রবিবার, ২৩ জুন, ২০১৩

দাঁত ব্রাশ

গ্রামীনফোনের "আমরা-আমরাই তো" বিজ্ঞাপনটা দেখে একটা ঘটনা মনে পরে গেল।

বছর পাঁচ-ছয়েক আগের কথা। মাঝে মাঝেই সকালে দাঁত ব্রাশ করতে গিয়ে ব্রাশটা জায়গামত পাইনা। একদিন দেখি ব্রাশটা ভিজা। কি আজব! বাসায় হামতাম শুরু করলাম। কেউ কিছু জানে না। আঙ্গুলে পেস্ট লাগিয়ে দাঁত মেজে আমি অফিস'এ চলে আসলাম, কিন্তু মাথার মধ্যে খচখচানি চলতেই থাকলো। সন্ধায় বাসায় ফিরে আবার হামতাম শুরু করলাম। হাসিব সাহেব ততক্ষণে বাসায় ফিরেছে। ওকে জিগ্গেস করলাম "ওই, আমার ব্রাশ ভিজা ক্যান?" শুনে ও'ও বেশ উত্তেজিত "তোমারটাও!!!!! বল কি???? আমারটাও তো আমি প্রতিদিন ভিজা পাই!!! অত্যন্ত রহস্যজনক ব্যাপার, সুষ্ঠু ইনভেস্টিগেশন করা দরকার। "

বাসায় আর কোনো মানুষ'ও নাই যে না বলে আমাদের ব্রাশ ইউজ করবে। ভুতুরে ব্যাপার! হঠাত একটা সম্ভাবনা উঁকি দিল; হাসিব'কে বললাম "যা তো, তোর ব্রাশটা নিয়ে আয়।" হেলতে-দুলতে সে আমার আমার নীল ব্রাশটা নিয়ে আসলো। চিপা গলায় ভয়ে ভয়ে প্রশ্ন করলাম, "এটা কবে থেকে তোর ব্রাশের দায়িত্বে নিয়োজিত আছে?" মহা বিরক্ত রিপ্লাই - "মানে কি? প্রথম থেকেই তো এটা আমার ব্রাশ। তোমার তো সবুজটা।"

বুঝলাম আমরা মিনিমাম ৩ মাস ধরে একই ব্রাশ দিয়ে দাত মেজে আসছি।

ব্যাপার না, আমরা-আমরাই তো। তাছাড়া, আমার আর কি? প্রতিদিন তো আমিই আগে ঘুম থেকে উঠতাম, তাই শুকনা ব্রাশ দিয়ে আমি দাঁত মাজতাম। ভিজা ব্রাশ দিয়ে তো দাঁত মাজতো ও।

ইয়াক থুঃ!!! ভিজা ব্রাশ!!! চিন্তাও করতে পারি না আমি।

সোমবার, ১৭ জুন, ২০১৩

গান নিয়ে টেনশন : ২


গান নিয়ে টেনশন : ২

ছোটবেলায় ডেক সেট'এ খালারা গান শুনত - এনেছি আমার শত জনমের প্রেম আঁখিজলে গাঁথা মালা, ওগো <সামথিং>রিতা আজও কি হবে না শেষ "তোমার চাওয়ার" পালা ...

আজও কি হবে না শেষ "তোমার চাওয়ার" পালা ...ভীষণ অবাক হতাম, এত ছ্যাচরা ক্যান রে ভাই মেয়েটা!!! গায়ক কোন লেভেলের অসহায় হলে এটা নিয়ে গান গাইতে পারে। ব্যাটা নিশ্চয়ই গিফট দিতে দিতে টায়ার্ড হয়ে গানটা গাইসে। আহা রে।

পরে বুঝছি, এটা আসলে "তোমারে চাওয়ার পালা"...
এবং তখন থেকে নতুন প্রশ্ন পাখা মেলেছে, এত ছ্যাচরা আর ডেসপো ক্যান ছেলেটা? 

শনিবার, ১৫ জুন, ২০১৩

গান নিয়ে টেনশন : ১


গান নিয়ে টেনশন : ১
"ও মঞ্জু রে ...."

কলেজের শেষদিকে বা ইউনিভার্সিটির ফার্স্ট ইয়ারে আর্ক'এর একটা অ্যালবাম বের হলো। সুপারহিট এলবাম - সব গানই  হিট। ওই এলবামের একটা গান দীর্ঘদিন আমাকে বিশাল দ্বিধা-দ্বন্দে ঝুলিয়ে রেখেছিল। গানের কথাগুলো ছিল এইরকম:

"গানে গানে ভরা, অনন্ত স্মৃতিগুলো, অন্যকারও
আজ আমি থেকে দূরে .... 
ও মঞ্জু রে .... এ এ এ এ ...." 

অনেক ভেবেও বের করতে পারি নাই, এত আবেগ দিয়ে ডাকা এই "মঞ্জু"টা  আসলে কে? সে কি ছেলে নাকি মেয়ে? গায়কের বন্ধু নাকি প্রেমিকা? পুরাই টেনশন। 

অনেক পরে বুঝতে পারি, "মঞ্জু রে" আসলে "মন জুড়ে"। প্রবলেম হলো এরপর থেকে গানটা শুনলে আর মজা পাই না; "মঞ্জু রে" খোঁজাটা আমি আসলে হেভি এনজয় করতাম। 

রেজাল্ট



গতকাল জয়ী'র ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট হলো। অথচ পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকে জয়ী একবারের জন্যেও আমাদের কাছে মশার মত প্যান্প্যান করে নাই:
১। বাবা, অমুক টিচার যদি  খাতা দেখে, তাহলেই হইসে।  আমাকে ইচ্ছা করে কম নম্বর দিবে দেইখো।
২। বুঝছ বাবা, টিচারের প্রিয় কিছু স্টুডেন্ট আছে, আমি শিওর টিচার ওদেরকেই বেশি নম্বর দিবে। 

আমরা যখন প্রশ্ন করেছি "কি রে? কি মনে হয়? রেজাল্ট কেমন হবে?"; ও কিন্তু এটাও বলে নাই যে "বাবা, খাতা দেখা যদি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রভাবমুক্তভাবে হয় তাহলে আমি কনফার্ম সবকটাতেই মিনিমাম "এ"পাবো। আর যদি দেখো পাই  নাই, তাহলে তো বুঝতেই পারবা যে খাতা দেখায় সুক্ষ্ণ কারচুপি হয়েছে।" এই কথা বলে সে কিন্তু একটা গা-কিট-কিট-করা জ্ঞানী-টাইপ ফিচেল হাসিও দেয় নাই। 

মেয়ে যখন রিপোর্ট কার্ডে দেখলো যে সে মাশাল্লাহ সবকটা সাবজেক্ট'এই মিনিমাম "এ"পেয়েছে, তখনও কিন্তু সে ডাইনি বুড়ির মত কুটনী হাসি হেসে বলে নাই, "হা হা হা, কেমন মজা হলো!!!... দেখলা বাবা... হাজার চেষ্টা করেও টিচার আমাকে দাবায়ে রাখতে পারল না। ... খিক খিক খিক... খিক খিক খিক"

মেয়ে বরং বাকিদের রেজাল্ট'এর খোঁজ-খবর করতে লাগলো। যারা এ-প্লাস পেয়েছে তাদের খুশিতে আমার মেয়েও খুশি। যারা খুব একটা ভালো করতে পারেনি, তাদের জন্যও তার মন খারাপ। 

বাচ্চাদের কাছ থেকে কতকিছুই না শেখার আছে আমাদের! 

বুধবার, ১২ জুন, ২০১৩

তোকে ছাড়া লাইফ ইম্পসিবল

ক'দিন আগে আমার বউ স্টেটাস দিল "তোকে ছাড়া লাইফ ইম্পসিবল"; সাথে ট্যাগিত করলো আমাকে। উফ্ফ্ফ্ফ, কি রুমান্টিক স্টেটাস! কমেন্টের বন্যা বয়ে গেল; "হাউ রুমান্টিক", "হাউ কিউট", "মাশাল্লাহ", "আহা", "উহু", "আহেম আহেম", "থু থু".

কেউ সামান্য জিনিষটা বুঝলো না, একখান ফুটবল'কে নিয়ে রোনাল্ডো বা মেসি যদি কোনো স্টেটাস দিত, তাহলেও সেটা এই স্টেটাস'টাই হইতো।

দিন-রাত ফুটবল না লাইত্থাইলে মেসি-রোনাল্ডোর এই লাইফ ইম্পসিবল'ই হইতো।

হুহ।
 

সোমবার, ১০ জুন, ২০১৩

লাইক সমাচার


ফেইসবুক'এ দেশের কোনো একটা ইসু নিয়ে স্টেটাস দিলে কি হয়? কেউ কেউ লাইক দেয়, কেউ শেয়ার, কেউ কমেন্ট। ২৪ ঘন্টা; বা বড়জোর ৪৮ ঘন্টা কিছু মানুষ ওই ইসু'টা মাথার মধ্যে রাখে, তারপর সে'টা মাথা থেকে বের হয়ে যায়। তাহলে লাভটা হলো কি? হুদাই এই লেখা-লেখি'র পরিশ্রমটাই কি বৃথা গেল না? 

আমি আমার ব্যাখ্যা'টা বলি; বাকিরাও তাদেরটা বলবেন প্লিজ। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, যেখানে কোটিখানেক মানুষ প্রতিদিন অন্তত একবার করে হলেও ঢু মারে, সেখান থেকে অনেক বড় কিছু হওয়া উচিত।  ২/১ বছরের মধ্যে বেশ কয়েকবার তেমন উদাহরনও আমরা দেখেছি। শাহবাগের পেছনে ফেইসবুক'এর ভূমিকা অনস্বীকার্য; ফেইসবুক না থাকলে সাভার  ট্রাজেডি আরো ভয়ংকর রূপ ধারণ করত। ইরেশ জাকের, পিপলু আর খান বা করভি রাখ্শান্দ'দের পেছন থেকে সাহস, শক্তি আর মনোবল যুগিয়েছে লাখো ফেইসবুকার। শুধু তাই না, ওখানে যখন যা প্রয়োজন সেই লিস্টও কিন্তু সবাই জেনেছে ফেইসবুকের মাধ্যমেই। সিমন'এর এক্সিডেন্ট হলো, অনেক রক্ত লাগবে; ভোর বেলা গোটা  পঞ্চাশেক ছেলে-মেয়ে হাসপাতালে হাজির রক্ত দিতে; ফেইসবুক জানিয়ে দিয়েছে তাদের। এমন উদাহরণ আছে ভুরিভুরি। 

আমি বিশ্বাস করি, বদলটা এভাবেই আসবে। হয়ত কোনো একদিন কারোর একটা লেখা জায়গা-মত হিট করবে; আর ম্যাজিক শুরু  হয়ে যাবে।  বলা তো যায় না, হয়ত তার পোস্টটা ক্ষমতাবান কারোর আঁতে একটা ঘা দিতে সক্ষম হবে, অনেকদিনের অনভ্যাসে বেবিফ্যাট জমে যাওয়া পাছু'টা নরম সোফা থেকে উঠাতে উঠাতে তিনি ভাববেন - "নাহ, যাই, একটু একশন করে আসি।" এই একশন'এই হয়ত একটা দুষ্টু প্রিন্সিপাল তার দুষ্টামি বন্ধ করতে বাধ্য হবে; অথবা পঁচা কোনো পুলিশ সবার সামনে ন্যাংটা হয়ে যাবে। 

যারা বলেন "লাইক" দিয়ে কি হয়? বিশাল কিছু হয়ত হয়না, কিছু একটা কিন্তু ঠিকই হয়। যারা এখনো বিশ্বাস করে দিনবদল সম্ভব, এই লাইক'গুলি তাদের সামান্য হলেও মনোবল বাড়ায়। তারা লিখতে আরো বেশি অনুপ্রেরণা পান। লাইক, কমেন্ট বা শেয়ার দেখে তারা আশ্বস্ত হন এই ভেবে যে ভালো চিন্তা করার মত মানুষ এখনো অনেক আছে এই দেশে; ভালো কিছুর জন্য যদি কখনো মানুষের প্রয়োজন হয়, সুন্দর মনের মানুষের অভাব হবেনা।

রবিবার, ৯ জুন, ২০১৩

ডেভলপমেন্ট ফান্ড


ঘটনাটা কালকে শুনলাম। সোর্স: ১০০% অথেন্টিক।

এইচএসসি পরীক্ষার প্রাকটিক্যাল পার্টটা অনেক কলেজের জন্যই নাকি এখন একটা ভালো ব্যবসা। "ক" কলেজের সীট পরে "খ" কলেজে। "খ" কলেজের প্রিন্সিপালের সাথে "ক" কলেজের প্রিন্সিপালের গোপন বৈঠক হয়। চা-বিস্কুটের ফাঁকে দুজন ডিল ফাইনাল করেন। প্রতি ছাত্র বাবদ "ক" কলেজ "খ" কলেজ'কে ১ হাজার টাকা করে দিবে, ২৫শে ২৫ নিশ্চিত। টাকাটা কে দিবে? আর কে? ছাত্ররা! এই ফান্ডের "গোপন" নাম হলো 'ডেভলপমেন্ট ফান্ড ফর "খ" কলেজ'! মাত্র ১ হাজার টাকায় প্রাকটিক্যাল'এ ফুল মার্কস, কোন বলদে অরাজি হবে? 

"ক" কলেজ থেকে এবার পরীক্ষার্থী ১,১০০ জন। ১,০০০ ইনটু ১,০০০ = মাত্র ১১ লক্ষ টাকা। ধরি ১ লক্ষ টাকা সিস্টেম লস, তবুও ১০   টাকা। এ তাকায় মোটামুটি ভালই ডেভলপমেন্ট হবে। প্রশ্ন হলো ডেভলপমেন্ট'টা কার হবে? "খ" কলেজের? নাকি প্রিন্সিপাল সাহেব এবং তার স্নেহধন্য কিছু শিক্ষকের? 

"ক" কলেজের এই প্রিন্সিপালের আমলে রেজাল্ট হবে সব আমলের মধ্যে বেস্ট। সবাই খুশি। প্রিন্সিপাল, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক,... হয়ত শিক্ষামন্ত্রী, সরকার - গোটা বাংলাদেশ। 

গরিব কিছু ছেলেমেয়ে অবশ্য এই ১ হাজার টাকাটা দিতে পারে না; তাই তারা প্রাকটিক্যাল'এ ফুল মার্কস পায় না। ভাগ্যিস, এই ছেলেমেয়েগুলো আছে, নাহলে ১০০% স্টুডেন্ট প্রাকটিক্যাল পরীক্ষায় ১০০% মার্কস পেয়ে গেলে বেশি বেশি হয়ে  যেত না?


রবিবার, ২ জুন, ২০১৩

ক্রিকেট

ক্রিকেট!

অনেক দিন আগের কথা। বাংলাদেশের ক্রিকেট তখন এত গরম হয় নাই। আমি একটু বেশি মাত্রায় ক্রিকেট পাগল দেখে এর সাথে সংশ্লিষ্ট মানুষজনের সাথে বন্ধুত্ব পাতাতাম। এবং আমার সৌভাগ্য বাংলাদেশের ক্রিকেট'এর বেশ কয়েকজন লিজেন্ডএর সাথে আমার অনেক ভালো বন্ধুত্ব হয়, যে বন্ধুত্ব এখনো অটুট। তাদের সাথে নানান সময়ে অনেক আড্ডা দেয়া হয়েছে, খুটিয়ে খুটিয়ে অনেক কিছু জানতাম আমি তাদের কাছ থেকে, কে কেমনে স্লেজিং করে, কার মেয়ে-বিষয়ক দুর্বলতা বেশি, শেন ওয়ার্ন কে খেলা বেশি কঠিন নাকি মুরালি কে - ইত্যাদি ইত্যাদি। নিচের গল্পগুলো হয়ত সত্যি, নয়তো কল্পনা-প্রসূত, কে কিভাবে নেবেন, তার উপর আমার কোনো কন্ট্রোল নাই। দেশের বড়-বড় সাংবাদিকরাই  যদি যা-মন-চায় তা লিখতে পারে, আমি তো "জাস্ট আ ফেইসবুকার".  

১। জাতীয় দলে মোটামুটি নতুন একজন, গোটা পাঁচেক ওয়ান ডে মাত্র খেলেছে তখন। গভীর প্রেম চলছে তার একজনের সাথে। ট্রু প্রেম, নো হাঙ্কি-পাঙ্কি। টিমের সবাই এটা জানে, এবং এটা নিয়ে বেশ হাসাহাসি চলে সব সময়, ছোটা-টাইগার খালি লাজুক লাজুক হাসে। ইংল্যান্ড-এ প্রথম টুর, ভেবেছিল ফেরার সময় গার্লফ্রেন্ডের জন্যে দামী একটা গিফট নিয়ে আসবে। কিন্তু খেলা চলাকালীন সময়ে বেশ নামজাদা এক ক্রীড়া-সাংবাদিক ভাই তার কাছে একটা দামী ঘড়ির আবদার করে। দামী মানে টুকটাক দামী না, বেশ দামী। তিনি বোঝান যে এতে করে অনেক "ফায়দা" হবে।  ম্যাচ ফির প্রায় পুরোটাই চলে যায় তার ঘড়ি কিনতে। দেশের একটি  পত্রিকায় তার গুনগানে ভর্তি একটা বড় আর্টিকেল ছাপা হয়। বাই দা ওয়ে, বান্ধবীর কপালে জুটেছিল একটা সস্তা পারফিউম। 

২। আরেকবার শ্রীলংকা সফরে আমাদের একজন স্পিনার অসাধারণ পারফর্ম করেন। কমেন্টেটর'দের মুখে ফেনা। দেশের মোটামুটি সব মিডিয়া তার প্রসংশায় পঞ্চমুখ- শুধু একটি পত্রিকা ছাড়া। আবদার'টা নাকি ছোটো ছিল, মাত্র একটা ৪২" এলসিডি টিভি। স্পিনার ভদ্রলোক একটু ঘাড়-ত্যাড়া টাইপ; সে নাকি বলসিলো - "টিভি তুমার **** দিয়ে ভইরা দিবু নে"

৩। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় পেস বোলার। শেষ ওভার'টা কপাল দোষে খারাপ করে ফেলেন, দল হেরে যায়। হতেই পারে এমন, যে কারো সাথেই হতে পারে। কিন্তু সেই সাংবাদিক ভাই'এর অসামান্য কলমের গাথুনিতে আরেকটু হলে আমার বোলার ভাই'এর কেরিয়ার শেষ হয়ে যাচ্ছিল। হর্সে'স মাউথ থেকে জেনেছি, খেলা শেষে আরেকজন প্লেয়ার'কে দিয়ে বোলার ভাই'কে জানানো হইসিলো, নতুন মডেলের একটা মোবাইল হ্যান্ডসেট নাকি আমাদের সাংবাদিক ভাই'এর খুব লাইক হইসে। পেস বোলার ভাই কি বলসিলো জানেন? "অ'রে কয়া দিস, মোবাইল ফোন অ'র **** দিয়া ভইরা দিমু". (আমাদের টাইগার' ভোকাবুলারি আর ক্রিয়েটিভিটি - দুই জায়গাতেই বড় দুর্বল) 

৪। এটি সাংবাদিক ভাইয়ের সফলতার কাহিনী; জাতীয় দলের ৩ জন দুষ্টু প্লেয়ার একবার ৩ মডেল-কন্যার সাথে দুষ্টামি করতে গেল। কিন্তু মডেল কন্যা-গুলি যে ওদের থেকেও বেশি দুষ্টু, এটা ওরা বোঝে নাই। দুষ্টু মেয়েগুলি ভয় দেখালো ওরা মিডিয়া'কে অনেক কিছু বলে দিবে। বীর-বাহাদুর টাইগার ভাই'রা তো পুরাই বিলাই। কি মুশকিলেই না পড়া গেল! কিন্তু মুশকিল আসান হ্যায় না। সেই সাংবাদিক ভাই তার অসীম ক্ষমতাবলে ব্যাপারটা সুরাহা করে দিলেন। বিনিময়ে একটা ৪২" এলসিডি টিভি, আইফোন আর সপরিবারে থাইল্যান্ড যাবার টিকেট উপহার পেয়েছিলেন। 

শেষ কথা: কেউ যদি কোনো ভুল করে, সেটার বিচার হোক। কিন্তু কতগুলা নর্দমার কীট সাংবাদিক যখন বেহায়ার মত অতীত ভুলে লুঙ্গি-তুলে উথাল-পাথাল নাচে, মন চায় শালাদের পাছায় কইষা লাত্থি মারি।