শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৩

পাছু

বাংলাদেশের খেলার ফাঁকে ফাঁকে একটা বিজ্ঞাপন দেখায়। এক ছেলে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে পাশের বাসার জানালার কাঁচ ভেঙ্গে ফেলে। আঙ্কেল স্কেল নিয়ে এসে হাত পাততে বললে ছেলেটা এক হাতের বদলে দুই হাত বাড়িয়ে দেয়; তারপর "কনফিডেন্টলি" আঙ্কেলকে ফাপড় দেয়। আঙ্কেল ফাপড় খেয়ে খুশি হয়ে যায় (!!!) এবং ছেলেটিকে বল ফেরত দিয়ে দেয়। গুনী ছেলে কলার উঁচিয়ে আবার খেলতে চলে যায়। 

এইবার এই গল্পের ল্যাবরেটরিয়ান ভার্সনটা শোনেন। (আমার মনে হয় সরকারী বাংলা মেডিয়াম যেকোনো স্কুলের স্টুডেন্টদের জন্যই এই ভার্সনটা কমন পড়তে পারে)

ক্লাস নাইন'এর রাজীব ক্রিকেট খেলতে গিয়ে ক্লাসরুমের জানালার কাঁচ ভেঙ্গে ফেলে। খায়ের স্যার/আনোয়ারুল করিম স্যার/মহসীন স্যার/জ্বিনের বাদশাহ স্যার/(ইন ফ্যাক্ট যে কোনো স্যার) বেত নিয়ে এসে হাত পাততে বললে রাজীব এক হাতের বদলে দুই হাত বাড়িয়ে দেয়; তারপর "কনফিডেন্টলি" স্যার'কে বলে "মারলে এক হাতে কেন? দুই হাতেই মারুন স্যার। কারণ পরের বল'টাও ছক্কাই হবে।" 

রাজীব স্কুল শেষে বাসায় ফিরল; হাতে কোনো বেতের বাড়ির চিহ্ন নাই, গালেও নাই চটকানার দাগ। বেচারা শুধু ৭ দিন চেয়ারে (গদি-ওয়ালা এবং গদি-ছাড়া, বোথ) বসতে পারলো না। 

ভাগ্যিস স্যার, আপনারা ছিলেন। পাছু লাল করে হলেও, আমাদের মত বেয়াড়াগুলিকে ঠিকই মানুষ বানিয়ে ছেড়েছেন। 

তুই আবার মাইন্ড করিস না ভাই। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন