ফেইসবুক'এ দেশের কোনো একটা ইসু নিয়ে স্টেটাস দিলে কি হয়? কেউ কেউ লাইক দেয়, কেউ শেয়ার, কেউ কমেন্ট। ২৪ ঘন্টা; বা বড়জোর ৪৮ ঘন্টা কিছু মানুষ ওই ইসু'টা মাথার মধ্যে রাখে, তারপর সে'টা মাথা থেকে বের হয়ে যায়। তাহলে লাভটা হলো কি? হুদাই এই লেখা-লেখি'র পরিশ্রমটাই কি বৃথা গেল না?
আমি আমার ব্যাখ্যা'টা বলি; বাকিরাও তাদেরটা বলবেন প্লিজ। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, যেখানে কোটিখানেক মানুষ প্রতিদিন অন্তত একবার করে হলেও ঢু মারে, সেখান থেকে অনেক বড় কিছু হওয়া উচিত। ২/১ বছরের মধ্যে বেশ কয়েকবার তেমন উদাহরনও আমরা দেখেছি। শাহবাগের পেছনে ফেইসবুক'এর ভূমিকা অনস্বীকার্য; ফেইসবুক না থাকলে সাভার ট্রাজেডি আরো ভয়ংকর রূপ ধারণ করত। ইরেশ জাকের, পিপলু আর খান বা করভি রাখ্শান্দ'দের পেছন থেকে সাহস, শক্তি আর মনোবল যুগিয়েছে লাখো ফেইসবুকার। শুধু তাই না, ওখানে যখন যা প্রয়োজন সেই লিস্টও কিন্তু সবাই জেনেছে ফেইসবুকের মাধ্যমেই। সিমন'এর এক্সিডেন্ট হলো, অনেক রক্ত লাগবে; ভোর বেলা গোটা পঞ্চাশেক ছেলে-মেয়ে হাসপাতালে হাজির রক্ত দিতে; ফেইসবুক জানিয়ে দিয়েছে তাদের। এমন উদাহরণ আছে ভুরিভুরি।
আমি বিশ্বাস করি, বদলটা এভাবেই আসবে। হয়ত কোনো একদিন কারোর একটা লেখা জায়গা-মত হিট করবে; আর ম্যাজিক শুরু হয়ে যাবে। বলা তো যায় না, হয়ত তার পোস্টটা ক্ষমতাবান কারোর আঁতে একটা ঘা দিতে সক্ষম হবে, অনেকদিনের অনভ্যাসে বেবিফ্যাট জমে যাওয়া পাছু'টা নরম সোফা থেকে উঠাতে উঠাতে তিনি ভাববেন - "নাহ, যাই, একটু একশন করে আসি।" এই একশন'এই হয়ত একটা দুষ্টু প্রিন্সিপাল তার দুষ্টামি বন্ধ করতে বাধ্য হবে; অথবা পঁচা কোনো পুলিশ সবার সামনে ন্যাংটা হয়ে যাবে।
যারা বলেন "লাইক" দিয়ে কি হয়? বিশাল কিছু হয়ত হয়না, কিছু একটা কিন্তু ঠিকই হয়। যারা এখনো বিশ্বাস করে দিনবদল সম্ভব, এই লাইক'গুলি তাদের সামান্য হলেও মনোবল বাড়ায়। তারা লিখতে আরো বেশি অনুপ্রেরণা পান। লাইক, কমেন্ট বা শেয়ার দেখে তারা আশ্বস্ত হন এই ভেবে যে ভালো চিন্তা করার মত মানুষ এখনো অনেক আছে এই দেশে; ভালো কিছুর জন্য যদি কখনো মানুষের প্রয়োজন হয়, সুন্দর মনের মানুষের অভাব হবেনা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন