সোমবার, ২৬ মে, ২০১৪

আমার মেয়ের সুউচ্চ বিচার

আমার মেয়ে আর তার মা'এর কথোপকথন:

মেয়ে: মা। বাবাকে প্রতিদন অফিস যেতে হয় কেন? 

মা: মামনি, বেচে থাকার জন্য টাকা দরকার।  আর, বাবা অফিস না গেলে টাকা আসবে কিভাবে? 

মেয়ে: টাকা আনতে অফিসে যাওয়া লাগবে কেন? টাকা তো ব্যাংক থেকেই পাওয়া যায়।  

মা: তা যায়। কিন্তু তার আগে ব্যাংকে টাকা রেখে আসতে হয় রে মা। বাবা অফিস না গেলে সেই টাকাটা আসবে কোত্থেকে? 

মেয়ে: কেন? নানা ব্যাংকে টাকা রেখে আসবে। যখন দরকার, বাবা ব্যাংকে গিয়ে টাকা তুলে নিয়ে আসবে।  



......


আহা, আহা, কি সুউচ্চ বিচার আমার ৯ বছরের মেয়ের! এমন মেয়ে থাকলে আর কি লাগে বলেন? 

দুঃখ হলো, এই সুন্দর হিসাবটা আমার এতটুকু মেয়ের মাথায় ঢুকলেও, তার মা আর নানার মাথায় কেন যেন ঢোকে না :( 



.....

*** ইয়ে ... মানে ... মেয়ের বিয়ের বয়স হওয়ার আগেই এসব ক্রিয়েটিভ বুদ্ধি তার মাথা থেকে বিদায় নিলেই বাঁচি। 

রবিবার, ২৫ মে, ২০১৪

জন্মদিনে

হ্যালো পার্টনার 

যদি, আপনার জন্মলগ্ন থেকে আমাদের পরিচয় হওয়ার মাহেন্দ্রক্ষণের মধ্যবর্তী সময়টা যদি X বছর হয়; 

আর, সেই পরিচয়ের মুহূর্ত থেকে আজকের দিন পর্যন্ত সময়টা যদি Y বছর হয়, 

তবে, 

আজ, X এবং Y সমান হয়ে গেছে।  

মানে হলো, আপনার জীবনের অর্ধেকটা সময় ধরে আপনি আমাকে চেনেন। 

এবং, কালকে থেকে কনফিডেন্টলি বলতে পারব "আপনার জীবনের অর্ধেকের বেশি সময় ধরে আপনি আমার কলিজাটা মনের আনন্দে চাবায়ে চাবায়ে খাচ্ছেন।"

যাই হউক,

হে প্রাণপ্রিয় বউ, আজ, আপনার জন্মদিনে আমার অন্তরভরা ভালবাসা গ্রহণ করুন।  

এভাবেই ধীরে ধীরে X থেকে Y বড় থেকে বড়তর হতে থাকুক। আপনার সাথে এক ছাদের নিচে থেকে আমি বুড়া থেকে বুড়াতর হতে থাকি, আপনিও বুড়ি থেকে বুড়িতর হতে থাকুন।  

আমিন।  

শনিবার, ২৪ মে, ২০১৪

এএফফফ

আমার আর আমার মেয়ের নতুন প্রজেক্ট - জীয়নকে এবিসিডি শেখানো। 

কাল রাতে "এ" থেকে "এফ" পর্যন্ত শিখাতে পেরেছি।  

আজ সকালে শুনি বাথরুমের ভিতর মা-ছেলের যুদ্ধ চলছে। মা ছেলের ব্রাশে পেস্ট লাগিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।  

যতবারই সে বলছে - "জীয়ন, ইইই ...." ...

ততবারই জীয়ন মহানন্দে চিত্কার করে উঠছে - "এএফফফ" 

মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০১৪

এরা কোত্থেকে আমাদের ফোন নাম্বার পায়?

সারাদিনের কাজের পর এমনিতেই টায়ার্ড ছিলাম। রাতে ছিল চ্যাম্পিয়নস লীগের খেলা। দেখে ঘুমাতে ঘুমাতে ৪টা বাজলো। 

সকালে বন্ধু-বান্ধব-বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে সিলেট যাব। বেড়াতে। 

ঘড়িতে অ্যালার্ম দেয়া ছিল ভোর সাড়ে ৫টায়। অ্যালার্ম'এর আওয়াজ যদি না শুনি ... ঘুম যদি টাইমমত না ভাঙ্গে  ... এই টেনশনে ঘুম হয় নাই এক ফোটাও। 

ঠিক ৬টায় বাসা থেকে রওনা হলাম। বারিধারায় ইফতেখারের বাসায় গাড়ি রেখে ওর মাইক্রোবাস নিয়ে রওনা দিলাম দুই ফ্যামিলির ৪+৪=৮ জন। 

দুই বন্ধু পালাক্রমে গাড়ি চালিয়ে সিলেট পৌছলাম ১টার দিকে।  

......

এতকিছু কেন বললাম জানেন? এত বর্ণনা দেয়ার উদ্দেশ্য একটাই, আমি কতটা টায়ার্ড ছিলাম সেটা বোঝানো।  

......

১. পোলাও 
২. চিকেন ফ্রাই 
৩. গরুর কালা ভুনা 
৪. চিংড়ির মালাইকারি  
৫. চিতল মাছের কোফতা 
৬. রুই মাছ ভাজা 
৭. মুরগির রোস্ট 
৮. বেগুন ভাজা 
৯. সালাদ 

সাথে প্রায় বরফ হয়ে যাওয়া চিল্ড কোক।  আর খাওয়া শেষে ঠান্ডা দই, রসমালাই আর রসে ডুবানো রসগোল্লা। 

সিলেটে আমার ছোটবেলার বন্ধু সালেহ'র বাসায় যখন পৌছলাম, তখন ডাইনিং টেবিলে এগুলোই সাজানো ছিল। 

..............

এই বর্ণনাটা কেন দিলাম জানেন? কারণ, এই বর্ণনাটা না দিলে আপনারা বুঝতে পারবেন না, অমন টায়ার্ড শরীরে এই আইটেমগুলো পেটস্থ করার পর যে ভুড়ি-কাঁপানো ঘুমটা আমি আর আমার বন্ধু ইফতেখার দিয়েছিলাম, সেটা কতটা অমুল্য।  

..............

এইবার গল্পের ক্লাইমেক্সে আসি। 

আমরা দুই বন্ধু ভুড়ি কাঁপিয়ে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছি। 

আমার ফোন বাজা শুরু করলো। আমি ঘুমের মধ্যে হাত দিয়ে ফোন সাইলেন্ট করলাম। 

আমি আবার ঘুমিয়ে গেলাম। 

কিছুক্ষণ পর ফোন আবার ঘোঁত-ঘোঁত শব্দে কাঁপতে থাকলো। আমি লাইন কেটে দিলাম। 

কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে আবার শুরু হলো ঘোঁতঘোঁতানি।  

ভাবলাম, হয়ত জরুরি কাজে কেউ ফোন করেছে।  ফোনটা ধরলাম। 

..........

"আপনি কি রাজীব হাসান চৌধুরী স্যার বলছেন?"

"হু"

"স্যার, আপনি ভালো আছেন?"

"হু।  কে ভাই?: 

"স্যার, আমি পূর্বাচল ****সিটি থেকে বলছি। আপনার সাথে আমাদের নতুন প্রজেক্ট নিয়ে একটু কথা বলতে চাই  .... " 

---------

আমি যদি এই লোককে বা ওই কোম্পানির মালিককে গুম বা খুন করে ফেলি, সেটা কি কোনো অন্যায় হবে? 

বলেন? বলেন? বলেন? 

*** এরা কোত্থেকে আমাদের ফোন নাম্বার পায়? এইসব কল কোনভাবে ব্লক করা যায় না? এদের নামে কেইস করা যায় না? এদেরকে মেরে জিন্দাপুইত্তালানো যায় না? 

রবিবার, ১১ মে, ২০১৪

আজকে মাদার্স দে

১.

গাড়ির পিছনের সীটে পলিথিনের পুটলীতে রাখা মাটিতে পোঁতা একটা বেলি গাছ।

রিয়ার ভিউ মিররে চিকন একটা ডালের শেষ মাথায় কিছু পাতা আর দুইটা আধফোটা বেলি ফুল।

এসি'র বাতাসে তিরতির করে কাঁপছে ডালটা; আরাম বাতাসে কাঁপছে ফুল দু'টিও।  

২. 

২১ বছর আগে। কলেজ ফার্স্ট ইয়ার। টিউশনির প্রথম বেতন পেয়েছি। প্রথম রোজগার।  

আড়ং থেকে আম্মার জন্য একটা রূপার দুল কিনলাম।  

আম্মার জন্য নিজের টাকায় কেনা এটাই আমার প্রথম উপহার।  

আম্মা রেগে গেছিল। "এতগুলা" টাকা এভাবে "অপচয়" করার জন্য।  

তখন কোনো মাদার্স ডে ছিল না। 

৩. 

গাড়ির ভিতর বেলি ফুলের গন্ধ।  

এই গন্ধটা আম্মার খুব প্রিয়। বেলি আমার সবচেয়ে প্রিয় ফুল। 

গাড়িতে করে বেলি ফুলের গাছটা আম্মার কবরে লাগাবো বলে নিয়ে যাচ্ছি।

আম্মার জন্য আমাদের সবার পক্ষ থেকে উপহার।   

আজকে মাদার্স দে। 

আম্মা, তোমাকে অনেক ভালবাসি। 

বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০১৪

সুখ দিয়ে কখনো কষ্টকে চাপা দেয়া যায় না

সুখ দিয়ে কখনো কষ্টকে চাপা দেয়া যায় না। 

কষ্ট ঠিকই চুইয়ে চুইয়ে বের হয়ে আসে।  

-----------

আমার বয়স যখন মাত্র ৪০ দিন, আমার নানা আমাকে কোলবালিশের মত প্যাকেট করে আম্মার বাসা থেকে নিয়ে এসেছিলেন।

ওই যে নিয়ে আসলেন, আর কখনো আমাকে যেতে দিলেন না। আমি নানা-নানু-খালাদের আদরে বড় হতে লাগলাম। 

আমার দুই বছর বয়সে নানাভাই মারা যান। নানুই হয়ে ওঠে আমার সব। 

৯৬ সালে আমাদের ক্রিসেন্ট রোডের টিনশেড বাসাটা ভেঙ্গে যখন ৬ তলা বিল্ডিং বানানো হচ্ছিল, সে সময় ২ বছরের জন্যে আমি একটা ভাড়া বাসায় আম্মা-আব্বার সাথে ছিলাম। জীবনে ওই দুই বছরই আমার নানুর কাছ থেকে দূরে থাকা। এবং আব্বা-আম্মা'র সাথে প্রথম একসাথে থাকা। 

কিছুটা অস্বাভাবিক হলেও, সত্যি কথাটা হলো, আমার ভালবাসার নিক্তিতে আম্মা কখনই নানুকে পিছনে ফেলতে পারেন নাই। 

----------

২০১২'র ২৫শে ডিসেম্বর নানু মারা যান।  

আমি প্রচন্ড ধাক্কা খাই, যদিও আমরা প্রস্তুত ছিলাম নানুর মৃত্যুর জন্য। সবাই বলছিল ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু কিছুই ঠিক হচ্ছিল না। 

আমার ছেলে জীয়নের বয়স তখন ৬ মাস। প্রতিটা দিন সে নতুন নতুন জিনিস শিখছে। প্রতিটা নতুন জিনিস সাথে করে নিয়ে আসছে নতুন স্বাদের সুখ। সবাই বললো, সেই সুখের নিচে নানুর চলে যাওয়ার কষ্টটা চাপা দিয়ে দিতে। 

আমি অনেক চেষ্টা করলাম। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয় না। জীয়নের হাসিমুখ আমাকে কিছুক্ষণের জন্য সুখ দিলেও সেটা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছিল না।

আমি জীয়নের কাছ থেকে পালিয়ে নানুর কবরের পাশে গিয়ে বসে থাকতাম।    

.... সুখ দিয়ে কষ্টকে চাপা দেয়া যায় না।  

----------

২০১৪'র জানুয়ারি'তে আম্মা চলে গেলেন। 

এই মৃত্যুর জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। আম্মা ছাড়া পৃথিবীটা পুরাপুরি অর্থহীন হয়ে গেল।  একা এবং অসহায় আব্বাকে নিয়ে আমরা দিশেহারা হয়ে গেলাম।  

এক সময় যে কষ্টকে মনে হচ্ছিল চিরস্থায়ী একটা ক্ষত, সেই নানুকে হারানোর কষ্টটা নিজের অজান্তেই কর্পুরের মত উবে গেল।

নানুর চেহারা মনে করতে গেলে এখন শুধুই আম্মার চেহারা ভেসে ওঠে। নানুর কবরে বসে এখন আমি নানুর সাথে আম্মাকে নিয়েই কথা বলি। অথচ আম্মার কবরে গিয়ে কখনই নানুর কথা হয় না।  

----------

আমি আম্মাকে হারানোর কষ্টটা ভুলতে চাই না। 

আমি অন্য কোনো সুখ খুঁজে তার নিচে এই কষ্টকে চাপা দিতে চাই না।  

কারণ, আমি জেনে গেছি ...

সুখ দিয়ে কখনো কষ্টকে চাপা দেয়া যায় না। 

শুধুমাত্র কষ্টের নিচেই কষ্ট চাপা পরে।  

সোমবার, ৫ মে, ২০১৪

"বেড়াতে যাওয়ার ছড়া"

যাব বেড়াতে, 
মন ফেরাতে।

মালয়েশিয়া,  
ট্রু'লি এশিয়া!

কথা বলবো, 
ব্যথা ভুলবো, 
বসে থাকবো  
রাতে সাগরে, 

ছেঁকে নীলজল, 
থেকে নীলাকাশ, 
নিয়ে হাসিমুখ 
ফিরবো ঘরে। 

(এইবার আসল পয়েন্টে আসি...)

ভেবে পাওনা-
দার আমাকে 
যারা এদিক সেদিক
পালাতেন, 

গলা শুকিয়ে,
খোমা লুকিয়ে, 
যারা হিং-টিং-ছট
চালাতেন ... 

সেই ভায়েরা,
সেই বোনেরা,
যদি একটু
কথা শুনতেন। 

বলি, বেশি না 
খুবই সামান্য 
কিছু টাকা যদি 
প্লিজ গুনতেন।  

ইহা রিকোয়েস্ট, 
কাতর আকুতি; 
নয় ঘুরানো-প্যাঁচানো 
ইঙ্গিত; 

টাকাটা পেলে 
কাল সকালে 
কিনে ফেলতাম 
কিছু রিঙ্গিত।  



রবিবার, ৪ মে, ২০১৪

আমাদের বাচ্চাদের ছোটবেলা এবং টেলিভিশন

আমাদের বাচ্চাদের ছোটবেলা এবং টেলিভিশন 
-------------------------------------------

যাদের ছোটবেলায় বিটিভিই ছিল একমাত্র টিভি, তারা নিশ্চয়ই মনে করতে পারবেন, স্কুল থেকে ফেরার পর টিভিতে কি দেখতাম আমরা? থান্ডার ক্যাটস, মোস্তফা মনওয়ারের পাপেট শো, এসো গান শিখি, স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা, হ্যাকল এন্ড জ্যাকল, থ্রি স্টুজেস - ঠিক না? 

সবাই মিলে ডোরেমন, নিনজা হাতোরি, হিন্দি আগ্রাসন'কে তো কম গালি দিলাম না; এবার চলেন একটু দেখে আসি, আমাদের বাচ্চাদের যখন স্কুল শেষে টিভির সামনে বসার কথা, তখন আমাদের এত্তগুলি চ্যানেল তাদের জন্য কি কি অনুষ্ঠান চালাচ্ছে ... 

১. বিটিভি : হাতিয়া উপজেলার বন্যা পরবর্তী অবস্থার উপর প্রতিবেদন 
২.ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি: বিজ্ঞাপন, তারপর "পূর্ব-পশ্চিম" নামে একটা খবরের অনুষ্ঠান (দক্ষিন কোরিয়ায় ৪৭৫ জন যাত্রী নিয়ে ফেরি ডুবি)
৩. সময় টিভি: বিজ্ঞাপন, তারপর খবর (রেজওয়ানা হাসানের স্বামী'র অপহরণের খবর) 
৪. এশিয়ান টিভি: বলিউড টপ চার্ট (লাক্স ষ্টার অফ দা ওয়ার্ল্ড) - বেশ ছোটো-ছোটো কাপড়-চোপর পরা মেয়েদের দেখা যাচ্ছে 
৫. মাছরাঙ্গা টিভি: টক শো - দলের চেয়ে দেশ বড় 
৬. এটিএন বাংলা: খবর - বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর কি যেন একটা বলেছেন, সেটা নিয়ে খবর 
৭. চ্যানেল আই - হৃদয়ে মাটি ও মানুষ 
৮. এনটিভি - বিজ্ঞাপন, তারপর বিজ্ঞাপন, তারপর ৫ মিনিট বিজ্ঞাপনের পর একটা নাটক শুরু হলো, ৭১ তম পর্ব, নামটা দেখতে পারি নি  (যেটার টাইটেল সংপ্রায় ৩/৪ মিনিট) - "আপনি মা হতে চলেছেন।" - এই ডায়লগটা শোনার পর চ্যানেল চেঞ্জ করলাম 
৯. বাংলা ভিশন - গত রাতের লাইভ ষ্টুডিও কনসার্টের পুনঃপ্রচার; মেহরীন চিত্কার করছে 
১০. দেশ টিভি - নাটক (ভাই আর ভাবীর দাম্পত্য কলহ টাইপ কিছু একটা চলছে) 
১১. মাই টিভি - বিজ্ঞাপন, তারপর বাংলা সিনেমা 
১২. বৈশাখী টিভি - বিজ্ঞাপন (চু চু ডাইপার), তারপর খবর - দেশের বাইরের শেয়ার বাজারের খবর 
১৩. একুশে টিভি - খবর (নগরকান্দা থানার নৃসংশ ঘটনার মামলা সংক্রান্ত কিছু) 
১৪. আর টিভি - বাংলা সিনেমা 
১৫. চ্যানেল ২৪ - বিজ্ঞাপন, তারপর খবর 
১৬. এটিএন নিউজ - খবর - খোকন রাজাকারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, হত্যা এবং ব্লা ব্লা কতগুলি অভিযোগ ...
১৭. এসএটিভি - বিজ্ঞাপন, তারপর খবর - বিজেএমইএ'র উপর কিছু একটা খবর 
১৮. ৭১ টিভি - খবর - সেন্ট মার্টিনসে উদ্ধার কার্যক্রম 
১৯. গাজী টিভি - ইউনিভার্সিটি ক্রিকেট লাইভ 
২০. চ্যানেল ৯ - খবর - ভারতীয় নির্বাচন 

কোনো চ্যানেলের সমালোচনা না করেই প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছি - কোনটা দেখতে বলবো আমি আমার মেয়েকে? বা এর মধ্যে কোন প্রোগ্রামটাই বা আমার ৯ বছরের মেয়ে আগ্রহ নিয়ে দেখবে? একটু বলবেন? 

(এই স্ট্যাটাসটিতে একটা পয়েন্টও আমার বানানো না। উল্লিখিত তথ্যগুলো আজ বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে পোনে ৪টা পর্যন্ত আমার আর আমার মেয়ে রিসার্চের ফসল। কেউ কেউ হয়ত বলবেন যে বাচ্চাদের টিভি দেখারই বা কি দরকার? তাদের জন্য উত্তর - আমাদের ছোটবেলায় টিভি দেখে এমন অনেক ভালো কিছু শিখেছি আমরা যা অন্য কোনো জায়গা থেকে শিখি নাই। টিভিকে ঠিক ভাবে ইউজ করা গেলে এটা যে কত উপকারে আসে, সেটা যে কোনো শিক্ষিত মানুষই বোঝে। 

ও হ্যা, এই টাইম-ফ্রেমের মধ্যে কিন্তু নিকোলোডীয়নে হিন্দিতে ডাব করে নিনজা হাতোরি দেখাচ্ছিল।)



জীয়নের শব্দসম্ভার

আমার ছেলে জীয়নের শব্দসম্ভার: 

আতাবুম - গাড়ি 
আততা আতাবুম - আরেকটা গাড়ি 
আউআউ - কুকুর 
ল্যাপপোত্ - ল্যাপটপ 
উমাম  - গরম পানি 
দবন - লবন 
আততালাইতাম - আসসালামুয়ালাইকুম 
তুতীতাতী - সূচী চাচী 
দনদোন - লন্ডন 
বালাবালা - ছাগল 
দেব্বা - জেব্রা 
তানাতুন - চানাচুর 
এলেলো - Yellow