১।
ক্লাস ফাইভ কি সিক্স'এ থাকতে প্রথম কোলকাতা যাই। আম্মার সাথে নিউ মার্কেট যাব। ট্যাক্সি-ওয়ালা আম্মাকে বলে - কোন গেটে "নামবে" দিদি? "নামবে"???!!! তুই ব্যাটা ট্যাক্সিওয়ালা আমার আম্মারে তুমি-তুমি করে বলস ক্যান? বাচ্চা মানুষ, কিছু বললাম না, চুপ থাকলাম।
শাড়ির দোকানে গেলাম। দোকানদার বলে - এটা নতুন এসেচে দিদি। এটা নিয়ে "নাও"। "তোমাকে" বেশ মানাবে। ... আরে!!! কি যন্ত্রণা!!! এই ব্যাটাও দেখি আম্মাকে তুমি-তুমি করে বলে! বাচ্চা মানুষ, তাই এবারো চুপ করে থাকলাম। হোটেলে ফেরার পর আম্মা'কে বললাম, আম্মা, কোলকাতার মানুষগুলা সব এত বেয়াবদ ক্যান? মুরুব্বি'রে সম্মান দেখানোর কোনো বালাই নাই। তোমারে বলে "তুমি তুমি" করে!!!
আম্মা বুঝলো - বাবা, ওরা বেয়াদব না। ওরা আসলে অনেক "ফ্রেন্ডলি"!
২।
বড় হওয়ার পর আবার গেলাম কোলকাতায়। বড় মানে, বয়স যখন ৩০'এর মত, তখন; একটা অ্যাওয়ার্ড নিতে। যাওয়ার পর কলকতার বিজ্ঞাপনী সংস্থার কিছু "সদ্য তারুন্যে পৌঁছানো" মেয়ের সাথে খাতির হয়। আমি ঢাকা থেকে গেছি শুনে তাদের ম্যালা আগ্রহ। রাজীব'দা রাজীব'দা আজকে সন্ধ্যায় ফ্রি "আছ" তো? "তোমাকে" নিয়ে একটা জোশ রেস্টুরেন্টে যাব। তারপর "তোমাদের" ওখানকার গল্প শুনব।
দেশে ফিরে আমার মুখে এই গল্প শুনে বউ তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলো - "তুমি" মানে??? ওরা তোমাকে "তুমি তুমি" করে বলসে নাকি? মহা বেয়াদব তো ওখানকার মেয়েরা!
আমি বোঝালাম - আহা! বেয়াদব কেন হবে! ওরা আসলে একটু বেশি "ফ্রেন্ডলি"!
৩।
গ্রামীনফোনের ট্যাগলাইন ছিল "কাছে থাকুন"; বদলে হলো "চল বহুদূর"!
রবি বলত "জ্বলে উঠুন আপন শক্তিতে", তারপর হঠাত "ছোট্ট একটা কাজ, করে দেখাও আজ"!
প্রথম আলো - "বদলে যাও, বদলে দাও"!
আজ দেখলাম বাংলালিংক বলা শুরু করলো "নতুন কিছু করো"!
আপনি থেকে তুমি'তে নেমে এসে আমরা কিন্তু মোটেও বেয়াদব হয়ে যাচ্ছি না। আমরা আসলে "ফ্রেন্ডলি" হয়ে যাচ্ছি।
ভালো তো! ভালো না?
ক্লাস ফাইভ কি সিক্স'এ থাকতে প্রথম কোলকাতা যাই। আম্মার সাথে নিউ মার্কেট যাব। ট্যাক্সি-ওয়ালা আম্মাকে বলে - কোন গেটে "নামবে" দিদি? "নামবে"???!!! তুই ব্যাটা ট্যাক্সিওয়ালা আমার আম্মারে তুমি-তুমি করে বলস ক্যান? বাচ্চা মানুষ, কিছু বললাম না, চুপ থাকলাম।
শাড়ির দোকানে গেলাম। দোকানদার বলে - এটা নতুন এসেচে দিদি। এটা নিয়ে "নাও"। "তোমাকে" বেশ মানাবে। ... আরে!!! কি যন্ত্রণা!!! এই ব্যাটাও দেখি আম্মাকে তুমি-তুমি করে বলে! বাচ্চা মানুষ, তাই এবারো চুপ করে থাকলাম। হোটেলে ফেরার পর আম্মা'কে বললাম, আম্মা, কোলকাতার মানুষগুলা সব এত বেয়াবদ ক্যান? মুরুব্বি'রে সম্মান দেখানোর কোনো বালাই নাই। তোমারে বলে "তুমি তুমি" করে!!!
আম্মা বুঝলো - বাবা, ওরা বেয়াদব না। ওরা আসলে অনেক "ফ্রেন্ডলি"!
২।
বড় হওয়ার পর আবার গেলাম কোলকাতায়। বড় মানে, বয়স যখন ৩০'এর মত, তখন; একটা অ্যাওয়ার্ড নিতে। যাওয়ার পর কলকতার বিজ্ঞাপনী সংস্থার কিছু "সদ্য তারুন্যে পৌঁছানো" মেয়ের সাথে খাতির হয়। আমি ঢাকা থেকে গেছি শুনে তাদের ম্যালা আগ্রহ। রাজীব'দা রাজীব'দা আজকে সন্ধ্যায় ফ্রি "আছ" তো? "তোমাকে" নিয়ে একটা জোশ রেস্টুরেন্টে যাব। তারপর "তোমাদের" ওখানকার গল্প শুনব।
দেশে ফিরে আমার মুখে এই গল্প শুনে বউ তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলো - "তুমি" মানে??? ওরা তোমাকে "তুমি তুমি" করে বলসে নাকি? মহা বেয়াদব তো ওখানকার মেয়েরা!
আমি বোঝালাম - আহা! বেয়াদব কেন হবে! ওরা আসলে একটু বেশি "ফ্রেন্ডলি"!
৩।
গ্রামীনফোনের ট্যাগলাইন ছিল "কাছে থাকুন"; বদলে হলো "চল বহুদূর"!
রবি বলত "জ্বলে উঠুন আপন শক্তিতে", তারপর হঠাত "ছোট্ট একটা কাজ, করে দেখাও আজ"!
প্রথম আলো - "বদলে যাও, বদলে দাও"!
আজ দেখলাম বাংলালিংক বলা শুরু করলো "নতুন কিছু করো"!
আপনি থেকে তুমি'তে নেমে এসে আমরা কিন্তু মোটেও বেয়াদব হয়ে যাচ্ছি না। আমরা আসলে "ফ্রেন্ডলি" হয়ে যাচ্ছি।
ভালো তো! ভালো না?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন