রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৪

সব কবিতার রং যদি হয় কালো,

সব কবিতার রং যদি হয় কালো,
কবি'র তবে নীরব থাকাই ভালো ...

August 4, 2014

ভিতু, দুর্বল, কাপুরুষ যা বলবেন, আমি সেটাই।

নিউজফীডে কিছুক্ষণ পরপরই একটা লঞ্চডুবির ভিডিও শেয়ার হতে দেখছি। ওটাতে ক্লিক করার সাহস হয়নি আমার।

আমি দুর্বলচিত্বের মানুষ; চোখের সামনে মানুষের মৃত্যু সহ্য করতে পারি না। বিশ্বজিতের কুপিয়ে মারার ভিডিও দেখতে পারিনি, রানা প্লাজার তলা থেকে যখন মৃত-অর্ধমৃত শরীরগুলোকে টেনে বের করা হচ্ছিল, তখনও চোখ বুজে ছিলাম।
শপার্স ওয়ার্ল্ড'এর সামনে এক নেতাকে গুলি করে মেরে ফেলল - না বুঝে ওই ভিডিওটা দেখে ফেলেছিলাম। তারপর কয়েক রাত ঘুমাতে পারিনি।

একটা মানুষ এক মুহূর্ত আগে বেঁচে ছিল, এক মুহূর্ত পরেই সে নাই - একটা ভিডিওর মধ্যেই জীবন-মরণের মাখামাখি - আমি নিতে পারি না। ভিতু, দুর্বল, কাপুরুষ যা বলবেন, আমি সেটাই।

হঠাৎ ফেইসবুকের উপর প্রচণ্ড রাগ হল। স্মার্টফোনের উপরও। আগে যখন এসব ছিল না, তখন তো এমন সব ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখতে হত না। পেপারে পড়তাম "চাঁদপুরে লঞ্চডুবি, নিহত শতাধিক" বা "বন্দুকযুদ্ধে ছাত্রনেতা নিহত" - যেহেতু পরিচিত কেউ মরে নাই, তাই খুব একটা গায়ে লাগতো না। সত্যি বললাম।

হঠাৎই আবার রাগটা চলে গেল। রাগটা অন্যদিকে ট্রান্সফার হয়ে গেল।

এই লঞ্চডুবির ভিডিওটা কি মাননীয় নৌপরিবহন মন্ত্রী দেখেছেন? বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান মহোদয় দেখেছেন? যাদের অনুমতিতে বা অবহেলায় ১৫০ জন ক্যাপাসিটির লঞ্চে ৩৫০ জন ওঠানো হয়েছিল - ভিডিওটি কি তারা দেখেছেন?

দেখার পর তারা কি করেছেন? তাদের কি কষ্ট হয়েছিল? নিজেদের প্রতি কি তাদের ঘৃণা জন্মেছিল। হাতের তালুতে কি তারা ওই মরে যাওয়া মানুষগুলির রক্ত দেখতে পেয়েছিল?

নাকি গায়েই লাগেনি কিছু! নাকি উনারা 'আল্লাহ্‌র মাল আল্লাহ্‌ নিয়ে গেছে' - এই যুক্তিতে ২ রাকাত নফল নামাজ পড়ে, মৃতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেই দায়িত্ব শেষ করে দিয়েছেন?

আমি চাই ভিডিওটা আপনারা বারবার দেখুন। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখুন। অনেক বেশি বেশি কষ্ট পান। অপরাধবোধে নিদ্রাহীন রাত কাটান। তারপর আপনাদের দায়িত্বটা ঠিকমত উপলব্ধি করুন। আপনাদের ঠিক আর ভুলে, আপনাদের দায়িত্ব পালনে আর দায়িত্বহীনতায় মানুষের জীবন আর মৃত্যুর সিদ্ধান্ত হয়।

আমি আপনাদের পদত্যাগ চাই না। আমি জানি, এদেশে এসব হয় না।

আমি চাই, আপনারা দয়া করে সচেতন হন, দায়িত্ববান হন, বিবেকবাক হন।

আমি চাই, আপনারা মানুষ হন।

August 4, 2014

পূর্ণযৌবনা মাল্টা

যখন ছোট ছিলাম, ড্রইং রুমে সাজিয়ে রাখার জন্য মেলা থেকে মাটির ফল কিনে নিয়ে আসা হল। কমলা, ডালিম, আম, কলা, আপেল।

মাসের পর মাস, বছরের পর বছর যায় - মাটির ফলগুলির কোন চেঞ্জ হয় না। পচেও না, নষ্ট'ও হয় না, পোকায়ও ধরে না।

ওদিকে গাছ থেকে পেয়ারা পেড়ে নিয়ে আসলে একদিন পরই কচকচে সবুজ পেয়ারা প্যাতপ্যাতে হলুদ হয়ে যায়।

দেশের বাড়ি থেকে লিচু পাঠানোর ২/৩ দিনের মধ্যেই সব খেয়ে শেষ করে ফেলতে হয়; নাহলে লিচু পচে বিস্বাদ হয়ে যায়। বাজার থেকে আনা কাঁঠাল একদিন রেখে দিলেই বিচি থেকে গাছ গজানো শুরু করে। - কি অন্যায়! কি অন্যায়!

তখন শঙ্কু পড়ি, সেবা প্রকাশনীর সায়েন্স ফিকশন পড়ি। কত মজার মজার বিজ্ঞানের আবিষ্কারের গল্প পড়ি। আর মনে মনে লিস্ট করি, বড় হয়ে কি কি জিনিস আবিষ্কার করবো।

সেই লিস্টের প্রথম দিকেই ছিল, একদিন এমন সিস্টেম আবিষ্কার করবো, যাতে করে দিনের পর দিন ফল রেখে দেয়া যাবে। পচবে না, নষ্ট হবে না, পোকায় ধরবে না।

বড় তো হলাম। কিন্তু আমার কিছুই করা লাগল না।

আল্লাহ্‌র অশেষ "রহমতে" এবং "মানুষের" নিরন্তর অধ্যাবসায়ে কিছু বাঙ্গালী আজ আবিষ্কার করে ফেলেছে ফরমালিনের অবিশ্বাস্য ব্যবহার। ঈদের পরদিন আব্বার জন্য কিনে আনা মাল্টা (নাকি বলা উচিত "মাল"টা?) আজও তরতাজা, ফ্রেশ, টসটসে - পূর্ণযৌবনা!

পচেনি! নষ্ট হয়নি!! পোকায়ও ধরেনি!!!

ফরমালিন দীর্ঘজীবী হোক।

ফল-ফ্রুট দীর্ঘজীবী হোক।

ফরমালিন-যুক্ত ফল-ফ্রুট-মুক্ত থেকে আমরাও দীর্ঘজীবী হই। নাকি?

August 18, 2014
হয়ত ব্যাপারটা এমন হবে অনেক অনেক দিন পর ... 

দাদী একহাতে একটা আপেল নিয়ে ফোকলা হাসি হাসতে হাসতে নাতি-পুতি'দের গল্প শোনাবেন - "বুঝলি রে, এই আপেলের বয়স কিন্তু আমার থেকেও বেশি। আমার শ্বশুর যেদিন প্রথমবার আমারে দেখতে আসছিল, সেই দিন তিনি
এই আপেল সাথে নিয়া আসছিল। তারপর ... কতজন কত চেষ্টা করল। কিন্তু এই আপেলরে পচাইতে পারেনাই, পোকা ধরাইতেও পারেনাই তোর বাবা ... তার বাবা ... তার বাবা ... " 

----------
যতবার ডাইনিং টেবিলের উপর অমর মাল্টা'টা দেখি, ততবার মগজের মধ্যে ফরমালিন নাড়াচাড়া দিয়ে ওঠে। হে খোদা, তুমি আমাদের রক্ষা কর।

August 18, 2014

রেডিও ফুর্তির প্রশংসা

বেশ কয়েকমাস আগে একটা লেখায় এফএম স্টেশনের একটা প্রোগ্রাম নিয়ে কিছু কথা লিখেছিলাম। রেডিও ফুর্তির একটা প্রোগ্রামটা, যাতে পরপর ৩টা দারুণ গান শোনানো হয়।

বেশ কিছুদিন প্রোগ্রামটা ফলো করে বুঝতে পেরেছিলাম - গান ৩টার একটা বাংলা, একটা ইংলিশ আর একটা হিন্দি। বাংলা আর ইংলিশের সাথে হিন্দির সমবণ্টন দেখে আমার বেশ গাত্রদাহ হয়েছিল। শুধুমাত্র সে কারণেই লেখাটা লিখেছিলাম। কারো প্রতি ব্যক্তিগত কোন আক্রোশ থেকে নয়. 

তারপরও, লেখাটি পোস্ট করার কারণে বেশ কিছু কাছের মানুষ আমাকে ভুল বোঝে। এই কাছের মানুষগুলির সবাইই কোন না কোনভাবে ওই চ্যানেল অথবা প্রোগ্রামটির স্পন্সর অথবা স্পন্সর কোম্পানির অ্যাড এজেন্সির মানুষ। কিছুটা কষ্ট পেলেও আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছিলাম আমার নিজের অবস্থানটা পরিষ্কার করতে। পুরোপুরি কাজ হয়েছিল কিনা জানি না; কিন্তু যেহেতু মানুষগুলি পছন্দের চরিত্র, তাই মন থেকেই চেষ্টা করেছিলাম।

অবাক ব্যাপার হল, অনেকের কাছ থেকেই এরপর আমি "অ্যান্টি-এফএম" ট্যাগ খেয়ে যাই।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সকালে অফিসে আসার সময় আমি এই প্রোগ্রামটা আবার শুনছি। এবং মনোযোগ দিয়ে ফলো করছি। এখনো সেখানে পরপর ৩টা দারুণ গান শোনানো হয়। প্রোগ্রামটার পলিসি চেঞ্জ হয়েছে কিনা জানি না, কিন্তু যতবারই শুনেছি, প্রতিবারই তিনটার মধ্যে দুইটা বাংলা আরেকটা ইংলিশ গান পেয়েছি।

প্লিজ, আবারও ভুল বুঝবেন না। কোনভাবেই এই পরিবর্তনের জন্য আমি নিজেকে ক্রেডিট দিচ্ছি না। অবশ্যই আপনারা সব কিছু বিবেচনা করে এই নতুন ফরম্যাট বেছে নিয়েছেন; যা শ্রোতা হিসেবে আমার ভাল লেগেছে।

আমার পছন্দের সাথে বাকি সবার পছন্দ মিলতে হবে এমন কোন কথা নাই। কিন্তু যেহেতু এই দুইটা বাংলা আর একটা ইংলিশ/হিন্দি/আরবি/ফ্রেঞ্চ/পারসি/মঙ্গোলিয়ান/ব্লা-ব্লা ফরম্যাট আমার পছন্দ হয়েছে, তাই সবাইকে ধন্যবাদ দিতেই এই লেখাটি পোস্ট করা।

সমালোচনা করতে আমরা বড়ই পটু। প্রশংসা করতেই কেন যেন আমাদের যাবতীয় কিপ্তামি। আজকে নাহয় কিপ্তামিটা না'ই করলাম।

August 19, 2014

বউ এবং মেসেজ চেক

কালো বউ, সাদা বউ, শ্যামলা বউ ...
গারিওয়ালা বউ, সিএনজি ওয়ালা বউ, রিকশাওয়ালা বউ ...
বউ উইথ স্মার্টফোন, বউ উইথ আনস্মার্ট ফোন, বউ উইথ নো-ফোন ...
বউ উইথ ল্যাপটপ, বউ উইথ ডেস্কটপ, বউ উইথ অর উইদাউট এনি সর্ট অফ টপ ...
লাভ ম্যারেজ বউ, আরেঞ্জ ম্যারেজ বউ ...
১৫ বছরের পুরানো বউ, গতকাল বিয়ে হওয়া নতুন বউ ...
বন্ধু-বন্ধু বউ, শত্রু-শত্রু বউ ...
পুতুপুতু বউ, খাণ্ডারনি বউ ...
মিউমিউ বউ, ঘাউঘাউ বউ ...
জিন্স-টপস বউ, শাড়ি-কামিজ বউ, হিজাব বউ ...
সমঝদার বউ, অবুঝ বউ ...
ঘরকুনো লক্ষ্মী বউ, উড়ুউড়ু পক্ষী বউ ...
----
----
----
আমার বউ ...
তোমার বউ ...
আপনার বউ ...
----
----
----
বউ যেমনই হোক না কেন; এ'যুগের বউ'দের একটা অভ্যাস কমন। জামাইয়ের গোচরে বা অগোচরে, তাদের মোবাইল ফোন, ফেইসবুক, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ'এর মেসেজ চেক করতে তারা বড়ই এক্সপার্ট।

* এইটা কিন্তু আমার কথা না। আমার এক দুষ্টু বন্ধুর কথা। নিরাপত্তাজনিত কারণে "তার" নামটা এখানে দেয়া গেল না। এই পোস্টের যাবতীয় বউ-ক্যারেক্টার নাকি তার বন্ধু-বান্ধব এবং পরিচিত-পরিজনদের মাঝ থেকে বেছে নেয়া। ...
মা গো! মানুষের বউ এমন ভয়ংকর হয় নাকি!!! শোনেন সবাই, এদের কারো সাথে কিন্তু আমার বউ'এর কোন মিলই নাই। ঠিক না পূনম?

ধুম্রপান

একজন স্মোকারের গল্প বলি।
শুরুতেই বলে নেই, গল্পটা বেশ বোরিং। যারা কোন মুখরোচক গল্প খুঁজছেন, তাদের কাছে এখনি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
যাই হোক, গল্প শুরু করি।
-----
লোকটা মোটামুটি ভালই ধুম্রপান করতেন। একদম চেইন স্মোকার বলা না গেলেও দিনে এক প্যাকেট বা তিন দিনে দুই প্যাকেট তার রেগুলার কনজাম্পশন ছিল।
খুব স্বাভাবিক কারণেই লোকটার বউ তাকে যথেষ্ট প্যারা দিত সিগারেট ছেড়ে দেয়ার জন্য। এবং ভদ্রলোক "অমুক ঝামেলাটা মিটে গেলেই ছেড়ে দিব", "তমুক কাজটা হয়ে গেলেই ছেড়ে দিব" ইত্যাদি অজুহাতে বউ'কে ভুংভাং বুঝিয়ে রাখতেন। একসময় ভদ্রলোকের বউ প্রেগন্যান্ট হল এবং সে লোকটাকে প্রতিজ্ঞা করাল যে, সন্তান ভূমিষ্ঠ হবার আগে তাকে অবশ্যই সিগারেট খাওয়া ত্যাগ করতে হবে।
ভদ্রলোক প্রমিস করলেন।
তাদের ঘর আলো করে ফুটফুটে এক মেয়ে আসল। এবং ...
তিনি সিগারেট খাওয়া চালিয়েই যেতে থাকলেন। খোঁড়া যুক্তি দাঁড় করালেন - "মেয়ে যখন থেকে বুঝতে শিখবে, তার আগেই ধূমপান ছেড়ে দিব। প্রমিস।"
ছোট্ট মেয়ে অবাক চোখে দেখলো তার খুব ভাল বাবা'টার মুখ দিয়ে মাঝেমাঝেই পচা গন্ধওয়ালা ধোঁয়া বের হয়।
ভদ্রলোক তার মেয়ের অবাক চোখের সাথে চোখ মিলিয়ে তাকানো ছেড়ে দিলেন।
তবু সিগারেট খাওয়া ছাড়লেন না।
একদিন লোকটার ভীষণ বুক ব্যাথা হল। সাথে সাথে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল। এমারজেন্সি'তে। ডাক্তাররা ইমেডিয়েটলি তাকে আইসিইউ'তে ট্রান্সফার করলো। লোকটার বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন, তিন বছরের মেয়ে - সবাই খুব ভয় পেয়ে গেল। এনজিওগ্রাম করা হল। তারপর, নানারকম যন্ত্রপাতি আর ওষুধপত্র দিয়ে তাকে বাঁচিয়ে ফেরানো গেল। ডাক্তাররা সবার সামনে তাকে প্রমিস করালেন, যেন জীবনে কোনদিন আর সে সিগারেট না খায়।
ভদ্রলোক তার মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে ছলছল চোখে প্রতিজ্ঞা করলেন - জীবনে আর কোনদিন সিগারেট খাবেন না।
তিনি সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিলেন। তারপর ...
তিন মাস সতেরো দিনের মাথায় তিনি আবার সিগারেট খাওয়া শুরু করলেন।
ভদ্রলোকের বউ হাল ছেড়ে দিল। জানেই যখন বলে কোন লাভ হবে না, তাহলে খামাখা সময় নষ্ট করা কেন!
তারপর একদিন সত্যি সত্যি তিনি সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিলেন।
-----
নিশ্চয়ই ভাবছেন, এমন একজন ধূমপায়ী লোকের সিগারেট ছাড়ার পিছনে নিশ্চয়ই চরম নাটকীয় কোন গল্প আছে। আসলে, তেমন কোন চটকদার গল্প নাই বলেই প্রথমে এটাকে একটা বোরিং গল্প হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নিয়েছি।
ভদ্রলোকের একদিন হঠাৎ করেই মনে হল যে - আচ্ছা, সিগারেট না খেলে কি হয়? দেখি তো ট্রাই করে।
এই করে করে ৭ দিন গেল, এক মাস গেল, দুই মাস গেল। দেখতে দেখে আড়াই বছর পার হয়ে গেল। লোকটা একটা সিগারেটও খেলেন না।
এর মধ্যে তাদের দ্বিতীয় সন্তান ঘরে এলো - এবার ছেলে সন্তান। ছেলে জন্মের পর থেকেই পেল একজন ধোঁয়াবিহীন বাবা। লোকটার মা মারা যাওয়ার আগে দেখে গেলেন তার ছেলে আর সিগারেট খায়না। মেয়ে তার শিশুকালে দেখা ধোঁয়া-মুখো বাবার কথা ভুলে গেল। বাচ্চাদের মা'ও তার সেই রাগ, অভিমান ভুলে গেল।
তারা সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে লাগল।
-----
লোকটার বউ অনুরোধ করলো, সে যে তার সিগারেট ছেড়ে দেয়ার গল্পটা সবাইকে জানায়। লোকটা বলল - এই বোরিং গল্প মানুষ কেন শুনবে! অ্যাটলিস্ট একটা পরকীয়া, একটা আদার ওম্যান বা একটা বড়সড় রকমের ধরা থাকলেও না গল্পের শেষটা জমত। কোন চার্ম নাই, উত্তেজনা নাই - একটা রাফ-অ্যান্ড-টাফ স্মোকারের সিগারেট ছেড়ে দেয়ার গল্পটা এমন ম্যাড়ম্যাড়ে হলে কি মানায়?
বউ বলল, সিগারেট ছেড়ে দেয়ার গল্পটা হয়তো রংহীন; কিন্তু সিগারেট ছেড়ে দেয়ার পরের জীবনটা যে কতরকম রঙে ভরপুর - এটা জানলে নাকি অনেকেরই ভাল লাগবে।
লোকটা বউয়ের কথামতো গল্পটা লিখে ফেলল। আমি তার হয়ে গল্পটা আপনাদের জানিয়ে দিলাম।

August 25, 2014

আঁখি আলমগীর আর রবি চৌধুরী

একটা টিভি প্রোগ্রামে দেখলাম আঁখি আলমগীর আর রবি চৌধুরীর সাক্ষাতকার দেখাচ্ছে।
উপস্থাপিকা প্রশ্ন করলেন, "তো রবি'দা, আপনার নেক্সট প্রজেক্ট সম্পর্কে কিছু বলুন।"
রবি'দা বললেন, "আমি একটা গযল'এর অ্যালবাম নিয়ে কাজ করছি। আমরা তো দেশে-বিদেশে অনেক জায়গায় শো করি, নানা রকম অনুরোধ আসে। তাই ভাবলাম নিজের কিছু গযল থাকলে খারাপ হয়না।"
আঁখি আলমগীর তার সাথে যোগ করলেন, "একদম ঠিক বলেছেন। যেখানেই যাই, হিন্দি গান গাওয়ার রিকোয়েস্ট আসে। আরে, অন্যের গাওয়া হিন্দি গান গাওয়ার চেয়ে নিজের হিন্দি গান গাওয়াই তো ভাল, তাই না? হা হা হা, হি হি হি।"
প্রথমে ভাবলাম, তিনি বোধহয় শ্রোতাদেরকে তাদের হিন্দিপ্রিতির জন্য সূক্ষ্ম খোঁচা দিলেন। কিন্তু না। পরক্ষনেই ভুল ভাঙল । ভদ্রমহিলা আসলেই ব্যাপারটাকে বেশ সিরিয়াসলি নিয়েছেন! তার একটা হিট গানের কথায় নাকি "জোর কা ঝাটকা", "বাবুজি রে" ইত্যাদি হিন্দি শব্দের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
আল্লাহ্‌র অশেষ রহমত, এই ভয়ঙ্কর বুদ্ধিটাকে এখনো পর্যন্ত আমাদের অন্যান্য শিল্পীরা তাদের মাথায় ঢুকতে দেন নাই।
এই বুদ্ধিতে সবার আঁখি যদি খুলে যায় ... সবার গানে যদি বাবুজি এসে ঝাটকা লাগানো শুরু করে ... হামলোগ তো বরবাদ হো জাইঙ্গা রে। বিলকুল বরবাদ হো জাইঙ্গা!!!

August 27, 2014