সারাদিনের কাজের পর এমনিতেই টায়ার্ড ছিলাম। রাতে ছিল চ্যাম্পিয়নস লীগের খেলা। দেখে ঘুমাতে ঘুমাতে ৪টা বাজলো।
সকালে বন্ধু-বান্ধব-বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে সিলেট যাব। বেড়াতে।
ঘড়িতে অ্যালার্ম দেয়া ছিল ভোর সাড়ে ৫টায়। অ্যালার্ম'এর আওয়াজ যদি না শুনি ... ঘুম যদি টাইমমত না ভাঙ্গে ... এই টেনশনে ঘুম হয় নাই এক ফোটাও।
ঠিক ৬টায় বাসা থেকে রওনা হলাম। বারিধারায় ইফতেখারের বাসায় গাড়ি রেখে ওর মাইক্রোবাস নিয়ে রওনা দিলাম দুই ফ্যামিলির ৪+৪=৮ জন।
দুই বন্ধু পালাক্রমে গাড়ি চালিয়ে সিলেট পৌছলাম ১টার দিকে।
......
এতকিছু কেন বললাম জানেন? এত বর্ণনা দেয়ার উদ্দেশ্য একটাই, আমি কতটা টায়ার্ড ছিলাম সেটা বোঝানো।
......
১. পোলাও
২. চিকেন ফ্রাই
৩. গরুর কালা ভুনা
৪. চিংড়ির মালাইকারি
৫. চিতল মাছের কোফতা
৬. রুই মাছ ভাজা
৭. মুরগির রোস্ট
৮. বেগুন ভাজা
৯. সালাদ
সাথে প্রায় বরফ হয়ে যাওয়া চিল্ড কোক। আর খাওয়া শেষে ঠান্ডা দই, রসমালাই আর রসে ডুবানো রসগোল্লা।
সিলেটে আমার ছোটবেলার বন্ধু সালেহ'র বাসায় যখন পৌছলাম, তখন ডাইনিং টেবিলে এগুলোই সাজানো ছিল।
..............
এই বর্ণনাটা কেন দিলাম জানেন? কারণ, এই বর্ণনাটা না দিলে আপনারা বুঝতে পারবেন না, অমন টায়ার্ড শরীরে এই আইটেমগুলো পেটস্থ করার পর যে ভুড়ি-কাঁপানো ঘুমটা আমি আর আমার বন্ধু ইফতেখার দিয়েছিলাম, সেটা কতটা অমুল্য।
..............
এইবার গল্পের ক্লাইমেক্সে আসি।
আমরা দুই বন্ধু ভুড়ি কাঁপিয়ে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছি।
আমার ফোন বাজা শুরু করলো। আমি ঘুমের মধ্যে হাত দিয়ে ফোন সাইলেন্ট করলাম।
আমি আবার ঘুমিয়ে গেলাম।
কিছুক্ষণ পর ফোন আবার ঘোঁত-ঘোঁত শব্দে কাঁপতে থাকলো। আমি লাইন কেটে দিলাম।
কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে আবার শুরু হলো ঘোঁতঘোঁতানি।
ভাবলাম, হয়ত জরুরি কাজে কেউ ফোন করেছে। ফোনটা ধরলাম।
..........
"আপনি কি রাজীব হাসান চৌধুরী স্যার বলছেন?"
"হু"
"স্যার, আপনি ভালো আছেন?"
"হু। কে ভাই?:
"স্যার, আমি পূর্বাচল ****সিটি থেকে বলছি। আপনার সাথে আমাদের নতুন প্রজেক্ট নিয়ে একটু কথা বলতে চাই .... "
---------
আমি যদি এই লোককে বা ওই কোম্পানির মালিককে গুম বা খুন করে ফেলি, সেটা কি কোনো অন্যায় হবে?
বলেন? বলেন? বলেন?
*** এরা কোত্থেকে আমাদের ফোন নাম্বার পায়? এইসব কল কোনভাবে ব্লক করা যায় না? এদের নামে কেইস করা যায় না? এদেরকে মেরে জিন্দাপুইত্তালানো যায় না?
সকালে বন্ধু-বান্ধব-বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে সিলেট যাব। বেড়াতে।
ঘড়িতে অ্যালার্ম দেয়া ছিল ভোর সাড়ে ৫টায়। অ্যালার্ম'এর আওয়াজ যদি না শুনি ... ঘুম যদি টাইমমত না ভাঙ্গে ... এই টেনশনে ঘুম হয় নাই এক ফোটাও।
ঠিক ৬টায় বাসা থেকে রওনা হলাম। বারিধারায় ইফতেখারের বাসায় গাড়ি রেখে ওর মাইক্রোবাস নিয়ে রওনা দিলাম দুই ফ্যামিলির ৪+৪=৮ জন।
দুই বন্ধু পালাক্রমে গাড়ি চালিয়ে সিলেট পৌছলাম ১টার দিকে।
......
এতকিছু কেন বললাম জানেন? এত বর্ণনা দেয়ার উদ্দেশ্য একটাই, আমি কতটা টায়ার্ড ছিলাম সেটা বোঝানো।
......
১. পোলাও
২. চিকেন ফ্রাই
৩. গরুর কালা ভুনা
৪. চিংড়ির মালাইকারি
৫. চিতল মাছের কোফতা
৬. রুই মাছ ভাজা
৭. মুরগির রোস্ট
৮. বেগুন ভাজা
৯. সালাদ
সাথে প্রায় বরফ হয়ে যাওয়া চিল্ড কোক। আর খাওয়া শেষে ঠান্ডা দই, রসমালাই আর রসে ডুবানো রসগোল্লা।
সিলেটে আমার ছোটবেলার বন্ধু সালেহ'র বাসায় যখন পৌছলাম, তখন ডাইনিং টেবিলে এগুলোই সাজানো ছিল।
..............
এই বর্ণনাটা কেন দিলাম জানেন? কারণ, এই বর্ণনাটা না দিলে আপনারা বুঝতে পারবেন না, অমন টায়ার্ড শরীরে এই আইটেমগুলো পেটস্থ করার পর যে ভুড়ি-কাঁপানো ঘুমটা আমি আর আমার বন্ধু ইফতেখার দিয়েছিলাম, সেটা কতটা অমুল্য।
..............
এইবার গল্পের ক্লাইমেক্সে আসি।
আমরা দুই বন্ধু ভুড়ি কাঁপিয়ে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছি।
আমার ফোন বাজা শুরু করলো। আমি ঘুমের মধ্যে হাত দিয়ে ফোন সাইলেন্ট করলাম।
আমি আবার ঘুমিয়ে গেলাম।
কিছুক্ষণ পর ফোন আবার ঘোঁত-ঘোঁত শব্দে কাঁপতে থাকলো। আমি লাইন কেটে দিলাম।
কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে আবার শুরু হলো ঘোঁতঘোঁতানি।
ভাবলাম, হয়ত জরুরি কাজে কেউ ফোন করেছে। ফোনটা ধরলাম।
..........
"আপনি কি রাজীব হাসান চৌধুরী স্যার বলছেন?"
"হু"
"স্যার, আপনি ভালো আছেন?"
"হু। কে ভাই?:
"স্যার, আমি পূর্বাচল ****সিটি থেকে বলছি। আপনার সাথে আমাদের নতুন প্রজেক্ট নিয়ে একটু কথা বলতে চাই .... "
---------
আমি যদি এই লোককে বা ওই কোম্পানির মালিককে গুম বা খুন করে ফেলি, সেটা কি কোনো অন্যায় হবে?
বলেন? বলেন? বলেন?
*** এরা কোত্থেকে আমাদের ফোন নাম্বার পায়? এইসব কল কোনভাবে ব্লক করা যায় না? এদের নামে কেইস করা যায় না? এদেরকে মেরে জিন্দাপুইত্তালানো যায় না?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন