ছেলে আমার বড়ই ত্যান্দর। যা করতে বলি তার উল্টাটা করে।
কিন্তু ব্যাটা এখনো পুরাপুরি বোঝে নাই, ত্যান্দরের বাপও কম ত্যান্দর না।
দুইটা ঘটনা বলি।
১.
মেয়ে তার স্কুলের হ্যান্ডবল টিমের প্রাইমারি স্কোয়াডে ডাক পেয়েছে। স্কুল থেকে বলেছে একটা এক নম্বর সাইজ বল কিনে বাসায় প্র্যাকটিস করতে। বল কিনতে গিয়েই মাথায় আসলো, পুত্র যখনি জানবে যে এটা তার বোনের জন্য, তখনই ঝড়-তুফান শুরু করে দিবে।
সমাধান - আরেকটা রঙিন ছোট বল কিনলাম। বাসায় ফিরে দুইটাকে ডাক দিলাম, "জীয়ন, বড় সাদা বলটা তোমার, আর ছোট কালারফুল বলটা আপুনির। তুমি কিন্ত আপুনিরটা ধরবা না। ওকে?"
পুত্র কোনো কথা না বলে এক থাবায় রঙিন বলটা নিয়ে দৌড়ে তার রুমে চলে গেল। সাদা বলের দিকে একবার তাকালোও না।
কন্যা তার পিতৃপ্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে খুশিমনে হ্যান্ডবল প্র্যাকটিস শুরু করলো।
২.
পুত্রকে ঘুম পাড়ানো রীতিমত যুদ্ধ করার মত কঠিন। পুত্রের মা বলে, "ঘুমাও।", পুত্র বলে - "ধুমাবো নাআআ।" পুত্রের মা বলে "ঘুমা ব্যাটা বান্দর"; পুত্র বলে "ধুমাবো নাআআ। হি হি।" তারপর কান মোচড়ানো, আঙ্গুলে টোকা ট্রিটমেন্ট, পাছায় থাপ্পড় - অতঃপর কান্নাকাটি; এবং কানতে কানতে ঘুম।
আমি ভাবলাম, ত্যান্দরের সাথে আবারও ত্যান্দ্রামি করে দেখি। লাইট বন্ধ করে আমি ওকে ঘুমাতে নিয়ে গেলাম। বিছানায় শোওয়ানোর সাথে সাথে স্যারের চিত্কার শুরু, "বাবা, ধুমাবো নাআআ , ধুমাবো নাআআ।"
আমি বেশ ফ্রেন্ডলি টোনে কথা শুরু করি, "না না বাবা, কেউ ঘুমাবে না এখন। ঘুম তো পচা জিনিস। ঘুমালেই কালো ভূত এসে তোমাকে কামড় দিবে।"
পুত্র এইটা একদমই আশা করে নাই। চোখ বড়বড় করে সে ঘটনাটা বোঝার চেষ্টা করতে লাগলো।
"তাকিয়ে থাকলেই কিন্তু বাবা ঘুম চলে আসবে। তাই তাকিয়ে থাকা যাবে না। তাকিয়ে থাকলে কি চলে আসবে?"
পুত্র চোখ পিটপিট করতে করতে বলে "ধুম তোলে আতবেএএএ।"
"ঠিক বলেছ বাবা। এখন চোখ বন্ধ করে রাখো। আর খেয়াল রাখো যেন ঘুম চলে আসতে না পারে। ওকে বাবা?"
চোখ বন্ধ করে জীয়ন জবাব দেয়, "ওকে বাবাআআ।"
দুই মিনিটের মধ্যে পুত্র আমার "ধুম" :)
পাদটিকা: খুব ভালমতই জানি, আমার এই সলিউশন খুবই টেম্পোরারি। ত্যান্দরটা অল্পদিনের মধ্যেই আমার এই চালাকি ধরে ফেলবে, এবং তখন আমাকে নতুন কোনো বুদ্ধি খুঁজে বের করতে হবে।
কিন্তু ব্যাটা এখনো পুরাপুরি বোঝে নাই, ত্যান্দরের বাপও কম ত্যান্দর না।
দুইটা ঘটনা বলি।
১.
মেয়ে তার স্কুলের হ্যান্ডবল টিমের প্রাইমারি স্কোয়াডে ডাক পেয়েছে। স্কুল থেকে বলেছে একটা এক নম্বর সাইজ বল কিনে বাসায় প্র্যাকটিস করতে। বল কিনতে গিয়েই মাথায় আসলো, পুত্র যখনি জানবে যে এটা তার বোনের জন্য, তখনই ঝড়-তুফান শুরু করে দিবে।
সমাধান - আরেকটা রঙিন ছোট বল কিনলাম। বাসায় ফিরে দুইটাকে ডাক দিলাম, "জীয়ন, বড় সাদা বলটা তোমার, আর ছোট কালারফুল বলটা আপুনির। তুমি কিন্ত আপুনিরটা ধরবা না। ওকে?"
পুত্র কোনো কথা না বলে এক থাবায় রঙিন বলটা নিয়ে দৌড়ে তার রুমে চলে গেল। সাদা বলের দিকে একবার তাকালোও না।
কন্যা তার পিতৃপ্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে খুশিমনে হ্যান্ডবল প্র্যাকটিস শুরু করলো।
২.
পুত্রকে ঘুম পাড়ানো রীতিমত যুদ্ধ করার মত কঠিন। পুত্রের মা বলে, "ঘুমাও।", পুত্র বলে - "ধুমাবো নাআআ।" পুত্রের মা বলে "ঘুমা ব্যাটা বান্দর"; পুত্র বলে "ধুমাবো নাআআ। হি হি।" তারপর কান মোচড়ানো, আঙ্গুলে টোকা ট্রিটমেন্ট, পাছায় থাপ্পড় - অতঃপর কান্নাকাটি; এবং কানতে কানতে ঘুম।
আমি ভাবলাম, ত্যান্দরের সাথে আবারও ত্যান্দ্রামি করে দেখি। লাইট বন্ধ করে আমি ওকে ঘুমাতে নিয়ে গেলাম। বিছানায় শোওয়ানোর সাথে সাথে স্যারের চিত্কার শুরু, "বাবা, ধুমাবো নাআআ , ধুমাবো নাআআ।"
আমি বেশ ফ্রেন্ডলি টোনে কথা শুরু করি, "না না বাবা, কেউ ঘুমাবে না এখন। ঘুম তো পচা জিনিস। ঘুমালেই কালো ভূত এসে তোমাকে কামড় দিবে।"
পুত্র এইটা একদমই আশা করে নাই। চোখ বড়বড় করে সে ঘটনাটা বোঝার চেষ্টা করতে লাগলো।
"তাকিয়ে থাকলেই কিন্তু বাবা ঘুম চলে আসবে। তাই তাকিয়ে থাকা যাবে না। তাকিয়ে থাকলে কি চলে আসবে?"
পুত্র চোখ পিটপিট করতে করতে বলে "ধুম তোলে আতবেএএএ।"
"ঠিক বলেছ বাবা। এখন চোখ বন্ধ করে রাখো। আর খেয়াল রাখো যেন ঘুম চলে আসতে না পারে। ওকে বাবা?"
চোখ বন্ধ করে জীয়ন জবাব দেয়, "ওকে বাবাআআ।"
দুই মিনিটের মধ্যে পুত্র আমার "ধুম" :)
পাদটিকা: খুব ভালমতই জানি, আমার এই সলিউশন খুবই টেম্পোরারি। ত্যান্দরটা অল্পদিনের মধ্যেই আমার এই চালাকি ধরে ফেলবে, এবং তখন আমাকে নতুন কোনো বুদ্ধি খুঁজে বের করতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন