানুষ জানবে যে আমরা ওদের পক্ষে আছি। তাতে যদি ওদের সাহায্য করার জন্য কেউ আগায়ে আসে, তাইলে তো হইলোই। আর যদি নাও আসে, অ্যাট লিস্ট ওই দেশের মানুষগুলা তো একসময় জানতে পারবে যে আমরা এতো দূরে বসেও ওদের জন্য কিছু করতে চাইসিলাম।
দ্বিতীয় বন্ধু ঃ আইডিয়া খারাপ না। চল তাইলে, বাকিদেরও একটু আওয়াজ দেই। যত বেশী আর্টিস্ট পাবো, তত বেশী আওয়াজ হবে।
প্রথম বন্ধুর নাম জর্জ হ্যারিসন। দ্বিতীয় বন্ধুর নাম রিংগোস্টার। কন্সার্টটার নাম "কন্সার্ট ফর বাংলাদেশ"
এরপর একে একে নাম যোগ হতে থাকলো। বব ডিলান, এরিক ক্ল্যাপটন, লিওন রাসেল, রবি শঙ্কর, বিলি প্রেস্টন ... আরও অনেকে।
ভাগ্যিস এই বন্ধুগুলির মধ্যে কেউ আইতকা বলে ওঠে নাই, "ক্যান রে ভাই হ্যারিসন। বাংলাদেশ নিয়েই কেন? নাইজেরিয়াতে হাজার হাজার মানুষ মরলো, ইন্দোনেশিয়া সয়লাব হয়ে গেলো খুনাখুনি'তে, তখন কেন কিছু করলি না? হুদাই হুজুগে লাফায়ে কনন্ট্রোভারসি ক্রিয়েট করার কি দরকার!"
ভাগ্যিস, ওরা এমন কিছু বলে নাই।
তাহলে হয়ত "কন্সার্ট ফর বাংলাদেশ"টা হতো না। আর কোন ভিন-মুল্লুকের জর্জ হ্যারিসন, রিংগোস্টার'রা আমাদের হৃদয়ের মাঝখানে একটা জায়গা করেও নিত না।
---
গল্পটা বানানো। ইতিহাসের সাথে হয়তো অনেককিছুই মিলবে না।
এটা আমার পয়েন্ট অফ ভিউ, অনেকের সাথে নাও মিলতে পারে। সবার মত যদি একই হয়ে যায়, পৃথিবী কিন্তু এক জায়গায় থেমে থাকবে।
"পয়েন্ট অফ ভিউ" দীর্ঘজীবী হোক। মানবতা বেঁচে থাক। গাজার জন্যও, প্যারিসের জন্যও।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন