গতবছর এই সময়টাতে সোশাল মিডিয়ার সাথে আমার নতুন করে পরিচয় হয়। সত্যি কথা বলতে, ফেইসবুক'এর ক্ষমতা তখনি আমি প্রথমবার অনুধাবন করি। গত বছরের ঠিক এই দিনে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনা আমাদের ভীষণভাবে নাড়া দেয়। রামুতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উপর যে বর্বরচিত হামলাটা হয়, মানুষ হিসেবে অসম্ভব লজ্জিত বোধ করতে থাকি। আমরা ছোট একটা বিজ্ঞাপনী সংস্থার মানুষ, কতটুকুই বা ক্ষমতা আমাদের! ঝোঁকের বসেই হঠাত করেই সিদ্ধান্ত ফেলি, যতটুকু ক্ষমতা আছে ততটুকু দিয়েই কিছু একটা করে ফেলার। একদিনের মধ্যে তৈরী হয় একটা ভিডিও। অফিসের ক্যামেরা দিয়ে অফিসেই শুটিং, আমরাই মডেল, আমরাই কামেরাম্যান, আমরাই এডিটর। ক্লায়েন্ট মিটিং শেষ করে তৌফিক ভাই হয়ে গেলেন মিউজিক ডিরেক্টর। ছোট একটা আপিল ছিল সবার কাছে, ৮ অক্টোবর আমরা এই হামলার প্রতি নিন্দা জানাতে আমাদের ফেইসবুক প্রোফাইল ফটো কালো করে ফেলবো।
ভিডিওটা ফেইসবুক'এ আপলোড হয়; অন্যরকম সাড়া পেতে থাকি। যাদের চিনি না, জানি না, তারাও ভিডিও শেয়ার করতে থাকে। হাজারের উপর শেয়ার হয় ২৪ ঘন্টার মধ্যে। নতুন কিছু মানুষের সাথে পরিচয় হয়, আবার চেনা কিছু মানুষেরও নতুন রূপ দেখতে পাই। রিন্তু আর তার দলবল মিলে রামুর জন্য তখন ত্রাণ যোগার করছে। সাথে জাভেদ কায়সার, রাতুল, রুশো আরো অনেকে। সে কি এনার্জি তাদের! বিশ্বজিত বড়ুয়ার সাথে পরিচয় হয় - বিশাল বড় একটা মন তার; আমাদের কাছে টেনে নিতে তার সময় লাগেনি এতটুকুও। পরিচয় হয় আরিফ আর হোসাইন, কামরুন্নাহার সুমি, ওয়াইল্ডচাইল্ড রেমাইনস'এর সাথে। ছোট একটা ইনিশিয়েটিভ'কে বিশাল আকার দিতে এগিয়ে আসে এবিসি রেডিও, রেডিও ফুর্তি। আসে মেকানিক্স, দৃক'এর মত কিছু রক ব্যান্ড। হাজার বিশেক মানুষ ৮ অক্টোবর তাদের প্রোফাইল পিকচার কালো করে ফেলে। অনেকেই নতুন করে ভাবতে শুরু করে রামু'কে নিয়ে। প্রচুর ত্রাণ আসতে থাকে, অফিসের একটা ঘর ছেড়ে দেয়া হয়, মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত শুধু মনুষ্যত্বের জয়গান। আমাদের বস্তা বস্তা লজ্জা আর অপরাধবোধ নিয়ে রিনতুর দল রওনা দেয় রামুর উদ্দেশ্যে। ফিরে আসে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিয়ে, ভালবাসায় সিক্ত হয়ে।
বছর পেরিয়ে গেল, কিন্তু সেই সময়টা এখনো অনেক জীবন্ত। রামুতে যা ঘটেছিল, তা যেন আর কখনো না ঘটে। ফেইসবুক অনেক কাজের একটা জায়গা। আমাদের দেশে যত সমস্যা আছে, সেগুলোর সমাধানেই যেন ফেইসবুকের ব্যবহার হয়। নতুন কোনো রামুর লজ্জা কাটাতে নয়।
ভিডিওটা ফেইসবুক'এ আপলোড হয়; অন্যরকম সাড়া পেতে থাকি। যাদের চিনি না, জানি না, তারাও ভিডিও শেয়ার করতে থাকে। হাজারের উপর শেয়ার হয় ২৪ ঘন্টার মধ্যে। নতুন কিছু মানুষের সাথে পরিচয় হয়, আবার চেনা কিছু মানুষেরও নতুন রূপ দেখতে পাই। রিন্তু আর তার দলবল মিলে রামুর জন্য তখন ত্রাণ যোগার করছে। সাথে জাভেদ কায়সার, রাতুল, রুশো আরো অনেকে। সে কি এনার্জি তাদের! বিশ্বজিত বড়ুয়ার সাথে পরিচয় হয় - বিশাল বড় একটা মন তার; আমাদের কাছে টেনে নিতে তার সময় লাগেনি এতটুকুও। পরিচয় হয় আরিফ আর হোসাইন, কামরুন্নাহার সুমি, ওয়াইল্ডচাইল্ড রেমাইনস'এর সাথে। ছোট একটা ইনিশিয়েটিভ'কে বিশাল আকার দিতে এগিয়ে আসে এবিসি রেডিও, রেডিও ফুর্তি। আসে মেকানিক্স, দৃক'এর মত কিছু রক ব্যান্ড। হাজার বিশেক মানুষ ৮ অক্টোবর তাদের প্রোফাইল পিকচার কালো করে ফেলে। অনেকেই নতুন করে ভাবতে শুরু করে রামু'কে নিয়ে। প্রচুর ত্রাণ আসতে থাকে, অফিসের একটা ঘর ছেড়ে দেয়া হয়, মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত শুধু মনুষ্যত্বের জয়গান। আমাদের বস্তা বস্তা লজ্জা আর অপরাধবোধ নিয়ে রিনতুর দল রওনা দেয় রামুর উদ্দেশ্যে। ফিরে আসে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিয়ে, ভালবাসায় সিক্ত হয়ে।
বছর পেরিয়ে গেল, কিন্তু সেই সময়টা এখনো অনেক জীবন্ত। রামুতে যা ঘটেছিল, তা যেন আর কখনো না ঘটে। ফেইসবুক অনেক কাজের একটা জায়গা। আমাদের দেশে যত সমস্যা আছে, সেগুলোর সমাধানেই যেন ফেইসবুকের ব্যবহার হয়। নতুন কোনো রামুর লজ্জা কাটাতে নয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন