গতকাল জয়ী'র ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট হলো। অথচ পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকে জয়ী একবারের জন্যেও আমাদের কাছে মশার মত প্যান্প্যান করে নাই:
১। বাবা, অমুক টিচার যদি খাতা দেখে, তাহলেই হইসে। আমাকে ইচ্ছা করে কম নম্বর দিবে দেইখো।
২। বুঝছ বাবা, টিচারের প্রিয় কিছু স্টুডেন্ট আছে, আমি শিওর টিচার ওদেরকেই বেশি নম্বর দিবে।
আমরা যখন প্রশ্ন করেছি "কি রে? কি মনে হয়? রেজাল্ট কেমন হবে?"; ও কিন্তু এটাও বলে নাই যে "বাবা, খাতা দেখা যদি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রভাবমুক্তভাবে হয় তাহলে আমি কনফার্ম সবকটাতেই মিনিমাম "এ"পাবো। আর যদি দেখো পাই নাই, তাহলে তো বুঝতেই পারবা যে খাতা দেখায় সুক্ষ্ণ কারচুপি হয়েছে।" এই কথা বলে সে কিন্তু একটা গা-কিট-কিট-করা জ্ঞানী-টাইপ ফিচেল হাসিও দেয় নাই।
মেয়ে যখন রিপোর্ট কার্ডে দেখলো যে সে মাশাল্লাহ সবকটা সাবজেক্ট'এই মিনিমাম "এ"পেয়েছে, তখনও কিন্তু সে ডাইনি বুড়ির মত কুটনী হাসি হেসে বলে নাই, "হা হা হা, কেমন মজা হলো!!!... দেখলা বাবা... হাজার চেষ্টা করেও টিচার আমাকে দাবায়ে রাখতে পারল না। ... খিক খিক খিক... খিক খিক খিক"
মেয়ে বরং বাকিদের রেজাল্ট'এর খোঁজ-খবর করতে লাগলো। যারা এ-প্লাস পেয়েছে তাদের খুশিতে আমার মেয়েও খুশি। যারা খুব একটা ভালো করতে পারেনি, তাদের জন্যও তার মন খারাপ।
বাচ্চাদের কাছ থেকে কতকিছুই না শেখার আছে আমাদের!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন