একটা বড় ঘর। ঘরের ঠিক মাঝখানে একটা বিশাল গোল টেবিল। টেবিলের ঠিক মাঝখানে রাখা সুস্বাদু সুপের বাটি। লোভনীয় গন্ধে মৌমৌ করছে বাতাস। কিন্তু, টেবিলের চারদিকের চেয়ারগুলিতে বসা জীর্ণ-শীর্ণ-অসুস্থ কিছু মানুষ। তাদের বেঁধে রাখা হয়েছে চেয়ারের সাথে, যেন তারা চেয়ার থেকে উঠতে না পারে। সবার হাতের তালুর সাথে বাঁধা লম্বা হাতলওয়ালা চামচ। সে চামচ এতটাই বড় যেটা দিয়ে সহজেই টেবিলের মাঝখানে রাখা সুপের বাটি থেকে সুপ তুলে আনা যায়। তবুও লোকগুলো এত জীর্ণ-শীর্ণ-অসুস্থ কেন? কারণ, চামচের হাতলগুলো এতই লম্বা যে হাত বাঁধা অবস্থায় সুপ ভর্তি চামচ ঘুরিয়ে মুখ পর্যন্ত নিয়ে আসা কিছুতেই সম্ভব হচ্ছে না। ক্ষুধার্ত লোকগুলো তাই বারবার ঠিকই সুপ তুলে আনতে পারছে, কিন্তু খেতে পারছে না।
আরেকটা ঘর। একই রকম বড়। এখানেও মাঝখানে বিশাল গোল টেবিল, তার মাঝখানে সুপের বাটি। এখানেও চেয়ারে বসে থাকা লোকগুলো আষ্টেপৃষ্টে বাঁধা, হাতের তালুর সাথে বাঁধা লম্বা হাতলওয়ালা চামচ। পার্থক্য একটাই। এখানকার মানুষগুলি সব হাসিখুশি, স্বাস্থ্যবান, কষ্টহীন।
কিভাবে জানেন? তারা কেবল একটা বিদ্যা শিখে নিয়েছে, খুব ভালো ভাবে।
তারা নিজের চামচটা দিয়ে কখনো নিজে খাওয়ার চেষ্টা করছেন না, বরং একে অন্যকে খাইয়ে দিচ্ছেন।
মন খারাপ করেই বলছি, প্রথম ঘরটাকে কেন যেন আজকের বাংলাদেশের মত লাগে।
পরের ঘরটার মানুষগুলির মত কবে হব আমরা?
(মূল গল্পটা বইএ পড়েছি। মন খারাপের জায়গাটা আমার নিজের।)
আরেকটা ঘর। একই রকম বড়। এখানেও মাঝখানে বিশাল গোল টেবিল, তার মাঝখানে সুপের বাটি। এখানেও চেয়ারে বসে থাকা লোকগুলো আষ্টেপৃষ্টে বাঁধা, হাতের তালুর সাথে বাঁধা লম্বা হাতলওয়ালা চামচ। পার্থক্য একটাই। এখানকার মানুষগুলি সব হাসিখুশি, স্বাস্থ্যবান, কষ্টহীন।
কিভাবে জানেন? তারা কেবল একটা বিদ্যা শিখে নিয়েছে, খুব ভালো ভাবে।
তারা নিজের চামচটা দিয়ে কখনো নিজে খাওয়ার চেষ্টা করছেন না, বরং একে অন্যকে খাইয়ে দিচ্ছেন।
মন খারাপ করেই বলছি, প্রথম ঘরটাকে কেন যেন আজকের বাংলাদেশের মত লাগে।
পরের ঘরটার মানুষগুলির মত কবে হব আমরা?
(মূল গল্পটা বইএ পড়েছি। মন খারাপের জায়গাটা আমার নিজের।)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন