শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

বুড়িগঙ্গা

বাসায় রঙের কাজ হচ্ছে, কিচেন-বাথরুমে ফিটিংস'এর কাজ চলছে। পুরা বাসা ধুলার রাজত্ব; ঠুক-ঠাক-ঢ্যাং-ঢ্যাং শব্দে অস্থির অবস্থা। এর মধ্যে আবার মাঝে মাঝে কারেন্ট থাকে না। জলবায়ু যতটা না গরম, বৌএর মেজাজ তার চাইতে মিনিমাম ১০ ডিগ্রী বেশি হট। এই ঘোর বিপর্যয়ের সময় যখন ম্যাডামকে জানালাম যে বাসার ময়লা সাফ করার কাজে আমাকে পাবা না, আমি যাচ্ছি বুড়িগঙ্গা সাফ করতে - ..... বাকিটা বুঝিয়া লন।
...
...
...
...
...

ঘোড়ার আন্ডা বুঝছেন। আমার বউ ইস্পেশাল; এইসব কাজে কখনো আজাইরা টেনশন দেয়না। বরং আফসোস করে, সে নিজেও কেন যেতে পারল না। যাই হোক, গতকাল দিনের শুরুটা খুব সুন্দর হলো, স্মাইল ফাউন্ডেশন'এর অসাধারণ ছেলেমেয়েগুলোর উসিলায়। খুব অবাক এবং খুশি হয়েছি যখন দেখলাম আমরাই বাংলাদেশের পেইজ'এর অনেক মেম্বার নদীর পারে হাজির হয়েছে - এই পাগলামিতে অংশ নিতে। দুই সপ্তাহ বয়সের একটা প্রোগ্রামের প্রতি মানুষের এমন বিশ্বাস দেখে আসলেই অভিভূত হয়েছি। আসলেই।

শ'খানেক ছেলেমেয়ে আজকে একটা ছোট নমুনা দেখালো। আমি অন্তত এটা থেকে এই শিক্ষাটাই নিতে চাই - এক হতে পারলে শুধু বুড়িগঙ্গা কেন; গোটা দেশটাকেই আবর্জনামুক্ত করে ফেলতে পারব আমরা।

দেশটা তো আমাদেরই, তাই না?

আমরাই তো বাংলাদেশ।

[স্মাইল ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ অন্য কারোর অপেক্ষায় না থেকে নিজেরাই বুড়িগঙ্গা পরিষ্কারে নেমে পরার জন্য। বউ'কে ধন্যবাদ, আমার অপেক্ষায় বসে না থেকে নিজে নিজেই ধুলাবালিময় ঘরটাকে পরিষ্কার করে বেহেশত বানিয়ে রাখার জন্য।]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন