আমার কখনো একটা নায়ক-ওয়ালা সিনেমা ভালো লাগত না। এক অমিতাভ বচ্চন ইয়া ভিশুম ইয়া ঢিসুম করে একশো গুন্ডাকে মেরে কাইত করে ফেলছে, সেটা দেখে আমি কখনই সেরকম এক্সাইটেড হতাম না। আমার ভালো লাগতো ২/৩টা নায়ক'ওয়ালা সিনেমা, যেখানে বন্ধুত্ব থাকবে বিশ্বাস থাকবে। বইয়ের বেলাতেও তাই। কিশোর পাশার বুদ্ধি, রবিন মিলফোর্ড'এর বই'এর প্রতি প্রেম আর মুসা আমানের শক্তি - তিন জন মিলে তিন গোয়েন্দা। সে কি মজা! উইন্ড-ওয়াটার-আর্থ-ফায়ার মিলে ক্যাপ্টেন প্লানেট - কি অসাধারণ কার্টুন। থান্ডারক্যাটস'ই বা বাদ দিব ক্যানো? লায়েনো, টাইগ্রা, প্যানথ্রা, চিতারা - সবাই মিলেই তো মামরা'কে মারত। বুড়া হওয়ার পর এখন দেখি এভেঞ্জার্স, ফ্যান্টাস্টিক ফোর, এক্স-ম্যান; সেইম ওল্ড ফর্মুলা। কিন্তু আগের মতই এনজয় করি। একেকজনের একেকরকম ক্ষমতা, সব একসাথে হলে বিশাল কিছু হবে - এমনি তো আসলে হওয়া উচিত, তাই না?
একটু বড় হলাম। সোলো সিঙ্গার'দের গান ভালো লাগলেও ব্যান্ড ফিলোসফির প্রেমে পরে গেলাম। আমি একা হয়ত কিছুই না, কিন্তু ৪ জন মিলে কি পারফরমেন্সটাই না দেখাতাম আমরা! শান্তনু যদি লিড না বাজাত, ঠাকুর আর ফাহিম যদি ব্যাস আর ড্রামস না বাজাত, আমি একা একা কি ঘোড়ার ডিম পারতাম? ডিপার্টমেন্ট'এর ক্রিকেট টিমের কথা বলি এবার। ঐপারে তারেক-আরজু-জাকি-সরোজরা ধরে খেলত বলেই তো আমি হাতখুলে মারতে পারতাম! কোনো ম্যাচে অল্প রানে অলআউট হয়ে গেলেও জানতাম, শাকিল-মাহী'দের বোলিং তো এখনো বাকি আছেই। বিশ্বাস - সৃষ্টিকর্তার অসাধারণ এক সৃষ্টি।
একা কিছু হয় না রে ভাই। ডাইনে-বামে মানুষ লাগে; হোচট খেলে যেন কেউ হাতটা বাড়িয়ে দিতে পারে। দুর্বল হয়ে পড়লে কেউ যেন কাঁধে হাত রেখে শক্তি দিতে পারে। বিশ্বাসই সব, বন্ধুত্বেই সব সমস্যার সমাধান লুকিয়ে আছে। একসাথে কিছু করার মজাই আলাদা। আপনি-আমি একা একা কিচ্ছু করতে পারব না এই দুখিনী দেশটার জন্যে; কিন্তু একসাথে হলে?... দেখেন না কি হয়!
দেখবেন নাকি ট্রাই করে একবার? দেশটা তো আমাদেরই, তাই না?
আমরাই তো বাংলাদেশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন